আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ প্রেমিকের অভাব নেই !

মনেরমত শুধু একটি জীবন কানাডায় রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে লাইসেন্স পেতে লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিতে, ২০টি প্রশ্নের ১২টির সঠিক উত্তর দিতে পারলে নির্দিষ্ট ফিস জমা দিয়ে ছবি তুলে প্রাথমিক ড্রাইভিং পরিচয় পত্র বা কার্ড প্রদান করা হয়। পরিচয় পত্রটির মেয়াদ থাকে ৫ বছর। ৫ বছর সময় সীমার মধ্যে রাস্তায় গাড়ি চালানো শিখতে হবে অভিজ্ঞ চালক দ্বারা যাদের ড্রাইভিং ইন্সট্রাকটর বলে। ড্রাইভিং স্কুল গুলো নতুন চালককে বিশেষ ধরনের গাড়ি দ্বারা রাস্তায় গাড়ি চালানো শেখায়। কানাডার প্রাদেশিক সরকারের ট্রাফিক আইন কানুন সঠিকভাবে মেনে গাড়ি চালানো শিখে ৮ থেকে ১২ মাস পর পূর্ণ লাইসেন্স এর জন্য রোড টেস্ট পাস করতে হয়।

কঠিন নিয়ম কানুনের বেড়াজাল আতিক্রম করে অনেকেই সফল হন অনেকেই হন না। সফল না হলে পুনরায় রোড টেস্ট পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হয়। আমরা যারা এখানে গাড়ি চালাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক আইন কানুন মেনে চলি। এখানে পথচারিদের আগ্রাধিকার বেশি, কোন কারনে আইন ভঙ্গ করলে পুলিশ টিকেট প্রদান করে যা একটি ১৫ পয়েন্টের লাইসেন্সের ক্ষতি সাধন করতে শুরু করে। পুলিশ কর্তৃক যে কোন কারনে টিকেট খেলেও আপনি কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারেন নির্ভয়ে।

কোর্ট নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করে আপনার কি পরিমান শাস্তি নির্ধারণ করবেন হয়তো আপনার শাস্তি লঘু হতে পারে। অর্থ জরিবানা খানিক কমিয়ে অপরাধের ধরন অনুযায়ী পুলিশ কর্তৃক ধার্য পয়েন্ট কমতে পারে কিংবা মাফ হতে পারে। এবার আমার মুল কথাটি বলে ফেলি যে জন্য এত লম্বা ব্যাখ্যা দিলাম। ইদানিং বাংলাদেশের রাস্তা ঘাটে বেপরোয়া খামখেয়ালী ভাবে গাড়ি চালানোতে মানুষের নিরাপত্তার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যা প্রতিটি সচেতন নাগরিকের মত আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে। বাংলাদেশে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সচেতন সৎ আধুনিক নন বিধায় পুরো সিস্টেমকে নষ্ট করে তুলেছে।

" দেশ প্রেমিকের অভাব নেই দেশ সেবকের বড়ই অভাব"( মুনতাসির মামুন) । চলবে ----- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।