আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিদের ১০০ কোটি টাকার ইমার্জেন্সী ফান্ড- কি করবেন?

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ-হুজি ও হিজবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্যরা ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের দিকে ঝুঁকছে। এ জন্য একটি প্রভাবশালী মহল প্রায় একশ’ কোটি টাকার ইর্মাজেন্সি ফান্ড গঠন করেছে। জঙ্গিরা ইসলামী কর্মী সেজে বড় ধরনের নাশকতাও চালাতে পারে। এজন্য জেএমবি ও হুজির বোমাবিশেষজ্ঞদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছেÑ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে শিবিরের ইন্ধনে জঙ্গিরা নাশকতার চেষ্টা করছে।

আÍগোপনে থাকা জঙ্গিরা ছাত্রশিবিরসহ অন্য ইসলামী সংগঠনগুলোর দিকে ঝুঁকছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের ধরতে র‌্যাবের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ডিবির উপপুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, শিবিরসহ আরও কয়েকটি ইসলামী সংগঠন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, জামা’আতুল মুজাহিদীন জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ-হুজি, ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টি আইডিপি ও হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ করার পর তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড একটুও থেমে থাকেনি। বাকি আটটি জঙ্গি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।

এসব সংগঠনের সদস্যরা আগের চেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছেÑ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, শাহাদত-ই আল হিকমা বাংলাদেশ, হিজবুত তাওহিদ, হিজবুত তাহ্রির, ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টি (আইডিপি), তৌহিদি ট্রাস্ট, তামির উদ-দ্বীন বাংলাদেশ ও আল¬াহর দলের সদস্যরা লেবাস পাল্টাচ্ছে। এ সম্পর্কে হুজির ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা ইয়াহিয়া টিএফআই সেলকে জানান, আÍগোপনে থাকা জঙ্গিরা শিবিরসহ অন্য ইসলামী সংগঠনগুলোতে যোগ দিচ্ছে। এজন্য প্রায় একশ’ কোটি টাকার ইমার্জেন্সি বাজেট ধরা হয়েছে। ওই টাকা মূলত জঙ্গিদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে।

তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের ৫৮ জন প্রভাবশালী সব ধরনের সহযোগিতা করছে। ৬ মাস আগে পল্টনে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির মিছিল থেকে যারা পুলিশের ওপর কুংফু স্টাইলে হামলা চালিয়েছিল, তাদের মূলত জঙ্গি। জানা যায়, সারাদেশে ৭টি অঞ্চলে ভাগ করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে জঙ্গিরা। রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘমারা, দৌলতপুর, কাটাখালী, শিবপুর, বিড়ালদহ, বানেরচর, গোয়ালকান্দি, তাহেরপুর, নলডাঙ্গা, আত্রাই, রানীনগর, কালুপাড়া, গোয়ালকান্দি, হামিরকুচ্ছা, ঝুগিপাড়া, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা, নওগাঁ, দিনাজপুর, হাকিমপুর, লালমনিরহাট, রংপুর, নওগাঁ, সিলেট, কুমিল¬ার দেবীদ্বার, চট্টগ্রামসহ আরও কিছু এলাকায় হুজি ও জেএমবির একাধিক নেতা কয়েকটি ইসলামী দলে যোগ দিয়েছে। সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধীদের অভিযোগে জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল¬া, কামারুজ্জামান ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ায় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা দিশেহারা হয়ে পড়ে।

সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা বিভিন্ন ইসলামী দলে যোগ দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে। এমনকি সরকারের ভেতর থাকা একটি মহল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জঙ্গিদের ব্যাপারে গোয়েন্দারা ১৭টি পরামর্শ দেয়। রিপোর্টে বলা হয়, একটি মহল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে জনমত সৃষ্টির জন্য ১৯টি বই প্রকাশ করেছে।

৮টি বই প্রকাশের অপেক্ষায়। ২টি আরবিতে ও ৪টি ইংরেজি পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজ চলছে। দুষ্কৃতকারীরা আন্তর্জাতিক রুটে বাংলাদেশের বিমান ছিনতাইয়ের মতোও ঘটনা ঘটাতে পারে। ১০০ কোটি টাকার ফান্ড !! এ অবস্থায় নাগরিক হিসেবে আপনার-আমার সবার জঙ্গি কর্মকান্ড সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সূত্র: সংবাদপত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.