আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক টুকরো ফাল্গুনের আজলা ভরা ভালোবাসা...

সুতো ছেড়া ঘুড়ি ১)দুই প্রজাপতি একজন আরেকজনকে খুব ভালোবাসতো। । তাদের মাঝে প্রায়ই তর্ক হতো যে কে কাকে বেশি ভালোবাসে। । যাই হোক, একদিন তারা দুজনে একটা বাজি ধরল।

। বাজির শর্ত ছিল, তারা যেই বাগানে থাকে সেই বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটার উপর একদম সকালে যে আগে বসতে পারবে সেই অন্যজনকে বেশি ভালোবাসে!! মেয়ে প্রজাপতিটা রাতে আর ঘুমাল না। । সে শুধু ভাবতে লাগলো। ।

ঘুমিয়ে পড়লে যদি ছেলে প্রজাপতিটা আগে চল...ে যায়!! খুব সকালে মেয়ে প্রজাপতিটা তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে উড়তে উড়তে সবচেয়ে সুন্দর ফুলটার কাছে গেলো। । তখন ছিল একদম ভোরবেলা। । চারিপাশে আলোও ফুটেনি।

। সে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো কখন সকাল হবে আর ফুলটা ফুটবে!! সকাল হল। । সূর্যের প্রথম কিরণ সেই বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটার উপর পড়লো। ।

আর মেয়ে প্রজাপতিটা গভীর বিস্ময়ে দেখলঃ ছেলে প্রজাপতিটা সেই ফুলের মধ্যে বসে আছে। । তার দেহে প্রান নেই। । আসলে, মেয়েটাকে সকাল বেলা চমকে দেয়ার জন্য সে গত রাত থেকেই ফুলটার মধ্যে ঢুকে যায়।

। রাতে যখন ঠাণ্ডা খুব বেড়ে যায় তখন সে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে মারা যায়। । মরে সে ফুলের মধ্যেই থাকে। ।

নিজের প্রিয়তমাকে চমকে দিতে!! মেয়ে প্রজাপতিটি এই দৃশ্য সহ্য করতে পারে না। । আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। । ২)এক মেয়ে, ছেলেকে বলল আমি যখন তোমার পাশে থাকিনা তুমি আমাকে মিস করো?? ছেলেঃ হা অবশ্যই করি মেয়েঃকতটুকু?? ছেলেঃঅনেক মেয়েঃআমাকে বল ঠিক কতটুকু?? ছেলেঃ ঠিক আছে, সোজা হয়ে বস, এখন নিশ্বাস বন্ধ করো, মেয়ে নিশ্বাস বন্ধ করলো কিছুক্ষণ পর যখন সে দেখল মেয়ে আর নিশ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারছেনা তখন সে বলল এখন নিশ্বাস নাও!! আর তুমি এই মুহূর্তে নিশ্বাস টা যতটুকু মিস করেছ আমি তোমাকে ঠিক সেই পরিমান মিস করি!! ৩)একটা ছেলে একটি মেয়েকে ভালবাসতো... মেয়েটি অন্ধ ছিল... সে তার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া বাকি সবাইকে অপছন্দ করত... সে সবসময়ই বলতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম... একদিন কেউ একজন মেয়েটিকে চোখ দান করে... মেয়েটির অপারেশন সফল হয়... মেয়েটি যখন তার বয় ফ্রেন্ড কে দেখল সে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলো... সে অবাক হল সে যাকে ভালবেসেছিল সেই ছেলেটিও অন্ধ... সে ছেলেটিকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়... ছেলেটি কিছু না বলে মেয়েটির জন্য একটি চিঠি রেখে গেল... চিঠিতে লেখা ছিল... "তুমি ভালো থেকো আর আমার চোখের যত্ন নিয়ো " ৪)প্রেমিকঃ আমার সারা দুনিয়ার কাছে বলতে ইচ্ছে করছে " I love U " প্রেমিকাঃ তা হলে বল... "প্রেমিক প্রেমিকার কানে কানে " I love U " প্রেমিকাঃ আমাকে বললে কেন? প্রেমিকঃ কারন তুমিই তো আমার পৃথিবী... ৫)ভালোবাসার সবচেয়ে বড় ব্যাথা হল যখন তুমি কাউকে মিস করো।

। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাথা হল যখন তুমি কাউকে প্রবলভাবে ভালোবাসো, কিন্তু সেই ভালোবাসা ব্যর্থ হয়। । -আব্রাহাম ক্রাউলি ৬)প্রতিদিনের মত আজও ছেলেটি এপ্রন হাতে বাস- স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে বাস এর জন্য ওয়েট করছে। লিজা আজও তাকে দেখল।

সে মেডিকেল এর স্টুডেন্টদেরকে দুই চোখে দেখতে পারেনা। কেননা, সে নিজে মেডিকেল এ চান্স পায়নি। কিন্তু এই ছেলেটাকে একটু অন্য রকম লাগে তার। অন্যান্য মেডিকেল এর স্টুডেন্টদের কে দেখলে তার মাঝে যেমন বিরক্তি আসে এই ছেলেটিকে দেখলে তেমন বিরক্তি আসে না। বরং এই ছেলেটিকে দেখার জন্যই লি...জা প্রতিদিন একই বাস স্ট্যান্ড এ আসে।

অন্য কোন পথ দিয়ে যাতায়াত না করে এই পথ দিয়েই আসে সে। লিজা মেয়েটা একটু অন্যরকম ছিল। অন্যরকম বলতে, সে এমন ভাব করে যেন প্রেম-ভালবাসার ধারে কাছে সে নেই। কিন্তু মনে মনে সে এক ধাপ এগিয়ে। বাস স্ট্যান্ড এর ওই ছেলেটার নাম ছিল রনি।

রনিও লিজা কে চুপচাপ লক্ষ করত। মাঝে মাঝেই তাদের একে অপরের সাথে চোখাচোখি হত। বাস এ রনি যখন দেখত লিজা দাড়িয়ে আছে আর সে বসে আছে তখন নিজের সিটটাও ছেড়ে দিত। কিন্তু তারা কখনও একে অপরের সাথে কথা বলেনি। এমনকি তারা একে অপরের নামটাও জানতোনা।

লিজা প্রতিদিনই হাজারও বুদ্ধি বের করত রনির সাথে কথা বলার কিন্তু কাজের সময় আর বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারতোনা। প্রতিদিনের মত আজও লিজা চিন্তা করতে লাগল ব্যাপারটি নিয়ে। যেহেতু লিজা একটু চাপা স্বভাবের , তাই সে এই ব্যাপারে কারও কাছে পরামর্শও চায়নি। দুদিন বাদেই ১ ফাল্গুন। সে ঠিক করল ওই দিনই ছেলেটিকে সব বলবে ও।

যেই লিজা জীবনে কখনও ফুল কেনেনি, সে-ই ১ ফাল্গুন সকালে নিজে ফুল কিনতে গেল। নিজের পছন্দের ফুল হাতে নিয়ে সে বাস স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে আছে ছেলেটির অপেক্ষায়... বেশিরভাগ সময় বাস স্ট্যান্ড এ ছেলেটিকেই আগে আসতে দেখা যেত। আগে দেখা না গেলেও ১০-২০ মিনিটের মধ্যে চলে আসত। কিন্তু আজ ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পরেও ছেলেটির কোন খবর নেই। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল লিজা।

কিন্তু এর পরেও ছেলেটির কোন দেখা নেই। নিজেকে খুব বোকা মনে হল লিজার। মনে মনে ভাবল... "ছেলেটির হয়তো প্রেমিকা আছে। না, হয়তো কেন হবে। অবশ্যই আছে।

মেডিকেল এ পড়ে, দুই দিন বাদে ডাক্তার হবে। দেখতেও তো খারাপ নয়। প্রেমিকা থাকবেনা কেন?? ১ ফাল্গুনে প্রেমিকাকে ছেড়ে সে এই বাস স্ট্যান্ড এইবা আসবে কেন???" ওই দিন লিজা চলে গেল। ঠিক করল আর কোন দিন ওই বাস স্ট্যান্ড এই যাবেনা। না সে আর যায়নি... গেলেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে।

তবে যখনই সে ওই বাস স্ট্যান্ড পার হয়েছে তখনই বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেছে। কিন্তু রনি কে দেখেনি... কিছুদিন পর লিজার বিয়ে ঠিক হল। বিয়েটি ঠিক করল লিজার মা। লিজা কোন আপত্তি করে নি। যদিও সে রনি কে ভুলতে পারেনি।

বিয়ের পর কিছুদিন ভালই কাটল। তারপর একদিন লিজা তার বরের ঘরে একটি ছবি খুজে পেল। ছবিতি দেখে আঁতকে উঠল লিজা। এটি সেই ছেলের ছবি। লিজা তার বরের কাছে জানতে চায়... "ছেলেটি কে?? " জবাবে তিনি জানান... "ছেলেটির নাম রনি।

মেডিকেল এ পড়ত। । বছর ২ আগে ১ ফাল্গুনে সে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়। মারা যাওয়ার সময় তার হাতে ফুল ছিল আর ছিল একটি চিঠি... তার সাথে নাকি প্রতিদিন এক মেয়ের দেখা হত বাস স্ট্যান্ড এ। সে তাকে Propose করার জন্যই ওই দিন বাস স্ট্যান্ড এ যাচ্ছিল।

দুঃখের বিষয় সে মেয়েটির নাম বলতে পারেনি। কোন ঠিকানাও দিতে পারেনি... ৭)সম্পর্ক পাখির মত যদি খুব শক্ত করে ধরে রাখেন মারা যাবে খুব আলতো ভাবে রাখলে উড়ে যাবে কিন্তু যদি সাবধানে রাখেন সেটা সব সময় আপনার সাথেই থাকবে... ৮)○ ভালবাসার মানুষ যত খারাপই হোক আপনার কাছে সে সব সময়ই ভালো। । ○ তার সাথে আপনার সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরও কেউ যদি তাকে নিয়ে খারাপ কোন মন্তব্য করে তখন আপনি খুব রেগে যান হয়তো কাউকে বুঝতে দেন না। ।

○ আপনার বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে কথা বলার সময় খুজে বের করার চেষ্টা করেন তার সাথে আপনার ভালবাসার মানুষটার কি কি মিল আছে। । ○ হঠাৎ তার পছন্দের কোন জিনিস যদি আপনার সামনে পরে যায় আপনি চেষ্টা করলেও তার কথা মনে না করে থাকতে পারবেন না। । ○ তার সাথে যে জায়গাগুলোতে আপনি বসে থাকতেন ঐ জায়গাগুলোতে গেলে সব সময় সে জায়গাটাই বসার চেষ্টা করবেন যেখানে আপনার ভালবাসার মানুস বসতো।

। ○ তার কাছ থেকে পাওয়া যে কোন জিনিস এখনও আপনার কাছে আছে যা আপনার পড়ার বই গুলোর চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে। । (যদি ফেরত না দিয়ে থাকেন আর ফেলে না দিলে) ○ ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাকে ভুলে হলেও একবার মনে করেন। (সংগৃহীত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।