আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারিকিরি-আত্নহত্যার প্রাচীনতম একটি পদ্ধতি

জীবন কিন্তু একটাই কেউ বলে হারিকিরি,কেউ বলে হারাকিরি।আসল শব্দটি হলো “সেপ্পুকু”-জাপানের একটি প্রাচীন-প্রথাগত আত্মঘাতী পদ্ধতি।এটা আসলে সামুরাইদের একটা পদ্ধতি।শত্রুর হাতে ধরাপড়ার অপমান থেকে রক্ষা পেতে,আবার কখনো গুরুতর অপরাধের শাস্তিস্বরুপ হারিকিরি করা হত। হারিকিরি কিভাবে করা হয়? ট্যান্টো নামক একধরণের ধারালো ছুরি তলপেটে ঢুকিয়ে বাম থেকে ডান বরাবর সমান্তরালভাবে চিড়ে ফেলে আত্মহননকারী,এবং কাজটা করা হয় একদল দর্শকদের সামনেই প্রথম হারিকিরিঃ ১১৮০ খ্রিস্টাব্দে “ব্যটল অব উজি”তে হারিকিরি পদ্ধতি সংক্ষেপেঃ সময়ের সাথে হারিকিরি বা সেপ্পুকু বেশ নিয়ম আর প্রথাগত হয়ে যায়,অনেক দর্শকের সামনে ঘটনাটি ঘটানো হয়।যে এই প্রক্রিয়ায় আত্নাহুতি দিবে,সে সামুরাই-কে প্রথমে গোসল করানো হয়,নির্দিষ্ট কাপড় পরানো হয় এবং তার পছন্দের খাবারগুলো খেতে দেয়া হয়,সবশেষে তাকে একটা আসনে বসানো হয়,সামনে থাকে সেই ট্যান্টো যেটা দিয়ে সে নিজকে হত্যা করবে,ট্যান্টো অনেকটা লম্বাব্লেড জাতীয়,তাই এটা ধরার সময় সামুরাইটিকে একটা কাপড় পেঁচিয়ে ধরতে হয়,যাতে এটার আঘাতে হাত কেটে না যায়।এক্ষেত্রে “কাইশাকুনিন” নামক একজন দক্ষ তলোয়ারবিদ নির্বাচিত করা হয়,যার কাজ হচ্ছে,সামুরাইটি ট্যান্টো দিয়ে নিজের তলপেটে পোঁচ দেয়ার সাথে সাথে তার শিরচ্ছেদ করে দেয়া।এই শিরচ্ছেদ-এর একটি নাম ও আছে-“লজ্জিত মস্তক”-এমনভাবে শিরচ্ছেদ করা হয় যেন মাথা কেটে ফেলার পর মাথাটি দেহের সাথে এক টুকরো মাংস দিয়ে লাগানো থাকে,ফলে কাটামাথাটি নীচু হয়ে থাকে,যেন মনে হয় লজ্জায় অবনত। ---সেপ্পুকু বা হারিকিরি ১৮৭৩খ্রিস্টাব্দে বিলুপ্ত করা হয়  


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।