আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চালোগ তালিয়া বাজাও, ভারত আমাদের দেয়া কথা রেখেছে। আমরাও প্রতিদান দিয়েছি

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত ভারত আমাদেরকে দেয়া কথা রেখেছে। তারা সীমান্তে গুলি চালায়নি। এবার তারা পিটিয়ে মেরেছে। ক্যায়া বাত! জবানের কি দাম! কিন্তু বিশ্বাস করুন বন্ধুগণ, আমরা গুলি বন্ধ নয়, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হোক চেয়েছি। আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানেরা আমাদের জানিয়েছে, তারা ভারতের কাছ থেকে কথা আদায় করে নিয়েছে, সীমান্তে আর গুলি চলবেনা।

আমরা তাদের কথা হাসিমুখে বিশ্বাস করেছি। আমরা ভেবেছি, সীমান্তে হত্যা বুঝি বন্ধ হলো। আমরা বরাবরের মতো ভুলে গেছি, মনমোহন দাদার সফরের পর এরা বলেছিলো, তিনমাসের মধ্যে চুক্তি হবে। হয়নি। কারন আমরা ভুলে গেছি।

আমরা ভুলে যাই, এরাই সাগর-রুনির খুনিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে বের করার কথা বলে, পরে বলে "বেডরুমে নিরাপত্তা দেবার দায়ভার সরকারের নয়"। হে সরকারপ্রধান, আমাদের বলুন, আমরা কোথায় নিরাপদ? আপনারা কোথায় আমাদের নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন? কথাগুলো কি ভেবে বলছেন? নাকি হঠকারিতার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন? অথবা বয়সের দোষ! সীমান্তে গতকাল এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে মেরেছে বিএসএফ। আবদুল জলিল নামক গরু ব্যাবসায়ীর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। এর আগেও গত ২রা ফেব্রুয়ারিতেও সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে মেরেছিলো তারা। মারুক।

কুকুরের মতো পিটিয়ে মারুক। আমাদের পা চাটা সরকারকে লাশের মিছিল উপহার দিক। লাশের উপর বসে, দিপুমনিরা মনভোলানো হাসি হাসবেন। আমরা অতিথিপরায়ণ। বিদেশীরা আমাদের আতিথ্য দেখে হাত তালি দিয়ে যায়।

বোকারা জানেনা। আমরা এখন অনেক বদলে গেছি। পাশের বাসার খোঁজও আমরা এখন নেইনা। তবে হ্যা। বিদেশী দেখলেই, আমাদের আতিথ্য বেড়ে যায়।

আমাদের দেশের মানুষের সাথে হাসি-মুখে কথা না বললেও, বিদেশীদের দেখলে ৩২ দাঁত বের করে ফেলি। গত রবিবার ভারতীয় এক গুপ্তচরকে অস্ত্রসহ ধরে ফেলা হয়। বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকো পার্ক এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের ওই সদস্যকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে। তার বাড়ি ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশ। সে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের ৩৫ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা শাখার মেঘালয় সীমান্ত এলাকায় কর্মরত রয়েছেন।

একজন গুপ্তচরকে ধরেও পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ছেড়ে দিতে হয়। যারা রব তোলেন, বাংলাদেশের মানুষ চোরাচালানী করতে যায় কেনো? সেইসব ভাদাদের কাছে প্রশ্ন রইলো, গুপ্তচর কি দেবতা? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।