আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাইক ভিক্ষা

রস আলোতে বছর কয়েক আগে একটা কৌতুক পড়েছিলাম, এক লোক খুব রাগ করে আছে, তো পাশের প্রতিবেশী তাকে রাগের কারন জিগ্গেশ করায় উত্তরে লোকটা বলল, কে যেন তার দেয়ালে লিখে গেছে "এই বাড়ীর মালিক ছোটলোক"। তো প্রতিবেশীটা বলল, এই কারনেই আপনি রাগ করছেন, লোকটি বলল, আরে না, রাগ করছি কারন আরো দুইটা বদমাইশ সেইটা লাইক করছে। সেই লাইকের মহামারিতে আজ ফেসবুকের বৃহৎ অংশ আক্রান্ত। লাইক করুন, শেয়ার করুন। কোন একটা ছবি বা নোট লিখেই সেটাতে লাইক ভিক্ষা শুরু হয়ে যায়।

কোথাও দেখা যায় একটা ছবি আপলোড করল যে একিই গাছের ডালে দুই যুবক যুবতীর ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যার একটা ছবি আছে, নয়ত কেউ একজন স্বাধীনতার দাবিতে গায়ে আগুন ধরিয়ে রাজপথে দৌড়াচ্ছে, যা কিনা রিতীমত শিউরে ওঠার মত ছবি। আবেগপ্রবন কেউ এ ধরনের ছবি দেখলে নিশ্চিত চোখ ভিজে উঠার কথা, অথচ এই ধরনের ছবির নিচে ক্যাপশনে লেখা থাকে "প্লীজ লাইক ইট" অথবা "হাউ মেনী লাইক এ্ড শেয়ার ফর দীজ পিক"। এই লাইক এবং শেয়ারের লোভে আগাছার মত তৈরী হচ্ছে পেইজ, আর সেসব পেজ ভরে যাচ্ছে আজব সব ছবি আর কমেন্টে। অনেকের মাঝে পেজ খোলার প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে যায়, কে কত পেজের মেম্বার হবে আর কে কত পেজের এডমিন হবে। সেই লাইকের মহামারি ইদানিং ফেসবুক ছড়িয়ে ব্লগ গুলোতেও এসে ভর করেছে।

ব্লগে এসে নিজের ফেসবুক পেজে লাইক করার আর্জি জানিয়ে যাচ্ছে, অনেক চিন্তা ভাবনা করেও এর কুল কিনারা করতে পারলাম না, যতদূর জানি, কোন পোষ্ট বা ছবি ভালো লাগলে লাইক বাটন হিট করা হয়, কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে সেটা বদলে গিয়েছে, মানুষ লাইক বাটনে হিট পাওয়ার উদ্দেশ্যেই ছবি বা পোষ্ট প্রসব করছে। দিন কাল যেমন যাচ্ছে, তাতে হয়ত একদিন দেখা যাবে, সারাদিন শেষে রাতে খাওয়ার টেবিলে গেলে পেছন থেকে বুয়া এসে দাত বের করে জিগ্গেস করবে, "ভাইজান, তরকারিডা বালা অইসে, অইলে একখান লাইক দিয়েন" ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।