আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল্লামী শফীকে নিয়ে ভণ্ডদের বক্তব্য : আওয়ামী এমপি গোলাম মওলা রনির মিডিয়ার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

আল্লামা শফীকে নিয়ে অনেক বাজে বক্তব্য আসছে। যা খুব দুঃখজনক। আওয়ামীলীগের ইন্ধনে যেহেতু এরা করছে তাই লীগের ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুব শঙ্কিত। খুব বাড়াবাড়ি করছে আওয়ামীলীগ। এনিয়ে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট করেছে ডিনিউজবিডিডটকম।

এটার সম্পাদক হচ্ছেন আওয়ামী এমপি গোলাম মওলা রনি। পুরোটা হুবহু তুলে দিচ্ছি। লিঙ্ক দিলাম আগে View this link মুজাহিদ বাহিনীতে ছিলেন আল্লামা শফী ! স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধী মুজাহীদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী-এমন অভিযোগ তাঁর বিরোধী পক্ষ থেকে আনা হলেও অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় নি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জনাব আহমদ শফীর বয়স এবং তাঁর জামাত বিরোধী কর্মকান্ডসহ নানা বিষয় বিশ্লেষণ করে বিরোধীদের দাবীর স্বúক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায় নি। ইসলামের পক্ষে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে এখন বাংলাদেশে একটি আলোচিত নাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বিশেষ করে মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া গণজাগরণ মঞ্চ এবং ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত হানার অভিযোগ এনে জনাব আহমদ শফীর অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হঠাৎ করেই দেশব্যাপী সক্রিয় হয়ে উঠে। চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসায় বসে প্রথম দিকে তিনি আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেছেন। একপর্যায়ে তিনি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট নাস্তিক ব্লগারদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে ৬ এপ্রিল ঢাকামূখী লং মার্চ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তাঁর এই ঘোষণার পর পরই লং মার্চের পক্ষে বিপক্ষে রাজনৈতিক ময়দান সরগরম হয়ে উঠতে থাকে। ৫০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট এবং দাবী না মানা হলে দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকির পর সরকার পক্ষের কিছুটা টনক নড়ে ওঠে।

দাবী আদায়ে হেফাজতে ইলাম বাংলাদেশ তাদের নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে নমনীয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও দাবী আদায়ে অনঢ় অবস্থানে থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে অনেকটা চাপের মুখে পড়ে যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতে আল্লামা শফী’র হাটহাজারী মাদ্রাসায় সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেওয়ার জোর দাবী জানায় প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তরা। কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরে আসে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অপরদিকে এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র জামায়াত কানেকশনের।

বিরোধী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিলেন আহমদ শফী। একসময় তিনি মুজাহীদ বাহিনীতে সদস্যও নাকি ছিলেন। কিন্তু এসব অভিযোগের ব্যাপারে দালিলিক কোন প্রমাণ দিতে পারেনি অভিযোগকারীরা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দাবী করা হয়েছে আল্লামা আহমদ শফী মুক্তিযুদ্ধের চেনায় বিশ্বাসী দেশের একজন বিশিষ্ট হাক্কানী আলেম। সেই সঙ্গে ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন আল্লামা শফী মুজাহীদ বাহিনীর প্রধানের চেয়ে বয়সে বড় এবং শিক্ষা-দীক্ষতেও অগ্রগামী ছিলেন।

স্বাভাবিক কারনেই মুজাহীদ বাহিনীর কর্মী হিসেবে কাজ করার প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর। শুধু তাই নয়, আল্লামা আহমদ শফী বরাবরই জামাত এবং মওদুদীবাদের ঘোর বিরোধী। তাই প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুচক্রী মহলের উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রসঙ্গত: হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী নিজেই একজন যুদ্ধাপরাধী। তিনি একাত্তরে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সহায়তা করেছেন বলে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হেফাজতের নেতা আহমদ শফী একাত্তরে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকারদের সব কাজে সহযোগিতা করেন। আহমদ শফী এখন পাকিস্তানের দোসরদের রক্ষার ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।