আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রঙ্গ তামাশাঃ এবারের বিষয় " রিকশার চেইন পড়া"

মেহেদী হাসান খান আমি রিকশায় চড়লে চেইন পড়াটা মোটামুটি নিয়মিত ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যথারীতি আজকেও রিকশায় উঠার ২ মিনিটের মাথায় চেইন পড়ে গেল। আমি ভাবশালীন মুখে বসে আছি, রিকশা চালক নেমে চেইন লাগাবার চেষ্টা করছে। উনি মনে হয় এই লাইনে নতুন, চেইন লাগাতে অনেক সময় নিচ্ছেন। কি আর করা আছে আমার অলস মস্তিস্ক, দিলাম ভাবনার জগতে ডুব।

ভাবছি এই চেইন পড়ার ব্যাপারটার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমাদের নেতা নেত্রীরা কিভাবে উত্তর দিতেন। সাংবাদিকঃ সামুর বিশিষ্ট ব্লগার "মেহেদী হাসান খানের" রিকশায় চেইন আবারও পড়ে গেছে! এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? ১) সাহারা খাতুনঃ দেখুন অতীতে যেই কারনেই চেইন পড়ে থাকুক না কেন এইবারের চেইন পড়াটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক তাই রিকশা চালক মনের সুখে রিকশা টান দিয়ে গিয়েই চেইন টা ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের কাজ বাধাগ্রস্থ করার জন্যও হয়তো চেইনটা ফেলা হয়ে থাকতে পারে। যাই হোক সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আমি সুস্থ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই চেইন পড়ার প্রকৃত কারন বের করে ফেলা হবে। আর হ্যা অপরাধী যেই হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ২) ফারুক খানঃ বেশি খেয়ে খেয়ে সবাই মোটা হয়ে যাচ্ছে। এতো ওজন রিকশার চেইন নিতে পারছে না, যার দরুন এই ঘন ঘন চেইন পড়ার ঘটনা ঘটছে।

এইজন্যই তো আমি দেশ বাসীকে বলিঃ আপনারা কম খান। ৩) আবুল মাল আবদুল মুহিতঃ আরে! বুঝলেন না। ওই রিকশাওয়ালা বেটা একটা বিরাট ফটকাবাজ। মাঝরাস্তায় চেইন ফেলে দিয়ে ফুল ভাড়া আদায়ের ধান্দায় আছে। ওর রিক্সা চালনার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া উচিৎ।

৪) মতিয়া চৌধুরীঃ zzzzzzzzzzzzz ৫) আবুল হসেনঃ আমি তো বুঝি না রিকশায় উঠার ই বা কি দরকার? শুধু শুধু এতো গুলো টাকা নস্ট। আমাদের বাংলাদেশের এতো সুন্দর রাস্তা, কি সুন্দর পায়ে চলার পথ। এই যে আমাকে দেখুন, আমি তো প্রতিদিন ই বাসা থেকে দৌড়ে সচিবালয়ে আসি ৬) শেখ হাসিনাঃ তার আগে বলুন চেইন টা কোথায় পড়েছে? বেডরুমে নয়তো? দেখেন যদিও চেইন টা রাস্তায় পড়েছে কিন্তু সেই রাস্তার আসে পাশে নিশ্চয়ই কারো বাসা ছিল, আর সেই বাসায় নিশ্চয়ই একটা বেডরুম ছিল। তাই এই চেইন পড়ার ঘটনা টা বেডরুমেই মধ্যেই ফেলা যায়। আর সরকারের পক্ষে কারো বেডরুমের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব না।

বিদ্রঃ এই লেখার সকল মাল মশলাই কাল্পনিক, কেহ ইহার সাথে বাস্তবতার মিল খুজিয়া পাইলে তাহার পুরো দায়ভার সেই পাঠক কেই নিতে হইবে। কোন ভাবেই এই অধম দায়ী করা যাইবে না। ( শুনছি আবার ধর পাকড় শুরু হইয়া গেছে, তাই সামুর মতো আমিও চিকনে একটা আইনের ফাক রাইখ্যা দিলাম ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।