আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিবান্ধায় বিএসএফের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল বাংলাদেশী কৃষকরা

কেননা সম্পূর্ন পৃথিবীটাকে দুর থেকে দেখার ইচ্ছা জাগে সরকার কি করলো বা কি করবে তার আশায় বুক না বেধে আসুন এভাবেই প্রতিরোধ গড়ে তুলি। কেননা সরকার আসবে, সময় ফুরিয়ে গেলে আবার চলেও যাবে। কিন্তু দেশটা আমাদেরই রয়ে যাবে। সিমান্তে যারা প্রতিনিয়তই নির্যাতিত হচ্ছেন বা মারা যাচ্ছেন তারা আমাদেরই ভাই বোন। সরকারের কিছুই না।

খেলার মাঠে একবার এর জবাব দিয়েছি, যে আমরাও পারি। ভারত বুঝতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন শক্তিশালী একটি দল। তারা এর মূল্যায়ন ও করে। এখন সময় সীমান্তেও বুঝিয়ে দেবার যে, নির্যাতনের বদলে নির্যাতন, হত্যার বদলে হত্যা। আমাদের-কে ধরে নিয়ে গেলে আমরাও ধরে নিতে জানি।

আমাদের বীর বাঙ্গালী ভাইদের একটি সাহসী পদক্ষেপঃ বৈঠকের আগেই ফেরত দিল সাবুকে : হাতিবান্ধায় বিএসএফের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল বাংলাদেশী কৃষকরা ----- লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী সীমান্ত থেকে গতকাল সকালে বিএসএফ আবারও সাবু নামে এক শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ৯ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ফেরত দিয়েছে। এ সময় বাংলাদেশী কৃষকদের হাতে আটক নুর আলম নামে এক ভারতীয় কিশোরকেও বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ও সীমান্তবাসী জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে হাতিবান্ধার সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪নং মেইন পিলারের ৫/এস এলাকায় ভারতীয় কৃষক আইউব আলী তার কৃষি জমিতে কাজ করছিল। পাশেই বাংলাদেশী কৃষক আতিয়ার রহমানের ছেলে অবুঝ শিশু হাসানুজ্জামান সাবু তাদের জমিতে সেচ কাজ দেখছিল। এ সময় ভারতীয় কৃষক আইউব শিশুটিকে তার শ্যালো মেশিন স্টার্ট করার জন্য টিইউবওয়েল চেপে দিতে অনুরোধ জানায়।

অবুঝ সাবু কোনো কিছু না বুঝেই ভিনদেশী কৃষকের কথামতো টিউবওয়েলে পানি তুলে দিতে গেলে অদূরে ওঁত্ পেতে থাকা ফুলবাড়ি ক্যাম্পের এক বিএসএফ সদস্য জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন ভারতীয় কৃষক আইউব। মুহূর্তে ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাংলাদেশী কৃষকরা। তারা তাত্ক্ষণিকভাবে বিষয়টি সিঙ্গিমারী বিজিবি ক্যাম্পকে অবহিত করেন। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠান।

পত্র পেয়ে গতকাল বিকাল ৬টায় পতাকা বৈঠকে বসার কথা জানায় ভারতের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্প। কিন্তু সে অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছিল বাংলাদেশ সীমান্তবাসীর। আর তাই বিএসএফের ওই আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিঙ্গিমারী সীমান্তে জড়ো হওয়া শত শত কৃষক মুহূর্তে ভারতীয় কিশোর নূর আলমকে ধরে এনে বিজিবির কাছে সোর্পদ করেন। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় নাগরিকরা বিএসএফের গাড়ি থামিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বিকাল ৬টায় বিজিবি-বিএসএফের নির্ধারিত পতাকা বৈঠকের এক ঘণ্টা আগেই বাংলাদেশী শিশুকে ফেরত দেয় বিএসএফ।

পাশাপাশি ভারতীয় কিশোর নূর আলমকেও বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। বিএসএফ কর্তৃক অপহৃত শিশু সাবু তার মায়ের কোলে ফিরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাবু জানায়, ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এক বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর করে। পরে ক্যাম্পে নিয়ে মারধর না করলেও তাকে মদ ও ফেনসিডিল হাতে দিয়ে ভারতের থানায় পাঠাতে চেয়েছিল বলে জানায় সাবু। কিন্তু ভারতের এক কিশোরকে ধরে আনার পর বিএসএফ সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ৩১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসলাম জানান, নির্ধারিত পতাকা বৈঠকের আগেই বিএসএফ অপহৃত শিশু সাবুকে ফেরত দেয়। তাই ভারতীয় কিশোর নূর আলমকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে। সুত্র - দৈনিক আমার দেশ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।