আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঙ্গলের মাটিতে ধূলিঝড়

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক মঙ্গলের মাটিতে সর্পিল গতিতে ঘূর্ণি তুলে ছুটে যাওয়া ধূলিঝড়ের ছবি তুলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ঝড়ের উচ্চতা কমপক্ষে আধমাইল হবে বলে ধারণা করেন তারা। গ্রহপৃষ্ঠের ২০০ মাইল ওপরে কক্ষপথে স্থাপিত নাসার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মারস অরবিটার থেকে তোলা হয় এসব ছবি। মূলত পানির চিহ্ন পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলের বুকে, এই আশায় কক্ষপথে ঘুরে ঘুরে গ্রহটির ওপর নজরদারি করছে নাসার এ অরবিটার। এ বছর ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখে মঙ্গলের আমাজোনিস প্লানিশিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল মারস অরবিটার।

এমন সময় গ্রহটির পৃষ্ঠদেশে আলোড়নের ঘটনা ধরা পড়ে তার হাই রেজল্যুশন ক্যামেরায়। মঙ্গল ঘিরে থাকা বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর তুলনায় মাত্র এক শতাংশ হলেও প্রাকৃতিক ঝড় বা ঘূর্ণি তোলার জন্য তা যথেষ্ট শক্তিশালী। ছবিতে দেখা ঘূর্ণির সর্বোচ্চ চূড়ায় এর ব্যাস হবে কমপক্ষে এক হাজার ফুট। ছবি তোলার ওই মুহূর্তে সূর্য থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বে অবস্থান করছিল মঙ্গল। পৃথিবীর মতোই মঙ্গলের বুকেও বায়ুপ্রবাহের জন্ম হয় সৌরতাপের কারণে।

এখানে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় সাধারণত পরিষ্কার উজ্জ্বল কোনো দিনে। সূর্যের প্রখর তাপে মাটির কাছাকাছি বাতাস উত্তপ্ত এবং পরিণতিতে হালকা হয়ে ওঠে। ফলে উপরিস্থিত শীতল বাতাসের পকেট ভেদ করে তারা চক্রাকারে উঠতে শুরু করে আরও ওপরের দিকে। উল্লেখ্য, সৌরজগতে প্রাণ ধারণের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গ্রহ মঙ্গল বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে কাজ করে আসছে মারস অরবিটার। মহাকাশের অন্য সব অভিযানে যে পরিমাণ তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা, মঙ্গল সম্পর্কে একা মারস অরবিটারই তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য প্রেরণ করেছে পৃথিবীতে।

এর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এমন শক্তিশালী ক্যামেরা রয়েছে, যা মঙ্গলের বুকে পড়ে থাকা ছোট্ট একটি অফিস ডেস্কেরও নিখুঁত ছবি তুলতে সক্ষম। এ পর্যন্ত তার পাঠানো ছবির সংখ্যা ২১ হাজারের ওপরে। গ্রহটিকে একবার ঘুরে আসতে অরবিটারের সময় লাগে ১১২ মিনিট। সংগৃহীত বিপুল তথ্য সংরক্ষণের জন্য ১৬০ গিগাবাইট জায়গা রয়েছে তার মেমোরিতে। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারে এর শক্তিশালী প্রসেসর।

সূত্র ডেইলি মেইল। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.