আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নেই

বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। তবে ভারত, ইরান, ইসরাইলের বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে আছে চীন ও জাপান। টাইমস হায়ার এডুকেশন চলতি বছরের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ের ফল প্রকাশ করেছে। ১৭ হাজার শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মাঠজরিপের ভিত্তিতে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সংখ্যা, শিক্ষকদের গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তি করে এ র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে। ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এগিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমেরিকার ৭টি এবং বৃটেনের মাত্র ৩টি। র‌্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জাপান। ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাপানের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে।

এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পয়েন্ট ৭৪.৩। টোকিও ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৩০তম। এরপরেই রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব হংকং। এটির অবস্থান ৩৪তম।

মোট পয়েন্ট অর্জন ৭২.৩। র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ৯৪.৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ৯৩.৯।

৩য় অবস্থানে রয়েছে স্টেইনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এটির অর্জন ৯৩.৯ । চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বৃটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এটির অর্জন ৯৩.৬। ৫ম অবস্থানে রয়েছে আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি।

এটির অর্জন ৯২.৯ । ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। এটির অর্জন ৯২.৪। ৭ম অবস্থানে রয়েছে আমেরিকার এমআইটি । এটির অর্জন ৯২.৩ ।

৮ম স্থানে রয়েছে বৃটেনের ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডন। এটির অর্জন ৯০.৭ । ৯ম অবস্থানে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো। এটির অর্জন ৯০.২ । ১০ম অবস্থানে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া।

এটির অর্জন ৮৯.৮। র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪টিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ২৮ ভাগ ইউরোপের এবং এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যর ২৫ ভাগ ইউনিভার্সিটি স্থান পেয়েছে। এশিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে জাপান, চায়না, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নতি হয়েছে। শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে ৩টি।

এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যেখানে উন্নতি হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকাটা হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদরা। ভারতের ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বোম্বে স্থান করে নিয়েছে তালিকায়। ইরানের শরীফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নাম রয়েছে শীর্ষ ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। ইসরাইলের হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম (১২১), তেল আবিব ইউনিভার্সিটি (১৬৬ ) ও বার লান ইউনিভার্সিটিও স্থান করে নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান কমে গেছে বিষয়টা এমন নয়।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলো প্রযুক্তিগতভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারেনি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনও ভাষাগত সমস্যা রয়ে গেছে। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই বাংলা মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া এখনকার শিক্ষকরা আগের মতো আর গবেষণাও করছেন না। আন্তর্জাতিক জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে এমন শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম।

দু’-একজনক পাওয়া যাবে কিনা সেটাও সন্দেহ। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা পিছিয়ে গেছি। এছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ-সুবিধাও কম। বাজেট করা হয় মূলত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন নির্ভর। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নেই।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতাও সীমিত। ফলে শিক্ষকরা শিক্ষকতার বাইরে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারা নিয়মিত ক্লাস নেন না। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সাজেশন দিয়ে দেন। ৮টি প্রশ্ন পড়লেই কমন।

যা বিশ্বের কোথাও নেই। আমাদের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কারও মান বাড়ছে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.