আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭১সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা ও আল্লামা শফির ভূমিকা ।

আমি খুব সাধারন একজন ১৯৭১ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার ভূমিকাঃ ফেব্রুয়ারী মাসঃ পশ্চিম পাকিস্তানের উলামায়ে কিরাম তৎকালীন সংকটপূর্ণ অবস্থায় পরামর্শ চেয়ে যে চিঠি লিখেছিলেন তার জবাবে হাকিমুন নফস শাহ আব্দুল ওয়াহহাব (র.) যে উত্তর লিখেছিলেন তার কিছু অংশ হচ্ছেঃ ‘আমি বেশ ক্যরকবার পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর উপর আমার অনাস্থার বিষয়টি জানিয়েছি। ইসলাম ও বর্তমান পাকিস্তান যে স্মার্থক নয়-এ ব্যাপারটিও বারবার তুলে ধরেছি। ক্ষমতাসীন্দের বিভিন্ন বৈষ ম্যের বিরুদ্ধে লিখিত-অলিখিত প্রতিবাদ করেছি। মার্চ মাসঃ ২য় স প্তাহে অনুষ্ঠিত উলামা মাশায়েখের সম্মেলনে বলেন, যদি এদেশ আক্রান্ত হয় তাহলে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি ও তাদের অনুচরেরা হবে জালিম আর এ দেশবাসী হবে মজলুম। এপ্রিল মাসঃ মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জামিয়ায় ক্যাম্প করতে চাইলে মুহতামিমে আযম শাহ সাহেব (র.) তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানাদার বাহিনী গোলা ছুড়লে ছাদের গম্বুজ ও মিনারের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং দু’জন ছাত্র আহত হয়। জামিয়ার ‘এহাতায়ে বাগ’ নামক স্থানে মজলুম জন সাধারণের জন্য তিনি তাঁর পরিবারের সদস্য- সদস্যাগণ ও তাঁর সহকর্মীগণ (এইখানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দঃ বাঃ)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কেননা শাহ সাহেব (র.) আহমদ শফী সাহেব (দাঃ বাঃ)কে পরবর্তিতে জামেয়ার অর্থাৎ মাদ্রাসার মুহতামিম বা প্রিন্সিপাল মনোনীত করেন) লংগরখানা খুলেন যেথায় উল্লেখযোগ্যসংখ্ যক হিন্দুধর্মবলম্বিরাও নিয়মিত খাবার খেতেন। যুদ্ধের মাসগুলোতে ধানমন্ডির বাড়িতে যখন বংগবন্ধুর পরিবার অবরুদ্ধ তখন শাহ সাহের (র.)’র নির্দেশে ধানমন্ডির হাজী বশীরুদ্দীন সাহেব নিয়মিত তাদের জন্য খাবার ও খরচাদি পাঠাতেন। জামিয়ার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্র সেক্টর-১ এর অধীনে চাটগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্রযুদ্ধে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতো এবং তথ্য দিয়ে সাহায্য করতো মুক্তিযোদ্ধাদের। সকলের জন্য তাহাজ্জুদ নামাযের পর আল্লাহ পাকের কাছে দুয়া করা এবং ফজরের নামাজের পরে কুনূতে নাযেলা পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

খতমে কোরান ও খতমে বুখারীর আমলও চালু ছিল নিয়মিত। তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বলেছিলেন, ‘আর মাত্র দু’দিন বাকী আছে’। এজন্য তাঁকে স্বাধীনতার কুতুব বলা হয়। ১৯৭২ সালঃ ১৯৭২ সালের জানুয়াদী মাসে জামিয়ার শাহী তোরণে একটি বড় ঘোষণাপত্র টানিয়ে দেন যাতে লিখা ছিল, “কোন রাজাকার বা আল-বদর বা তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ”। সংগৃহিত ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.