আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলচ্চিত্রে হরর ধারার ইতিবৃত্ত-III

জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। এখন আসি ৭০ এর দশকে। এটিকে “Nightmare Decade: In Front Of The Children” নামে উল্লেখ করা হয়। এসময়ের চলচ্চিত্র গুলো শিশু দর্শকদের মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে সারা ফেলতে সক্ষম হয়।

আমি কয়েকটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুভির নাম উল্লেখ করতে চাই। যেমন, THE EXORCIST(১৯৭৩), TEXAS CHAINSAW MASSACRE(১৯৭৪), JAWS(১৯৭৫), THE STEPFORD WIVES(১৯৭৬), THE OMEN(১৯৭৬), CARRIE(১৯৭৬), HALLOWEEN(১৯৭৮),এবং ALIEN(১৯৭৯)। ৮০ এর দশকে এসে এনিমেশন এতো এগিয়ে গেল যে মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে আর কোন ফারাক থাকল না। মানুষের সকল কল্পনা সিনেমার মধ্যে ফুটিয়ে তুলার সময় তখন এসে গেছে। এনিমেশনের কল্যাণে হরর মুভি গুলো আরও জীবন্ত ও নিপুণ হয়ে উঠল।

এ সময়কার যেসব সৃষ্টি মানুষ দীর্ঘ দিন মনে রাখবে বলে মনে হয় তার মধ্যে EVIL DEAD(১৯৮০), CHILD'S PLAY(১৯৮৮), THE THING(১৯৮২), THE HITCHER(১৯৮৬), NIGHTMARE ON ELM STREET(১৯৮৪), VIDEO NASTIES( ১৯৮৪)অবশ্যই উল্লেখ করার মত। ৮০র দশকের উন্নতির ধারাবাহিকতা ৯০ এর দশকেও চলমান ছিল বিশেষ কোন পরিবর্তন ছাড়াই। Silence of the Lambs(১৯৯১), Candyman(১৯৯২), Misery(১৯৯০) Se7en(১৯৯৫), Jacob's Ladder(১৯৯০), Scream(১৯৯৬), The Sixth Sense(১৯৯৯), New Nightmare(১৯৯৪), Serial Killers, Blade(১৯৯৮) এগুলি হচ্ছে এ সময়কার চমক। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে চালু হয় সম্পূর্ণ একটি নতুন অধ্যায়ের। টুইন টাওয়ারের পতন সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

নাড়িয়ে দিয়েছিল আমাদের চলচ্চিত্রকারদেরও। এই সময়টাতে ভয়ের মুভি বুঝাতো ভাংচুর ও অস্রের ব্যবহার। অবশ্য অন্যান্য থিম গুলোও একেবারে মড়ে যায়নি। এই দশকের উল্লেখ করার মত অর্জন অনেক বেশি। তার পর আগের ধারাবাহিকতায় কিছু নাম উল্লেখ করলাম।

Dog Soldiers(২০০২), Deathwatch(২০০২), 28 Days Later(২০০২), Final Destination(২০০০), Land of the Dead, High Tension, Shaun of the Dead(২০০৪), Saw(২০০৪), Wolf Creek(২০০৫), Hostel(২০০৫), The Exorcism of Emily Rose(২০০৫), The Devil's Rejects(২০০৫), Night Watch, Slither(২০০৬), Torture Porn(২০০৬), Asian remakes: The Grudge(২০০৪), Dark Water, The Eye, The Descent(২০০৫), Grindhouse (২০০৭), The Host (২০০৬), The Mist (২০০৭), The Orphanage (২০০৭)। বর্তমান সময়কার মুভি গুলো অবশ্য কোন ধারা মেনে চলছে বলে আমি মনে করি না। পৃথিবীতে মানুষ যেমন বেড়েছে অগুনিত, তেমনি মুভি দর্শকের সংখ্যাও বেড়েছে। সাথে সাথে বেড়েছে রুচির বৈচিত্র্য। তাই বিচিত্র রকমের দর্শকদের চাহিদা মিঠাতে আসছে হরেক রকম আইডিয়া, প্রযুক্তি, যন্ত্রের ব্যবহার, বাজেটের পরিমাণ ও আধুনিক চিন্তা-ভাবনা।

পূর্বের হরর মুভি মানেই বুঝাতো স্বল্প বাজেটের ও স্বল্প আলোতে নির্মিত ছবি। কিন্তু সে সময়টা আর নেই, দর্শকদের চাহিদার দিকে তাকিয়ে এখনকার প্রযোজক-পরিচালক গন আর অর্থ লগ্নি করতে পিছপা হন না। সম্ভবত চলচ্চিত্র শিল্পের এই ধারাটির এতো জনপ্রিয়তার এটিই প্রধানতম কারণ। ---শেষ--- চলচ্চিত্রে হরর ধারার ইতিবৃত্ত-I চলচ্চিত্রে হরর ধারার ইতিবৃত্ত-II ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।