আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করলে জেল!

ফেসবুকে কাউকে গালি দেওয়া, মন্দ কথা বলা, অপমান করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের ছোট দেশ গ্রানাডার সরকার।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গ্রানাডাতে একটি আইন পাশ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে, অনলাইনে কাউকে অপমান করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
কাউকে গালি দিলে বা কারও নামে কুত্সা রটানোর অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন বছরের জেল বা ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হবে তার। এক্ষেত্রে টুইট বা ফেসবুক মন্তব্যের সেই কপি সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে গণ্য হবে।
গ্রানাডাবাসীরা অবশ্য কোন কোন শব্দ গালি হিসেবে গণ্য হবে তার একটা তালিকা নির্ধারণ করার দাবিও জানিয়েছেন।


প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, এ ধরনের আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে সব সময়ই মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে। অনলাইন এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে কারও কথায় কেউ না কেউ আঘাত পেয়ে যেতে পারেন।
এখন হাতে থাকা স্মার্টফোন নিয়ে যেকোনো বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করা বা কাউকে গালি দেওয়া, কারও অতিরিক্ত প্রশংসা করা খুবই সহজ।

বাংলাদেশে আইন
ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপ বা ইন্টারনেটের যেকোনো মাধ্যমের অপরাধ-সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং এ-সম্পর্কিত স্থির ও ভিডিওচিত্র আদালতে আমলযোগ্য হবে।

এই বিধান রেখে ১১ জুন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) বিল ২০১৩ পাস হয়েছে।
বিলের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সন্ত্রাসী ব্যক্তি, সত্তা বা সংগঠনের ফেসবুক, স্কাইপ, টুইটার বা ইন্টারনেটের যেকোনো মাধ্যমের অপরাধ-সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা ও কথাবার্তা অথবা অপরাধ-সংশ্লিষ্ট স্থির ও ভিডিওচিত্র অপরাধের আলামত হিসেবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আদালতে উপস্থাপন করতে পারবে। এ বিষয়ে সাক্ষ্য আইনে যা-ই থাকুক না কেন, মামলার স্বার্থে তা আদালতের গ্রহণযোগ্য হবে।
৪০ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা তাত্ক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে মামলা রুজু করে তদন্তকাজ শুরু করতে পারবেন।

ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে সাবধানতা

ফেসবুক বা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে কোনো পোস্ট করার আগে সাবধান থাকা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাকরি পেতে গেলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে। হ্যারিস ইন্টারঅ্যাকটিভ ও ক্যারিয়ার বিল্ডার ডটকম নামের দুটি প্রতিষ্ঠান দুই হাজার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। গবেষণায় ৩৯ শতাংশ পরিচালক চাকরিপ্রার্থীর ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখার কথা স্বীকার করেছেন। এ জরিপে পরিচালকরা ফেসবুকে ছয়টি বিষয় ফেসবুকে পোস্ট করা বিষয়ে সাবধান হতে বলেছেন।

১. অশালীন বা কুরুচিপূর্ণ ছবি
২. মাদক সেবন সংক্রান্ত তথ্য
৩. গালি ও সাবেক সহকর্মীদের বিষয়ে মন্তব্য
৪. বর্ণবাদী ও ধর্ম অবমাননা করে মন্তব্য
৫. মিথ্যা তথ্য।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.