আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের গার্মেন্টে কাজ হারানোর সুযোগ নিতে চায় ভারতের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। পরপর দুটি বড় দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপর ভারতীয় গার্মেন্ট রপ্তানিকারকরা আশা করছেন তারা এখন বেশি বেশি অর্ডার পাবেন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রিকারি পাইকারি বেবসায়ি , ধর্ম বেবসায়ি সবাইকে বর্জন করুন , নিজে বাঁচুন দেশটাকে বাঁচান বাংলাদেশের গার্মেন্টে কাজ হারানোর সুযোগ নিতে চায় ভারতের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। পরপর দুটি বড় দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপর ভারতীয় গার্মেন্ট রপ্তানিকারকরা আশা করছেন তারা এখন বেশি বেশি অর্ডার পাবেন। কারণ, বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। গতকাল অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

‘গামেন্ট প্লেয়ারস লুক টু ফিল বাংলাদেশ ভয়েড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যদিও বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত করেছে এতে প্রতিবেশী দেশে গার্মেন্ট সেক্টরে বড় কোন প্রভাব পড়বে না। তামাকজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রীর সঙ্গে অল্প পরিমাণ টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করা হয়। এতে ওইসব পণ্যও আক্রান্ত হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন একই বার্তা পাঠাতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। তারাও বাংলাদেশী পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে।

এরই মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে হুুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভারতীয় গার্মেন্ট সেক্টরে মূল নিয়ামক হলো বিদেশী ক্রেতা। তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভবন ধসে ১১০০ বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এদেশ থেকে তাদের কাজ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে পোশাক তৈরী করা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি। এই বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভারতকে টপকে গেছে।

কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতা বাংলাদেশে গিয়েছে সস্তায় পোশাক তৈরির জন্য। ভারতে শীর্ষ স্থানের ক্রেতা, ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শ্রম মান বজায় রাখলেও বাংলাদেশে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা চোখ বন্ধ করে থেকেছে। কিন্তু সামপ্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারতীয় কোম্পানিগুলো মনে করছে এই ব্যবসা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল ডি কে রায়ার বলেছেন, আমরা এভাবে কাজ পেতে চাই না।

আমরা সমপ্রতি যে উন্নয়ন করেছি তার ধারাবাহিকতায় ভারতে কাজ আসবে। জ্যোতি অ্যাপারেলসের সিএমডি এইচকেএল মাগু বলেছেন, ভারত যে পরিমাণ কাজ পায় তার ওপর বাড়তি আরও ১০০ কোটি ডলারের কাজ পাবে। বাঙ্গালির দোষ হইল সময় থাকতে বুঝিনা পরে মাথা চাপড়ায়েও কাজ হয়না । আগেই বেবস্থা নিলে এত মৃত্যু এত হাহাকার ও দেখতে হতনা , বেবসা ও দেশের হাতেই থাকত । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.