আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত এবং শেখ হাসিনার কাল্পনিক কথোপকথনঃ

সুপ্রিয় ব্লগার বন্ধুমন্ডলী এখন ব্লগে জিঙ্গা পোকার খেলার বিরতি। আর এই বিরতির সময় এখন কার টক শো পর্বে আমি চৌধুরি জাফল্লাহ শারাফাত আপনাদের প্রত্তেককে জানাই স্বাগতম। আপনারা ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন,আজ ২১ ফাল্গুন ৪ঠা মার্চ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিস্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১ ঘটিকার কিছু পুর্বে পদ ধুলি পড়েছিল যে মহামানবীর,যার আগমন উপলক্ষে পলাশী মোড় এবং আশেপাশের এলাকা নতুন রুপে সেজে উঠেছিল,যাকে বরন করার জন্য আশেপাশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কাঠফাটা রোদে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল,তিনি আর কেউ নন,তিনি হলেন জননেত্রী,দেশরত্ন,গনতন্ত্রের মানস কন্যা,বিশ্ব দরবারে ৩য় বিস্বের বলিষ্ঠ কন্ঠ,সাম্প্রতিক কালে জাতিসং ঘের mdg award প্রাপ্ত,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ এর সুচনাকারী,জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচারকারী,দেশে ও বিদেশে একাধিক সম্মান সুচক ডিগ্রি প্রাপ্ত,২ ২ বার জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। স্বল্প সময়ের সংক্ষিপ্ত সফরেও তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাতকার দিতে রাজি হয়েছেন। এখন কথা বলব মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে।

মাননিয় প্রধানমন্ত্রী বুয়েটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে পেয়ে বুয়েট আজ ধন্য। বুয়েটের আকাশে বাতাসে আজ জেখানেই কান পাতি সেখানেই শুনি জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু,জয় হাসিনা,জয় জয় ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীঃআপনাকে ধন্যবাদ। বুয়েটে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সবসময় রাষ্ট্রপতি এসে সার্টিফিকেট দিয়ে যায়। আমি ভাবছি বুয়েটের ক্ষেত্রে নিয়ম টা চেঞ্জ করব। আমি নিজে এখানকার সমাবর্তনে আসব। শারাফাতঃআপনাকে আগাম ধন্যবাদ। আশা করি এর ফলে বুয়েটের সমাবর্তন অনেক প্রানবন্ত হবে।

ম্যাম,আপনার মুল কর্মসুচী ছিল পলাশি নিউ একাডেমিক বিলডিং এ ১২ তলায় তড়িত কৌশল বিভাগ উদ্বোধন। এরপরে নিচে এসে প্যান্ডেলে ভাষন দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীঃহ্যা,১২ তলা থেকে আমি উকি মেরে দেখেছিলাম,ঢাক ভার্সিটির আমার ডিপার্টমেন্ট দেখা যায় কিনা। ইডেনের হস্টেল দেখতে পেয়েছি,ইডেনের পুকুর দেখেছি,ইডেনের মাঠ দেখেছি,জহুরুল হক হলের মাঠ দেখেছি কিন্তু আমার ডিপার্টমেন্ট দেখতে পাই নি। আমি চাই পুয়েটের ছাঁদ থেকে যেন পুরো ডি ইউ দেখা যায়।

এজন্য পুয়েট কে যত তলা বাড়াতে হয়,আমার সরকার তা করবে। টেন্ডার টা যেন ছাত্র লীগের ছেলেরাই পায় সেটা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দেখব। শারাফাতঃঅবশ্যই অবশ্যই। ছাত্রলীগ ছাড়া আর কারো প্রশ্ন আসে না। ম্যাম,১২ তলা উঠতে আপনার নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা কাজ করেনি? প্রধানমন্ত্রীঃকেন কাজ করবে?আমার সরকার বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে না পারলেও লিফটের ভিতরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

ইনশাল্লাহ আগামী টার্মে আবার আসতে পারলে বেডরুমের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করব। শারাফাতঃম্যাম বুয়েটে নতুন কোন ডিপার্টমেন্ট খোলার কথা চিন্তা করছেন? প্রধানমন্ত্রীঃআমার সরকার জনগনের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। আমার সরকার আসার পরে বুয়েটে সিট বাড়ানো হয়েছে। গ্লাস এন্ড সিরামিক ডিপার্তমেন্ট খোলা হয়েছে। দেশের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সরকার নীতিগত ভাবে বুয়েটে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন একটা ডিপার্তমেন্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আশা করি আগামী নির্বাচনেই সেই ইঞ্জিনিয়ারদের আমরা ব্যাবহার করতে পারব। শারাফাতঃবুয়েট নিয়ে ভবিষ্যতে আর কি কি পরিকল্পনা আছে আপনার সরকারের? প্রধানমন্ত্রীঃঅনেক বড় বড় পরিকল্পনা আছে। সেনাবাহিনী । আমার পরিকল্পনা আছে বুয়েটের মেকানিকালের ইঞ্জিনিয়ারদের কে দিয়ে দেশীয় প্রজুক্তিতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুত করে ছাত্র লীগের হাতে অস্ত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করা। মেকানিকালের ছাত্র দেরকে বলব তোমরা প্রজেক্ট কোর্স হিসেবে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর প্রজেক্ট নিবা।

এডভাইজার দিতে না চাইলে আমার রেকমেন্ডেশন নিয়ে যাবা। তোমরা দেশের মেধাবীতম সন্তান। তোমাদের দিকেই দেশ এবং আওয়ামী লীগ তাকিয়ে আছে। শুধুমাত্র মিশুক বা প্রি পেইড ইলেক্ট্রিকাল মিটার বানিয়েই তোমাদের দায়িত্ব শেষ নয়। শারাফাতঃকয়েকদিন আগে ০৭ ইলেক্ট্রিকাল ব্যাচের লিমন পলাশী থেকে মদ্যপ অবস্থায় পিস্তল সহ ধরা পড়েছিল।

ওই পিস্তল টা কি বুয়েটের বানানো ছিল? প্রধানমন্ত্রীঃআপনি কি পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য শোনেন্নি?তিনি পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন ওটা খেলনা পিস্তল ছিল। আমি আইনের শাশনের প্রতু শ্রদ্ধাশীল। পুলিশ যা বলবে,অবশ্যই আমি তাই বলব । পুলিশ কমিশনার কি বুয়েটের নাম উল্লেখ করেছে?করেনি। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

এ বিষয়ে আমি আর কিছুই বলব না। শারাফাতঃআপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই অতীতেও বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রাজশাহীতে বিষাক্ত মদ পানে মারা গেছেন-এমন রেকর্ড আছে। প্রধানমন্ত্রীঃঅতীত কে ভুলে যান। অতীত নিয়ে পড়ে আছেন বলেই তো আপনি এখনো 'বল চলে গেল মাঠের বাইরে' বলে থাকেন। শারাফাতঃওওও ম্যাম(বিব্রত).........আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন কিনা ক্যাম্পাসের সাধারন ছাত্রদের মাঝে ছাত্র লীগ তেমন জনপ্রিয় নয়।

প্রধানমন্ত্রীঃজনপ্রিয় হওয়ার কোন দরকার নেই। বেশি কর্মী হলে তো টাকা পয়সার ভাগাভাগিতে সমস্যা হবে। কম কম থাক। কন্তু তারা যেন ক্যাম্পাস ডমিনেট করে। অন্য ভার্সিটির মত বুয়েটে তো ভায়োলেন্স করে ক্যাম্পাস ডমিনেট করার কোন দরকার নেই।

এখানে অনেক টাকা ওয়ালা প্রগ্রাম হয়। র্যা্গের বাজেট থাকে ২০ লাখের উপরে। ক্লাস পার্টি,পিকনিক থেকে শুরু করে হাজার হাজার প্রোগ্রাম হয় এখানে। আমার ছেলেদের বলব,এই সব প্রোগ্রাম যেন তাদের কন্ট্রলে থাকে। শারাফাতঃএবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি।

আপনি হরতালের বিরোধিতা করেন এই কথা বলে যে এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। আমি আপনার মনোযোগ আকর্ষন করব,আপনার আগমন উপলক্ষে আজ পলাশী বাজারের মেইন গেট বন্ধ ছিল। পলাশী মোড়ের সব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এই অর্থনৈতিক ক্ষতি কে আপনি কোন চোখে দেখেন? প্রধানমন্ত্রীঃএটা অর্থনৈতিক ক্ষতি না। পলাশীর মোড়ের দোকান গুলো থেকে কারা চাদা উঠাবে বুয়েট ছাত্রলীগ,না জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ সেটা নিয়ে দীর্ঘ দিন গ্যাঞ্জাম ছিল।

এখন সব উচ্ছেদ করা হয়েছে। নতুন করে দোকান বসালে নতুন ভাবে চাদার হিসাব হবে। আমি ওদেরকে ভাগাভাগির হিসাবটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমার আসার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল এটাই। আর বাজারের কথা বল্লেন...হতে পারে আমার আসা উপলক্ষে ২ গ্রুপের সং ঘর্শ বাধতে পারত।

তখন বাজার লুট হয়ে যেত। সতর্কতা মুলক ব্যাবস্থা হিসেবেই বাজার বন্ধ রাখা হয়েছিল। শারাফাতঃবুয়েট নিয়ে আপনার ব্যাক্তিগত কোন ঘটনা বলবেন কি? প্রধানমন্ত্রিঃঠিক মনে পড়ছে না। তবে ২০০৯ এর২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা বিদ্রোহের সময় ভেবেছিলাম বুয়েটের এত কাছে যেহেতু ঘটনা সেহেতু অল্পতেই গন্ডগোল মিটে যাবে। বূয়েটের অভিনেতা আবুল হায়াত,অপি করিম,সিভিল এর মুনাজ সারের অভিনয় দেখেছি।

এনামুল করিম নির্ঝরের পরিচালনায় আহা সিনেমাটা দেখছি। এ বছর একুশে পদক পাওয়া অজয় রায় এর ছেলে অভিজিত রায়ের বই গুলো কিনেছি। ইলেক্ট্রিকালের ফারসিম মান্নান মহাম্মদী সার এর বই কে যেন গিফট করেছে আমাকে। শিরোনামহীন,রেডিও এক্টিভ,পাওয়ার সার্জের কথা শুনেছি। বুয়েটে নিশ্চই আরো অনেক প্রতিভা আছে।

সবার কথা তো আর বলতে পারব না। শারাফাতঃকোন ব্যাক্তিগত চাওয়া পাওয়া? প্রধানমন্ত্রীঃভেবেছিলাম বুয়েট আমাকে সম্মান সুচক কোন ডিগ্রি দিবে। যাই হোক জয়ের কথা ভাবছিলাম। ও বাংলাদেশে আসতে চায়। কিন্তু ওর কাজ করার মত পরিবেশ নেই এখানে ।

বুয়েট যদি একজন মেধাবী বাংলাদেশী কে মুল্যায়ন করে সঠিক সম্মান দিতে চায়,তাহলে আমি মা হিসেবে ওর সাথে কথা বলে দেখতে পারি। বুএটের ভিসির বয়স তো অনেক হয়ে গেছে। আর ছাত্র রা পরীক্ষা পেছানোর মিছিলেও তার পদত্যাগ চায় বলে শুনেছি। শারাফাতঃবুয়েটের একেবারে সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন; প্রধানমন্ত্রীঃদেখ,বাবা মা তোমাদের ইঞ্জিনিয়ার হতে পাঠিয়েছেন। সেই টাই কর।

এর বাইরে মুভি দেখে সময় কাটাতে পারো। আর কিছু করতে যাবে না। তোমরা ঢাকা ভার্সিটির স্টুডেন্ট না। তারা ২০০৬ সালে ক্যাম্পাস থেকে আর্মি সরিয়েছিল। ওদের সেই ক্ষমতা আছে।

দেশের প্রত্যেক বিপ্লব ডি ইউ থেকে শুরু হয়। তোমরা ওদের ফলো করতে যেয়ো না। রাজনীতি সচেতন তোমাদের হতে হবে না। রাজনীতি করে খারাপ ছেলেরা। যাদের সামনে ক্যারীয়ার অনিশ্চিত তারাই রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে জায়।

তোমাদের তো সে চিন্তা নেই। তোমরা যাবে কেন?দেশের কোথায় কি হচ্ছে সে খবরে তোমাদের কোন দরকার নেই। ক্লাস রুমে কি হচ্ছে সেই টা জানলেই যথেষ্ট। বিপ্লবী বুয়েটিয়ান বা বুয়েটের আঙ্গিনা সন্ত্রাসীদের ঠাই না এইসব ভার্চুয়াল বিপ্লবীদের কথা শুনে তোমরা রাস্তায় নেমেছো, শুনে আমার হাসি পায়। ভুল করেছ।

সেটা নিশ্চয়ি এতদিনে বুঝতেও পেরেছ। যাই হোক,তোমাদের নিশ্চুয় ই অভিজ্ঞতা হয়েছে। এইসব ফেসবুক নোট পড়ে তোমাদের রক্ত আর গরম হবে না,আমি নিশ্চিত। শারাফাতঃএইবার অসাধারন ছাত্র মানে ছাত্র লীগের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। প্রধানমন্ত্রীঃওদের তো আর নতুন করে কিছু বলার নেই।

সবাই কে মনে করিয়ে দিব IEB (engineers istitution of bangladesh) এর রাজনীতির দিকে চোখ রাখবে। এই প্রতিষ্ঠানে আমি আমাদের লোক সবসময় দেখতে চাই। শারাফাতঃআমাদের কে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসঙ্খ্য ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীঃআপনাকেও ধন্যবাদ। জয় বাংলা ।

জয় বঙ্গবন্ধু । বাংলাদেশ চিরজীবি হোক। শারাফাতঃসুপ্রিয় দর্শক এতক্ষন কথা বলছিলাম জননেত্রী,দেশরত্ন,গনতন্ত্রের মানস কন্যা,বিশ্ব দরবারে ৩য় বিস্বের বলিষ্ঠ কন্ঠ,সাম্প্রতিক কালে জাতিসং ঘের mdg award প্রাপ্ত,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ এর সুচনাকারী,জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচারকারী,দেশে ও বিদেশে একাধিক সম্মান সুচক ডিগ্রি প্রাপ্ত,২ ২ বার জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এর সাথে। তিনি বুয়েট নিয়ে অনেক কথা বললেন । ভবিষ্যতের রঙ্গিন ছবি আকলেন।

তিনি যে আশাবাদ ব্যাক্ত করলেন সেই আশা আকাঙ্খা কামনা বাসনা প্রতীক্ষার লালিত স্বপ্ন আমাদের প্রত্যেকের। আপ্নারা বুয়েটে পড়তে থাকুন। আপনাদের বুয়েট লাইফ হোক প্রানবন্ত। আপাতত চলুন আপনাদের কে ফিরিয়ে নিয়ে যাই পোকার বোর্ডে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.