আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাত্রী চাই

আমাকে তুমি প্রতীক্ষা করতে বোলো আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো অনড় বিশ্বাসে, দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে আমার পায়ে শিকড় গজাবে ... আমার প্রতীক্ষা তবু ফুরোবে না ... পাত্রী চাই - কনস্তান্তিন মেলিখান আমি পাত্রী খুঁজছি। তাকে কেমন হতে হবে? চেহারার ব্যাপারে বিশেষ খুঁতখুঁতি আমার নেই। স্লিম ফিগার আর মুখখানা সুন্দর হলেই চলবে। তাকে হতে হবে হাসিখুশি। আমি যখন মজার কথা বলি, তাকে হাসতে হবে।

আর আমি যখন মদ খেয়ে বাসায় ফিরব, তাকে মজার কথা বলতে হবে। ... তার বাড়ির বিষয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। সেটা শুধু বড়সড় হলেই চলবে। সে বেতন কত পায়, সেটাও বড় ব্যাপার নয়। আমার বেতনের চেয়ে বেশি হলেই হলো।

বিয়ের খরচ ভাগ করা হবে সমান দুই ভাগে। এক ভাগ দেবে সে, অন্য ভাগ তার বাবা-মা। আমি নিশ্চিত, বিয়ের পর আমাদের রুচির মিল থাকবে অনেক। ধরা যাক, ফুটবল দেখতে আমার সঙ্গে স্টেডিয়ামে যেতে সে আগ্রহী নয়। আমরা সে ক্ষেত্রে বাসায় বসে টিভিতে হকি দেখব।

তার স্বাস্থ্যের যত্ন নেব আমি। তাকে অ্যালকোহল, সিগারেট এবং যাবতীয় ক্ষতিকারক খাদ্য ও পানীয় থেকে দূরে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করব। তার ভাগেরটা আমি সেঁটে দেব। তার পোশাক হবে দেবীদের মতো সাদাসিধে ও সুলভ। তার কাজের একাংশের ভার আমি নেব আমার পুরো কাজের দায়িত্ব সে নিলে।

তার রান্নার হাত কেমন, সে নিয়ে গরজ নেই আমার। শুধু সুস্বাদু হলেই চলবে। এবং শুধু রুশ খাবারই রান্না করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এ ব্যাপারে তার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে, আজ জর্জিয়ান খাবার, কাল সকালে হাঙ্গেরীয়, রাতে চায়নিজ... কাপড় ধোয়া আর ইস্ত্রি করার ব্যাপারে তার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে কাপড়চোপড় পরিষ্কার ও ইস্ত্রি করা অবস্থায় থাকতে হবে প্রতিদিন। ঘর পরিষ্কার করতে তাকে বাধ্য করব না।

সুগৃহিণী হলে সে নিজেই এই কাজ করবে। তবে গৃহকর্ত্রী হিসেবে সে মানসম্মত না হলে ঘর পরিষ্কারের কাজটা করবে তার মা। ঘর পরিষ্কার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে তাকে অনুমতি দেব বাসনপত্র ধোয়ার। আমরা দোকানে যাব একসঙ্গে। যাওয়ার সময় ব্যাগ টানব আমি, ফেরার সময় সে।

তার মতামত আমি গ্রহণ করব, যদি আমারটার সঙ্গে মেলে। তার নিরাপত্তার কথা আমি ভাবব সব সময়। পথে-ঘাটে দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে তাকে যাতে সব খুইয়ে বসতে না হয়, বাসা থেকে বেরোনোর সময় তাকে এক রুবলের বেশি দেব না সঙ্গে। তার কাছ থেকে কোনো রকম আনুগত্য দাবি করব না। শুধু আমার ইচ্ছেগুলো পূরণ করলেই চলবে।

আমি পাত্রী খুঁজছি। তাকে আমি আমার অর্ধেক জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত, যদি সে আমাকে তার পুরো জীবন উৎসর্গ করে। আমার চাহিদাগুলো তার মনঃপূত না হলে সে বরং অন্য পাত্র খুঁজুক। আমি পাত্রী খুঁজে চলেছি বহু বছর ধরে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।