আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনলিপি-৪৬

I'm your fool... Come on, teach me the rules" আমি আজকাল কোনো কাজেই তাল পাই না। যেমন গতকাল ইউনিতে গিয়ে মনে হলো পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের কাজটা আজকের ভেতরেই করে ফেলতে হবে। এই কাজটা যথেষ্ট বিরক্তিকর। হল, ডিপার্টমেন্ট, ব্যাংক, পরীক্ষা অফিস এই সেই করে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এদিকে আমার কাছে টাকাও নাই।

আমার এক ফ্রেন্ড বললো সেও করে ফেলতে চায় কিন্তু তার কাছেও টাকা নাই। আমি বললাম, চলো সাভার অথবা নবীনগরে গিয়ে কোনো বুথ থেকে টাকা তুলে কাজটা করে ফেলি। ও বললো, সাভারে যাবা না নবীনগরে যাবা? আমি বললাম, নবীনগরেই চলো!! সাভারটা কেমন ঘিজিমিজি লাগে। আর নবীনগরে যাওয়াই ইজি হবে। নবীনগর থেকে আমি জীবনেও টাকা তুলিনি।

এমনকি নবীনগরে আমার জীবনে তেমন যাওয়াই পড়েনি। এর ফলে নবীনগরে গিয়ে হাবার মতো দুইজন কিছুক্ষণ এদিক সেদিক করে বুথ খুঁজলাম। মানুষকে জিজ্ঞেস করেও খুঁজে না পেয়ে দুইজন শেষ পর্যন্ত ডিসিশন নিলাম সাভারেই যাবো। এরপর আবার সাভারে এসে মিউচুয়াল ট্রাস্টের একটা বুথে ঢুকলাম। পিন নাম্বার দেওয়ার পর এ্যামাউন্ট চাইলো।

আমি ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করলাম, কত দিবো? ও হিসাব করে বললো আমাদের দুইজনের বড়জোর ১৫০০/- টাকা লাগতে পারে!! আমি বললাম, ঠিক আছে! ২০০০/- টাকাই তুলি। আমি ২০০০/- টাকাই দিতে বললাম। বেশ কিছুক্ষণ টাইম নিয়ে এই সেই করে টাকা বের হলো! তবে ২০০০/- না ২০,০০০/-!!! আমরা দুইজন কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম তারপর কিছুক্ষণ পাগলা মেশিনটাকে নিয়ে হাসাহাসি করে বের হয়ে আসলাম। এরপর ইউনি গিয়ে হলে এসে ফর্ম নিলাম। ভাবলাম ওটা রুমে বসে ফিল আপ করে ব্যাংকে যাবো।

কিন্তু হঠাৎ মনে পড়লো আমি আমার রুমের চাবিই তো আনিনি! আর রুমমেট-ও এখন থাকে না হলে। তারপর দুইজন খাওয়া দাওয়া করে ব্যাংকে গেলাম। ব্যাংকে গিয়ে বললো, আজ ব্যাংক বন্ধ!! খুবই হতাশ হলাম। আর তখনই মনে পড়লো, আরেহ্ আজ তো ব্যাংক হলিডে! এটা তো আমি জানতাম! এটা জেনেও কেন আজ আমি এতো দৌড়ালাম!! আমি তো দৌড়ালামই তার উপর আরেকজনকেও নিয়ে দৌড়ালাম!! কেন কেন কেন এমন করলাম!!!! গতকাল বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সাড়ে ছয়টা বেজে গেল। তখন দেখি প্রচন্ড পরিমাণে ঘাড়ে ব্যাথা।

এরই মাঝে ভুলে হাতে কয়েকবার চিপ খেলাম। আর রক্ত পড়তে লাগলো। ফেইসবুকে ঢুকে দেখলাম আজকে ১১.৩০ থেকে ক্লাস। রাতে বসে বসে টেলিভিশনই দেখলাম শুধু। তারপর আল্লাদী মার্কা একটা গান শুনে ঘুমাতে গেলাম।

ফোনে ৬টার সময় এ্যালার্ম ক্লক সেট করলাম ঐ আল্লাদী মার্কা গানটা দিয়ে। এমনি সময় সাধারণত আমার রেকর্ড করা আমার কণ্ঠে বিড়ালের ম্যাঁও ম্যাঁও শুনে ঘুম ভাংগে। কিন্তু আজকাল আমার করা বিড়ালের ম্যাঁও ম্যাঁও বড়ই বিরক্ত লাগে তাই আল্লাদী মার্কা গানটা সেট করেছিলাম। আমার সকালবেলার ঘুমটা খুবই প্রিয়। এই ঘুমটার প্রতি ভালোবাসার জন্য আমার হলে চলে যেতে মন চায় শুধু ভোর ছয়টার সময় আল্লাদী এ্যালার্ম বাজলে ঘুম ভাংলো।

তবে ঐ আল্লাদী এ্যালার্ম শুনে আমার আবার আরাম লাগা শুরু হলো। আমি ভাবলাম একটু মোচড়া মুচড়ি করে উঠে পড়বো। কিন্তু মোচড়া মুচড়ি করতে গিয়ে আরাম লাগা বেড়ে যাওয়ায় আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে দেখে সাড়ে আটটা বেজে গেছে। হিসাব করে দেখলাম কোনোভাবেই আমি সাড়ে ১১টার ক্লাস ধরতে পারবো না।

তার থেকে বরং বাসাতেই থাকি। নীল ক্ষেতে ঘুরে আসবো... বই কিনবো। ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে নীল ক্ষেতে গেলাম! ওখানে পৌঁছানোর পর দেখি সব দোকান বন্ধ। তখন মনে হলো, আজ কি মঙ্গলবার নাকি? কেন কেন কেন আজ আমি সোমবার মনে করেছি!!!!!!!!!!!!!! বস মিলিয়ে আজ আমার প্রচন্ড হতাশ লাগছে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।