আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ মাদার ইন ম্যানভিল ।

আজকের ভোরে সূর্যদয় দেখেছি, আগামীকাল আরেকটি সূর্যদয় দেখার আশায়। এইচএসসি ইংরেজি প্রথম পত্রে "জেরি" নামে "মারজোরি কিনান রাউলিং" এর "এ মাদার ইন ম্যানভিল" গল্পের সংক্ষিপ্ত অংশ দেওয়া আছে। অসাধারণ এ গল্পের পুরোটা যারা পড়েননি তারা এখন পড়ে নিতে পারেন। লেখক পরিচিতি: জন্ম:আগষ্ট ৮, ১৮৯৬ (ওয়াশিংটন ডি.সি) মৃত্যু:ডিসেম্বর ১৪,১৯৫৩ জাতীয়তা:আমেরিকান তার অন্যতম লেখা "দা ইয়ারলিং" তিনি ২৬ টি ছোট গল্প এবং ১০ টি উপন্যাসের রচয়িতা। এম.কে. রাউলিং এর বাড়ি।

মাদার ইন ম্যানভিল এতিমখানাটি ছিল ক্যারোলিনা মাউনটেইনের একেবারে চুড়ায়। কোন কোন শীতে এতো ভারী তুষারপাত হত যে,এতিমখানাটি উপত্যাকার নিচের গ্রাম থেকে পুরোপুরিই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত, এমনকি পুরো বিশ্ব থেকেও। পাহাড়ের চুড়াগুলি আবৃত থাকত ঘন কুয়াশায়, উপত্যাকার গা বেয়ে গড়িয়ে নামত তুষার খণ্ড, এবং এতো তীব্র হত শৈত্যপ্রবাহ যে, এতিমখানার ছেলেগুলো দুবেলা দুধ নিয়ে শিশুদের কুটীর গুলোর দরজায় উপস্থিত হত অবশ হয়ে যাওয়া একরকম তীব্র ব্যাথাযুক্ত আঙ্গুল নিয়ে। "আর যখন আমরা অসুস্থ ছেলেদের ঘরে রান্নাঘর থেকে খাবারের ট্রে নিয়ে যাই" জেরি বলছিল, "আমাদের মুখের চামড়া ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত হয়, কারন হাতের আঙ্গুলগুলো দিয়ে মুখ ঢাকার উপায় থাকেনা। আমার গ্লাভস আছে" সে বলে চলেছিল "যেটা অনেকেরই নেই।

" বসন্তকাল ছিল তার প্রিয়। অজস্র রডোডেনড্রন ফুটত তখন, রঙিন গালিচার মতো, সারা পাহাড়ের পাদদেশ জুড়ে, মে মাসের মৃদু বাতাসের মতোই, যা হেমলকের ফুলগুলোকেও এলোমেলো করে দিত। রডোডেনড্রনকে সে লরিয়েল নামে ডাকত। " লরিয়েল গুলো যখন ফোটে দেখতে চমৎকার লাগে" সে বলছিল "কিছু গোলাপি আর কিছু সাদা রঙের" আমি যখন সেখানে ছিলাম তখন ছিল হেমন্ত। কিছু কঠিন বিষয় নিয়ে লেখা শেষ করার জন্য আমি নির্জনতা ও একাকিত্ব উপভোগ করা যাবে এমন জায়গা খুঁজছিলাম।

আমি একটা নির্মল আবহাওয়া চাচ্ছিলাম। এছাড়া অক্টবরের আগুন ঝরানো ম্যাপল , কেটে রাখা শস্যস্তুপ, পাম্পকিন, ব্লাক ওয়াল-নাট এবং পাহাড়ের বিশালতাও আমাকে টানছিল। এর সবকিছুই সেখানে ছিল। আমি একটা ক্যাবিনে ছিলাম, যেটার মালিকানা ছিল ওই এতিমখানার। এতিমখানা থেকে আধা মাইল দূরে।

যখন আমি এটা ভাড়া নেই, তখন আমি আমার ফায়ার প্লেসের কাঠ টুকরো করার জন্য একটা ছেলের কথা বলে রেখেছিলাম। প্রথম কিছুদিন আবহাওয়া বেশ গরমই ছিল, ক্যাবিনেও কিছু কাঠ টুকরো করা ছিল। কেউ আসেওনি, আর আমিও ব্যাপারটা ভুলে গিয়েছিলাম। একদিন শেষ বিকেলে আমি আমার টাইপ রাইটার থেকে মুখ তুলে একটা ছোট্ট ছেলেকে দরজায় দেখে বেশ অবাকই হলাম। আমার সর্বক্ষনের সঙ্গী কুকুরটা তার পাশেই দাঁড়ানো, এবং কুকুরটা তার স্বভাবের বাইরে গিয়ে আমাকে অনাহুত কারো আগমনে ডাকাডাকি করে জানানও দেয়নি।

ছেলেটার বয়স ছিল আনুমানিক বার বছর, যদিও বয়সের তুলনায় তাকে বেশ ছোটই দেখাচ্ছিল। সে অভারঅল এবং একটা ছেঁড়া শার্ট পড়ে ছিল। তার পা ছিল খালি। সে বলল, " আমি আজ কিছু কাঠ টুকরো করতে পারি। " আমি বললাম, " কিন্তু অরফানেজ থেকে একজন ছেলে আসার কথা।

" -"আমিই সেই। " -"কিন্তু তুমিত একেবারেই ছোট। " -" কাঠ কাটার জন্য শারীরিক গঠন তেমন গুরুত্বপুর্ন নয়। " সে বলল "কিছু কিছু বড় ছেলেরাও ভালো কাঠ কাটতে পারেনা। আমি অনেকদিন ধরেই এতিমখানাতে কাঠ কাটি।

আমি কল্পনায় এলোমেলোভাবে ছড়ানো অপর্যাপ্ত কিছু কাঠের টুকরো দেখছিলাম। আমি তখন আমার লেখায় এতোটাই নিবিষ্ট ছিলাম যে, তার সাথে আর কথা বলতে আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। আমি কিছুটা অন্যমনস্কও ছিলাম। " খুব ভালো, ওখানে কুড়ালটা আছে। দেখো কতদুর কি করতে পার।

" দরজা বন্ধ করে আমি পুনরায় আমার কাজে মনোনিবেশ করলাম। প্রথম কিছুক্ষন ছেলেটার ঝোপঝাড় টানা হেঁচড়ার শব্দ আমাকে কিছুটা বিরক্ত করেছিল। সে কাঠ টুকরো করতে শুরু করল। শব্দটা ছিল বেশ ছন্দময় এবং একটানা। অল্পক্ষনেই আমি তার অস্তিত্ব ভুলে গেলাম।

শব্দগুলো একটানা রিমঝিম বৃষ্টির মতোই ছন্দময় ছিল, যাতে বিরক্তির উদ্রেগের প্রশ্নই আসেনা। আমার ধারনা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পার হওয়ার পর আমি যখন আমার কাজ তখনকার মতো শেষ করে আড়মোড়া ভাঙছিলাম, ছেলেটিকে আমার ক্যাবিনের দরজায় দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম। দূরের পাহাড়গুলোর পেছেনে তখন সুর্য অস্ত যাচ্ছিল। উপত্যাকা এস্টার ফুলের চেয়েও গাঢ় বেগুনী রঙের আভা ধারণ করেছিল। ছেলেটা বলল, " আমাকে এখন রাতের খাবারের জন্য যেতে হবে।

আমি আবার আগামীকাল বিকেলে আসতে পারি। " আমি বললাম, " আমি তোমার আজকের প্রারিশ্রমিকটা দিয়ে দিতে চাই। " মনে মনে ভাবছিলাম আমাকে সম্ভবত আরেকটু বড় কোন ছেলেকে পাঠানোর জন্য বলতে হবে। "ঘণ্টাপ্রতি দশ সেন্ট?" "যেটা আপনার ইচ্ছা। " আমরা একসাথে ক্যাবিনের পেছন দিকটায় গেলাম।

অবিশ্বাস্য পরিমানের কাঠ সেখানে টুকরো করে জমা করা ছিল। তার মধ্যে চেরি গাছের গুড়ি, রডোডেনড্রনের শক্ত ভারী শিকড়, এবং ওয়েস্ট পাইন ও ওক কাঠের টুকোরও ছিল, যেগুলো দিয়ে ক্যাবিনটা মেরামত করা হয়েছিল সম্ভবত। " কিন্তু তুমিত একজন পুর্নবয়স্ক লোকের সমানই কাজ করেছো। " আমি বললাম, 'এটা একটা বিশাল স্তুপ!" এই প্রথম আমি তার দিকে ভালভাবে তাকালাম। তার চুলগুলো ছিল শস্যদানার মত বাদামী, বিশেষ করে তার চোখ দুটো ছিল বড়বড় স্পষ্ট চাহনিযুক্ত, রঙ ছিল আসন্ন বৃষ্টির আগমুহুর্তের মত ধুসর, সাথে রহস্যময় নীল রঙের ছায়া।

অস্তগামী সুর্যের রশ্নি তার উপরে ঠিকরে পড়ছিল, যেভাবে একই উজ্জ্বলতা নিয়ে তা পাহাড়চূড়াকে আলোকিত করছিল। আমি তাকে পচিশ সেন্ট দিলাম। "তুমি আগামী কালও আসতে পার। " আমি বললাম , " এবং তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। " সে একবার আমার দিকে, আরেকবার কয়েনটার দিকে তাকাল।

সে কিছু একটা বলতে চেয়েও পারলনা, এবং উল্টা ঘুরে হাঁটতে শুরু করল। "আগামীকাল আমি ছোট ছোট কাঠের টুকরা গুলো কাটব, যেগুলো আপনার আগুন ধরানো শুরু করতে প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনার মাঝারি সাইজের কিছু কাঠও প্রয়োজন হবে। " পরদিন সকালে কাঠ কাটার শব্দে আমার ঘুম কিছুটা ভেঙে গেলো। কিন্তু তা এতোটাই ছন্দময় ছিল যে, আমি আবার ঘুমের গভীরে তলিয়ে গেলাম।

ঠাণ্ডা সকালে যখন আমার ঘুম ভাঙল, ততক্ষনে ছেলেটি তার কাজ শেষ করে চলেও গেছে এবং ছোট ছোট কাঠের টুকরার একটা স্তুপ আমার ক্যাবিনের পেছনে জড়ো করা ছিল। বিকেলে স্কুল শেষ করে সে আবার এলো এবং এতিমখানায় ফেরত যাওয়া পর্যন্ত একটানা কাজ করল। তার নাম ছিল "জেরি" ; বয়স আনুমানিক বার, এবং সে তার চার বছর বয়স থেকেই এই এতিমখানাতে আছে। আমি মনে মনে তার চার বছর বয়সের চেহারা কল্পনা করছিলাম, সেই একই গভীর ধুসর-নীল চোখ, এবং একইরকম - স্বাধীনচেতা? না, তার সম্পর্কে যে শব্দটা আমার যথার্থ মনে হলো তা ছিল- "দৃঢ়চেতা"। শব্দটার অর্থ আমার কাছে ছিল বিশেষ কিছু, এবং যেই গুনের কারনে আমি তা ব্যবহার করেছি তা অল্প কিছু মানুষের মধ্যে আমি দেখেছি।

আমার বাবা ছিলেন সেরকম একজন- আরেকজনের মধ্যেও তা ছিল আমি মোটামুটি নিশ্চিত- কিন্তু বাদবাকি আমার চারপাশের কোন পুরুষের মধ্যেই, পাহাড়ি ঝর্নার মতো স্বচ্ছ, খাঁটি এবং সরলভাবে এই জিনিস চোখে পড়েনি। কিন্তু জেরি ছেলেটার মধ্যে এই জিনিস ছিল। কিভাবে সংজ্ঞায়িত করব একে? এটা সাহসিকতার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, কিন্তু সাহসিকতার চেয়েও যেন বেশী কিছু। এটা সততা, কিন্তু সততার চেয়েও বেশী কিছু। একদিন কুড়ালের হাতলটা ভেঙে গিয়েছিল।

জেরি বলেছিল, এতিমখানার কাঠের দোকান থেকে সে এটা সারিয়ে নেবে। আমি তাকে পয়সা দিতে চাইলে সে তা প্রত্যাখ্যান করল। " আমিই পয়সা দিয়ে দেব। " সে বলল, "এটা আমিই ভেঙেছি, সম্ভবত অসতর্ক ভাবে ব্যবহার করেছি বলেই। " "কিন্তু কোন মানুষের পক্ষেই সবসময় সতর্ক হয়ে কাজ করা সম্ভব নয়।

" আমি তাকে বললাম, " সম্ভবত হাতলের কাঠেই কোন ত্রুটি ছিল। আমি যার কাছ থেকে কিনেছি তাকে জিজ্ঞেস করে দেখব। " তখনই কেবল সে টাকাটা নিতে রাজী হল। তারপরও সে তার অসতর্কতাকেই বার বার দুষছিল। সে ছিল একটা স্বাধীন চিত্তের অধিকারী, সে সতর্ক হয়ে কাজ করতে পছন্দ করত, এবং ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে কোন ওজর আপত্তি ছাড়াই তার দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে দ্বিধা করত না।

সে আমার জন্য এমন অনেক কাজই করে দিত যা তার দ্বায়িত্বের মধ্যে ছিলোনা। যা কেবল মাত্র হৃদয়ের মহত্বের কারনেই কেউ করে থাকে। এমন কিছু কাজ, যা কোন পুর্ব অভিজ্ঞতা নয় বরং সহজাত এবং তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তেই করা সম্ভব। আমি দেখিনি কিন্তু সে আমার ফায়ারপ্লেসের সাথেই একটা ছোট্ট কুঠুরির মত আবিষ্কার করেছিল, যেটা সে কিছু কাঠ দিয়ে ভর্তি করে রেখেছিল, যাতে ভেজা আবহাওয়ায় বাইরে যাওয়া সম্ভব না হলে আগুন জ্বালাতে শুকনো কাঠের অভাব না হয়। আমার কেবিনের সামনের রাস্তায় একটা পাথর আলগা হয়ে ছিল।

সেটা সে আরেকটু গভীর গর্ত করে বসিয়ে দিয়েছিল, যদিও আমি লক্ষ্য করেছিলাম এতিমখানা থেকে যাতায়াতের জন্য সে ওই পথ কখনই ব্যবহার করত না, পেছনের একটা সংক্ষিপ্ত পথে সে যাতায়াত করত। আমি দেখেছিলাম, তার এইসব কাজের প্রতিদানে আমি যখন তাকে ক্যান্ডি বা আপেল জাতীয় কিছু দিতাম, সে নিশ্চুপ থাকত। "ধন্যবাদ" , এই জিনিসের প্রকাশ কখনো শব্দ উচ্চারন করে করা যায়, এটা তার মধ্যে ছিলই না। তার নিরবতাই তার সৌজন্য ও ভদ্রতার বহিঃপ্রকাশ। সে শুধু একবার ওই জিনিসটা যা তাকে দিতাম তার দিকে, আর একবার আমার দিকে তাকাত।

ওই মুহুর্তে একটা পর্দা যেন সরে যেত। আর তার মধ্যে দিয়ে আমি ওর গ্রানাইটের মত কঠিন চরিত্রের উপরে দেখতে পেতাম তার গভীর চোখের গহীনে এক কৃতজ্ঞতার নম্র ভাষা। সে ছোটখাটো ছুতোনাতায় আমার কাছে এসে বসত। তাকে আমি ফিরিয়েও দিতে সঙ্কোচ বোধ করতাম। একদিন তাকে বুঝিয়ে বললাম, যে আমাদের কথা বলার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাতের খাবারের ঠিক আগে, যখন আমি আমার কাজ শেষ করতাম।

তারপর থেকে সে প্রতিদিন অপেক্ষা করত যতক্ষন না আমার টাইপ রাইটার নিরব হত। একদিন আমি বেশ অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত কাজে নিমগ্ন ছিলাম। আমি তার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কাজ শেষে বাইরে এসে দাঁড়িয়ে আমি তাকে দেখলাম গোধূলির রক্তিম আলোতে সে পাহাড়ের চুড়া বেয়ে অরফানেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে যেই স্থানে বসে ছিল, আমি তখনও তার শরীরের উষ্ণতা সেই স্থানে অনুভব করতে পারছিলাম।

সে আমার কুকুর প্যাটের সাথেও বেশ ঘনিষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এক অদ্ভুত যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল একটা বালক এবং একটা কুকুরের মাঝে। সম্ভবত দুজনের আত্মার এক অদ্ভুদ একাত্মতার কারনেই এটা সম্ভব হয়েছিল। যা ব্যাখ্যা করা আসলেই কঠিন, কিন্তু ছিল। কোন এক উইকএন্ডে আমি যখন শহরে গিয়েছিলাম, প্যাটকে আমি জেরির তত্বাবধানে রেখে গিয়েছিলাম।

আমি তাকে কুকুরের বাঁশি, এবং কেবিনের চাবি দিয়ে গিয়েছিলাম, এবং পর্যাপ্ত খাবার রেখে গিয়েছিলাম। তার দায়িত্ব ছিল দিনে দুই-তিনবার এসে কুকুরটাকে বাইরে বের করে ঘুরাতে নিয়ে যাবে এবং খাওয়াবে। আমি রোববার রাতেই ফিরব মনস্থ করেছিলাম, এবং জেরির দায়িত্ব ছিল রোববার বিকেলে শেশবারের মত এসে কেবিনের চাবিটা আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া একটা গোপন স্থানে রেখে যাবে এবং কুকুরটাকে শেষবারের মত বাইরে ঘুরিয়ে আনবে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার সেদিন ফিরতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল, এবং কুয়াশা এতো ঘনভাবে পড়ছিল যে রাতে পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালাতে আমি সাহস করিনি। পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশা ছিল, এবং আমার ফিরতে সোমবার দুপুর পার হয়ে গেলো।

সেদিন সকালেও কুকুরটির যত্ন নেওয়া হয়েছিল এবং তাকে খাওয়ানও হয়েছিল। বিকেলে উদ্বিগ্ন জেরি হাজির হল। " সুপারিনটেন্ডেন্ট বলছিলেন যে, কেউই এই কুয়াশায় গাড়ি চালাতে সাহস করবে না। ' জেরি বলছিল, " আমি কাল রাতে ঘুমানোর আগেও এসে দেখে গেছি যে আপনি আসেননি। তাই সকালে আমি আমার নাস্তা থেকে কিছুটা এনে প্যাটকে খাইয়েছি।

আমি তাকে একটুও কষ্ট পেতে দেইনি। " "আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিন্ত ছিলাম, কোন দুশ্চিন্তাই করিনি। " এতিমখানায় তার কাজ ছিল, তাই তাকে ফেরত যেতে হবে। আমি তাকে তার কাজের জন্য এক ডলার দিলাম, সে একবার শুধু সেটার দিকে তাকিয়ে থেকে এতিমখানায় ফেরত গেলো। কিন্তু সেই রাতে গভীর অন্ধকারের মধ্যে সে এসে হাজির হল এবং আমার দরজায় নক করল।

" ভেতরে এসো জেরি, যদি এতো রাত পর্যন্ত তোমার বাইরে থাকতে কোন সমস্যা না থাকে। " " আমি একটা গল্প বানিয়ে বলেছি," জেরি বলল, " আমি তাদেরকে বলেছি যে, আপনি হয়ত কোন কাজে আমাকে দেখতে চাইবেন। " " সত্যিই তাই" আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম, এবং তার চোখ থেকে দুশ্চিন্তার ছায়া সরে যেতে দেখলাম। " আমি জানতে ইচ্ছুক যে, তুমি কিভাবে কুকুরটাকে সামলে রাখলে?" সে আগুনের ধারে আমার পাশে এসে বসল, যেটা ছাড়া তখন ঘরে আর দ্বিতীয় কোন আলো ছিলোনা। এবং তাদের দুই দিনের একত্রবাসের বৃত্তান্ত আমাকে খুলে বলল।

কুকুরটা তার পাশ ঘেঁষে বসল, এবং সেখানেই আরাম বোধ করছিল বলেই মনে হল, যেটা আমার পাশে বসেও সে পাচ্ছিল না। আমার কাছে তখন এরকমই মনে হল যে, আমার কুকুরটাকে দেখা শোনার কারনে সে আমার কুকুরটার সাথে সাথে আমাকেও বেশ আপন করে নিয়েছিল। যাতে করে সে আমার প্রতি এবং সেই অবোধ পশুটার প্রতিও একটা টান অনুভব করছিল। " সে সবসময় আমার সাথে সাথেই থাকত, শুধুমাত্র তখন ব্যাতিত যখন সে লরেল ফুলের মাঝে দৌড়াদৌড়ি করত। সে লরেল খুব পছন্দ করে।

" সে বলছিল, " আমি তাকে পাহাড়ের একদম উপর পর্যন্ত নিয়ে যেতাম, আমরা দুজনেই খুব দ্রুত দৌড়াতাম। একটা জায়গা ছিল যেখানে ঘাসগুলো খুব বড় আর উঁচু ছিল, ওইখানে গিয়ে আমি ঘাসের মাঝে শুয়ে লুকিয়ে থাকতাম। আমি শুনতে পেতাম প্যাট আমাকে খুঁজছে, এবং আমার চিহ্ন খুজে খুঁজে সে ঠিক আমাকে বের করে ফেলত। আমাকে দেখলেই সে জোরে চিৎকার করত এবং পাগলের মত আচরন করত। আমার চারপাশে সে বৃত্তাকারে ঘুরতেই থাকত।

" সে আগুনের শিখার দিকে তাকিয়ে ছিল। " এটা আপেল কাঠ। " সে বলছিল, " কাঠের মধ্যে এটাই সবচেয়ে সুন্দর জ্বলে। " আমরা খুব ঘনিষ্ট ভাবে বসে ছিলাম। আচমকাই সে এমন কিছু বিষয়ে কথা বলা শুরু করল, যা সে আগে কখনো বলেনি, আর আমিও নিজে থেকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি।

"আপনি দেখতে কিছুটা আমার মায়ের মতোই। " সে বলছিল, "বিশেষ করে যখন এইরকম অন্ধকারে আগুনের পাশে বসে থাকলে। " "কিন্তু তুমি যখন এখানে আসো, তখন তুমি মাত্র চার বছরের ছিলে, জেরি। এতগুলো বছর পরেও তুমি মনে রেখেছ তিনি দেখতে কেমন ছিলেন?" সে বলল, "আমার মা ম্যানভিলে থাকেন। " কিছু সময়ের জন্য, আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা পেয়ে হতবাক হয়ে ছিলাম, এটা চিন্তা করে যে তার মা জীবিত আছেন, এবং আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কেন এটা আমাকে এতটা বিচলিত করেছিল।

পরমুহুর্তেই আমি আমার অস্থিরতার কারণটা ধরতে পেরেছিলাম। আমি অদ্ভুত এক অনুভুতির সম্মুখিন হলাম এটা ভেবে যে, একজন মহিলা কিভাবে তার সন্তানকে এভাবে ফেলে রেখে দূরে থাকতে পারেন। একটা ক্রোধ আমাকে ঘিরে ধরেছিল। তাও এমন একটা ছেলেকে ফেলে- সেই অরফানেজটা যদিও অবস্থাপন্ন ছিল, সেটার পরিচালকরাও ছিলেন দয়ালু, ভালো মানুষ, খাদ্যও ছিল চাহিদার অতিরিক্ত, ছেঁড়া শার্ট কিংবা কায়িক পরিশ্রমটাও ধর্তব্যের মধ্যে আনা যায় না। ধরে নিচ্ছি বাচ্চাটাও কোন অভাব অনুভব করত না, কিন্তু রক্ত মাংসের একজন মহিলা, যে কিনা তিল তিল করে তার নিজ রক্তে নিজ গর্ভে ধারন করেছে যেই সন্তান, তাকে কিভাবে ত্যাগ করতে পারে? চার বছর বয়সেও সে নিশ্চিতই এইরকমটাই ছিল দেখতে।

কোন মতেই, আমার ধারনা, জীবনের কোন অবস্থাতেই ওই চোখ গুলো পরিবর্তিত হতে পারেনা। যেকোন আহাম্মক বা বোকার হদ্দের কাছেও দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার এই ছেলেটার গুণাবলী। প্রশ্নে প্রশ্নে আমি জর্জরিত হচ্ছিলাম, যা আমি তাকে জিজ্ঞেস করার শক্তি বা সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারিনি। এটা ভেবে যে, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন বেদনাদায়ক কাহিনী লুকায়িত আছে। " সম্প্রতি তুমি কি তাঁকে দেখেছ, জেরি?" "প্রত্যেক গ্রীষ্মেই আমাদের দেখা হয়, উনি আমার জন্য উপহার পাঠান।

" চিৎকার করে আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিল, " কেন তুমি তার সাথে থাকনা? কিভাবে তিনি তোমাকে ফেলে রেখে আবার চলে যান?" সে বলছিল, "তিনি সুযোগ পেলেই ম্যানভিল থেকে এখানে চলে আসেন। তার এখন কোন চাকরী নেই। " আগুনের শিখায় তার মুখ চকচক করছিল। "উনি আমাকে একটা কুকুর ছানা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এরা কোন ছেলেকেই এখানে কুকুরছানা রাখার অনুমতি দেননা। গত রোববার আমি যে পোশাকটা পড়েছিলাম আপনার মনে আছে?" তার মুখ গর্বে চকচক করছিল।

"গত ক্রিসমাসে উনি সেটা আমার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তার আগের ক্রিসমাসে--" সে লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে, স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে বলছিল,- " উনি আমার জন্য একজোড়া স্কেইট পাঠিয়েছিলেন। " "রোলার স্কেইট?" আমার মন তখন ব্যস্ত ছিল, তার মায়ের একটা ছবি দাঁড় করাতে, তাকে বুঝে উঠতে। তাহলে উনি তাকে একেবারে ত্যাগ করেননি বা ভুলেও জাননি। কিন্তু কেন......আমি চিন্তা করছিলাম "সবকিছু না জেনে তাকে দোষ দেয়াটা আমার উচিৎ হবে না।

" "রোলার স্কেইটস। আমি অন্য ছেলেদেরকেও ওগুলো ব্যবহার করতে দেই। তারা সবসময়ই ওগুলো আমার কাছ থেকে নেয়। কিন্তু তারা ওগুলো খুব সাবধানেই ব্যবহার করে। " দারিদ্রতা ছাড়া আর কি এমন পরিস্থিতি হতে পারে- "প্যাটকে দেখাশোনা করার বদৌলতে তুমি আমাকে যে ডলার দিয়েছ," সে বলছিল, " আমি ওটা দিয়ে উনার জন্য একজোড়া গ্লাভস কিনতে চাই।

" আমি শুধু এইটুকু বলতে পারলাম, " চমৎকার হবে সেটা। তুমি কি তাঁর হাতের মাপ জানো?" সে বলল, "আমার ধারনা ৮.৫" হবে। " সে আমার হাতের দিকে তাকিয়ে ছিল। সে জিজ্ঞেস করেছিল, "তুমি কি ৮.৫ পড়?" "না, আমি আরও ছোট সাইজের পড়ি, ৬" "ওহ! তাহলে আমার ধারনা মার হাত আপনার চেয়ে বড় মাপের হবে। " তাঁর প্রতি আমার ঘৃনা জন্মাচ্ছিল।

দারিদ্র......? না, মানুষের শারীরিক ক্ষুধাই মুখ্য হতে পারেনা। আত্মার মৃত্যু ঘটে শরীরের চেয়েও দ্রুত। বাচ্চা ছেলেটা তার কষ্টার্জিত সামান্য অর্থ দিয়ে তার সেই আহাম্মক বড় বড় হাত গুলোর জন্য গাল্ভস কেনার কথা বলছে, আর উনি একে ফেলে একা থাকেন ম্যানভিলে, আর তার জন্য স্কেইট পাঠিয়েই দায়িত্ব সারেন। "উনি সাদা রঙের গ্লাভস পছন্দ করেন," সে বলছিল, "তোমার কি মনে হয়, এক ডলারে কি আমি ওগুলো পাব?" আমি বললাম, "আমার মনে হয় পাবে। " আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, ওই মহিলার সাথে দেখা না করে, এবং তিনি কেন এরকম করেছেন তা না জেনে এই পাহার ছেড়ে আমি কিছুতেই যাবনা।

মানুষের মন হালকা পালকের মতোই বিক্ষিপ্ত, এক একটা বাতাস একে কোথায় উড়িয়ে নিয়ে যায়! আমার কাজ শেষ হল। আর আমি এতে খুব একটা তৃপ্তও ছিলাম না। আমি তখন অন্য কিছু করার কথা চিন্তা করছিলাম। আমার মেক্সিকো বিষয়ক কিছু তথ্যের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল। আমি ফ্লোরিডা থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

এরপর মেক্সিকো, তারপর সেখানকার লেখা শেষ করে অবশেষে আলাস্কাতে আমার ভাইয়ের ওখানে যাবার প্ল্যান করছিলাম। এরপর ঈশ্বরই ভালো জানেন কী এবং কোথায়? ম্যানভিলে গিয়ে জেরির মায়ের সাথে দেখা করা, কিংবা অরফানেজ অফিশিয়াল কারো সাথে উনার ব্যাপারে আলোচনা করার মত সময়ও আমি ম্যানেজ করতে পারলাম না। আমার কাজ, আমার ব্যস্ততার কারনে আমি ছেলেটার প্রতি কিছুটা উদাসীনও হয়ে গিয়েছিলাম। এবং তার মায়ের প্রতি আমার প্রাথমিক ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পর- এ বিষয়ে জেরির সাথে আমার আর কখনই কোন আলোচনা হয়নি। তার একজন মা আছেন- যেরকমই হোকনা- বেশী দূরেও থাকেন না, ম্যানভিলে- এই চিন্তাটাই আমাকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল তার ব্যাপারে।

মা-ছেলের এই অস্বাভাবিক সপর্ক নিয়ে তার মধ্যে কোন জিজ্ঞাসাও কাজ করতে দেখিনি আমি। অর্থাৎ সে একাকীত্বেও ভোগে না। সুতরাং আমার এতটা চিন্তা করার আর কোন কারন খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সে প্রতিদিন এসে আমার জন্য কাঠ চেরাই করত, টুকটাক এটা সেটা করে আমাকে সাহায্য করত এবং সবশেষে আমার জন্য অপেক্ষায় থাকত, কখন আমার টাইপ রাইটার নিরব হবে। ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করল, এবং প্রায়ই আমি তাকে কেবিনের ভেতরে ডেকে নিতাম।

সে ফায়ার প্লেসের সামনের মেঝেতে আমার কুকুরটাকে পাশে নিয়ে শুয়ে থাকত। তার একটা হাত প্যাটকে জড়িয়ে থাকত, এবং তারা দুজনেই চুপচাপ আমার জন্য অপেক্ষা করত। মাঝে মাঝে তারা দুজনেই প্রবল উল্লাসে লরেল ফুলের মাঝে ছুটাছুটি করত, যেহেতু এস্টার ফোটার দিন ফুরিয়ে আসছিল। সে আমার জন্য গাড় বেগুনী রঙের ম্যাপল পাতা, হলুদ রঙের চেস্ট-নাটের শাখা নিয়ে আসত। আমি যাবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম।

একদিন আমি তাকে বললাম, " জেরি, তুমি আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলে, আমি সবসময় তোমাকে মনে রাখব এবং প্রায়ই মিস করব। আমার ধারনা প্যাটও তোমাকে খুব মিস করবে। আমি আগামীকালই চলে যাচ্ছি। " সে কোন উত্তর দেয়নি। সে যখন চলে যাচ্ছিল, আমার স্পষ্ট মনে আছে, দূরের পাহাড়ের ঠিক উপরে একটা নতুন চাঁদ উঠেছিল, এবং আমি তাকে সেই অদ্ভুত নিরবতার মাঝে পাহাড়ের উপরে মিলে যেতে দেখলাম।

পরেরদিন সে আসবে বলেই আমার ধারনা ছিল, কিন্তু সে আসেনি। আমার ব্যক্তিগত জিনিষপত্র, গাড়ি, গাড়িতে প্যাটের শোয়ার জায়গা ইত্যাদি ঠিক করতে করতে দুপুর গড়িয়ে গেলো। কেবিনের দরজা বন্ধ করে আমি দ্রুত গাড়ি ছাড়লাম, কারন সুর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে রাত নামার আগেই আমি পার্বত্য এলাকা অতিক্রমকরতে চাচ্ছিলাম। এতিমখানার সামনে আমি থামলাম এবং মিস ক্লার্কের কাছে কেবিনের চাবি দিয়ে বকেয়া বিল পরিশোধ করলাম। "এবং তুমি কি জেরিকে একটু ডেকে দিতে পারবে, ওর কাছ থেকে বিদায় নিতাম?" "আমি ঠিক জানিনা সে এখন কোথায়?" উনি বলছিলেন, " আমার মনে হচ্ছে সে ঠিক সুস্থ নেই।

আজ দুপুরে সে কিছুই খায়নি। একজন তাকে পাহাড়ের উপরে লরেল ফুলের দিকে যেতে দেখেছে। বিকেলে তার বয়লারে আগুন জ্বালানোর কথা ছিল। সে কখনই এমন করেনা, তার দায়িত্বের ব্যাপারে সে অত্যন্ত সচেতন। " " আমি কিছুটা নির্ভার অনুভব করলাম, কারন আমি জানতাম তার সাথে এটাই আমার শেষ দেখা, এবং সামনাসামনি তাকে বিদায় বলাটা আমার জন্য সহজ ছিলোনা।

আমি বললাম, "ওর মায়ের ব্যাপারে আমি একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম-কেন সে এখানে- কিন্তু আমার হাতে আসলে একেবারেই সময় নেই। উনার সাথে দেখা করাটাও এখন আমার জন্য আসলেই প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু ওর জন্য আমি কিছু টাকা আপনার কাছে দিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম, ক্রিসমাস এবং ওর জন্মদিনে কিছু উপহার কিনে দেওয়ার জন্য। আমি কিছু কিনে পাঠানোর চেয়ে এটাই ভালো হবে। হয়ত আমি এমন কিছু একটা কিনে পাঠাবো যেটা ওর আগে থেকেই আছে- যেমন স্কেইট।

" উনি তাঁর সরল দৃষ্টি মেলে আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলেন। তিনি বললেন, "এই অঞ্চলে স্কেইট আসলে একটা অপ্রয়োজনীয় জিনিস। " তাঁর বোকামি আমাকে বিরক্ত করছিল। আমি বললাম, " আমি বলতে চাচ্ছি, আমি এমন কোন কিছু পাঠাতে চাই না, যেটা সে তাঁর মায়ের কাছ থেকেই ইতিমধ্যে পেয়েছে। যেমন, আমার যদি জানা না থাকত ওর মা ওকে একজোড়া স্কেইট উপহার দিয়েছে, তাহলে হয়ত আমি ওর জন্য স্কেইটই পছন্দ করতাম।

" উনি বিস্মিত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। "ওর কোন মা নেই। ওর কোন স্কেইটও নেই। " অনুবাদ:নাগরিক ব্লগের ডা: আতিক। (ঈষৎ পরিবর্তিত) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।