আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইটা কি সম্মান নাকি উপহাস...!!!

আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের...... কারো কাছ থেকে কোন উপহার পাওয়া যে কোন সময় যে কোন মানুষের জন্য আনন্দের। আমিও সেই আনন্দের বাইরের কেউ নয়। আর তা যদি বয়ে আনে দেশের সীমানা ফেরিয়ে আন্তজাতিক মানের কোন স্ব্রীকৃতি তাহলে তো আনন্দের সীমারেখাও বেশী হয়। যার কারনে দেশের সম্মান ও বাড়ে। এমনি করে দেশের অনেক মানুষই বয়ে এনেছেন দেশের জন্য সম্মান ।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তার নোবের প্রাপ্তি দেশ কে বহিবিশ্বে নতুন করে চিনিয়েছে। আর তরুন প্রজন্মের জন্য সুনাম বযে এনেছে খেলয়াড় সাকিব আল হাসান। আমরা সবাই জানি তাদের কোন কর্মের কারনে তারা আজ আমাদের মাঝে পরিচিত । কোন কর্মের জন্য তারা বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত।

কিন্তু গভর্নর আতিউর রহমান এইটা কোন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন...??? ‘ইন্দিরা গান্ধী সম্মাননা’ পাচ্ছেন আতিউর রহমান এ বছর ‘ইন্দিরা গান্ধী গোল্ড প্লাক’ সম্মাননার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের নাম ঘোষণা করেছে ভারতের এশিয়াটিক সোসাইটি। এ সংস্থার মহাসচিব অধ্যাপক মিহীর কুমার চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার সকালে টেলিফোনে গর্ভনরকে বিষয়টি জানান। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর একজনকে এই সম্মাননা দেয় এশিয়াটিক সোসাইটি ইন্ডিয়া। মানবোন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখায় ২০১১ সালের সম্মননা পাচ্ছেন আতিউর রহমান। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে।

” মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে আতিউর রহমানের হাতে ‘ইন্দিরা গান্ধী গোল্ড প্লাক’ তুলে দেবে এশিয়াটিক সোসাইটি। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৮৫ সাল থেকে এশিয়াটিক সোসাইটি এ সম্মাননা দিয়ে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন মেন্ডেলা, কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভারতের মাদার তেরেসা, অমর্ত্য সেন, মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চি, এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ সম্মাননা পেয়েছেন। সূত্র - বিডি নিউজ ২৪.কম। যদি তিনি আসলেই এই পুরুষ্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন তাহরে দেশের সাধারন মানুষ কেন তার বিদুদ্ধে স্লোগান দিল, গত একটি বছর?? কেন তার পদত্যগ দাবি করল? তিনি কি এই পুরুষ্কার পেয়েছেন বছরের শুরুতে একটা মহৎ ভুল করে "৫০ টাকার নুতুন নোট এ জয়নুল আবেদিন এর নামের বানান ভুল করে দেশের কয়েক কোটি টাকা নষ্ট করে", যা পরে বাতির করা হয়।

যদিও বানান ঠিক করে আবার বাজারে ছাড়া হবে। তিনি আসলে কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরুষ্কার পেলেন ??? আমি তো উনার মনে রাখার মত কোন কাজ দেখতেছিনা যার কারনে বাংলাদেশের অর্থনিতী অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। আপনারা কি দেখেন? এই পুরুষ্কার কি উপহাস ছিল নাকি উপঢোকন তাও বলতে পারছি না। উল্লেখ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর একজনকে এই সম্মাননা দেয় এশিয়াটিক সোসাইটি ইন্ডিয়া। উনি আসলে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন ??? আমাকে একটু আপনারা জানান।

আমি এতই মুর্খ যে দেশর এত বড় একজন ব্যক্তির কথা ঠিক মত জানিনা। এই জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যদি আপনারা ও না জানাতে পারেন তবে আমার মত ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আর যদি জানেন তাহলে জানাবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।