আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজারে গৃহবধূর গণধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা..!!! এভাবে আর কত নারী হয়রানি ও নাজেহাল হবে.....???? এসবের কি কোন বিচার হবে না....???

পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" পুলিশের নানা নাটকীয়তা শেষে ৩৪ ঘণ্টা পর কক্সবাজার শহরে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার দুপুর ১টায় কক্সবাজার সদর থানার সহকারী পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শককে (ওসি) নিদের্শ দেন। এর আগে তদন্তের নামে ধর্ষিত গৃহবধূকে নানা হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়েছে। স্বয়ং তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) তৌহিদ এ প্রক্রিয়ায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়কের পাশে নতুন জেলগেট এলাকায় শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) তৌহিদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুরু করে নানা বির্তকিত কর্মকাণ্ড। স্থানীয় লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আসামিদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠে। ওই সময় বাদীপক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনকে দূরে বসিয়ে রাখা হয়। তাদের অভিযোগ, মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানায়, লাল মিয়ার ছেলে নুরুল আলম, বিডিআর ক্যাম্প এলাকার সব্বির আহমদের ছেলে কামাল হোসেন, আবদুল খালেক, দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার আবদুল হকের ছেলে নুরুল আবছার, পূর্ব লার পাড়ার মুবিনুল হক মুবিন, বাদশার ঘোনার বাংলা ইসলামের ছেলে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে জেলগেট এলাকায় চলছে নানা অপরাধ। ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ ধর্ষণের আরো অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের পক্ষে কথা বলেন এবং ভিকটিমকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) তৌহিদ বাংলানিউজকে জানান, গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয়। কীভাবে তিনি এটা নিশ্চিত হলেন- এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মেয়েটির ঘরে রাতে এক পুরুষ ঢুকে ঘণ্টা দুয়েক পর বের হয়। এ ঘটনা দেখে এলাকার কয়েকজন প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই লোকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। ভিকটিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের সত্যতা পায়নি।

ওই নারী এলাকায় অসমাজিক কাজ করতেন। স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সরেজমিনে ওই এলাকায় যান একদল সাংবাদিক। ওই সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ আলোচনায় ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে যান কক্সবাজার সদর থানার সহকারী পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ।

তিনি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার নিদের্শ দেন। সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।