আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের আলফী সমাচার-হাসি না আসলে মূল্য ফেরত।

যে সকল ছাগু আর ভাদা আসে আশপাশ, জীনের বাদশা তাদের পিছে দেয় মুলি বাঁশ। যে কোন ধরনের বাংলা ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। ভুল-ত্রুটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখাতে চলে যাচ্ছি।

এই কাহিনীর অবতারনা হয় যখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। এইখানে প্রসংগত বলে রাখা ভাল যে, আলফী আমার ক্লাসেরই একটা মেয়ে। এই পিচ্চিকালে এই মেয়ের মাথায় এত প্রত্যুৎপন্নমতিতা দেখে আমরা মাঝে মাঝে হতবাক হয়ে যেতাম। প্রায় সময়ই পরীক্ষার খাতায় তার অসাধারন প্রতিভা আমরা দেখতে পেতাম। এটা তারই একটা নমুনা মাত্র।

ক্লাস সেভেনের ২য় সাময়িক পরীক্ষা। বিষয়- বাংলা ২য় পত্র। প্রশ্নপত্রের প্রথম প্রশ্নে সেই বহুল চর্চিত-চর্বিত প্রশ্ন- পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি? উদাহরনসহ বর্ণনা কর। ঠিকঠাক মত উত্তর করলে পাওয়া যাবে পুরো পাচঁ নম্বর। প্রায় সবাই এই প্রশ্নের উত্তর জানে।

পদ- বাক্যে অবস্থিত সকল শব্দকে পদ বলে। পদ পাচঁ প্রকার। যথারীতি-বিশেষ্য, বিশেষন,সর্বনাম,ক্রিয়া,অব্যয়। বিশেষ্য- বাক্যে অবস্থিত সকল নামবাচক শব্দকে বিশেষ্য বলে। উদাহরন- আমার একটি বই আছে।

এই বাক্যে বই বিশেষ্য। ইত্যাদি। কিন্তু বিপত্তিটা বাধল একটা আ-কার নিয়ে। সেদিন প্রশ্নপত্রে পদ এর প এর পরে কিভাবে যেন মুদ্রণ-ত্রুটির কারনে একটা বাড়তি আ-কার ছাপা হয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটা দাড়ায়, পাদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? আমরা সবাই পিচ্চি পোলাপাইন হলেও সবার কমনসেন্স এতটা খারাপ ছিলনা যে,প্রশ্নপত্রে এই ধরনের হাস্যকর ও উদ্ভট প্রশ্ন আসতে পারে।

তাই সবাই স্বাভাবিকভাবে প্রচলিত পদের সংজ্ঞাটাই লিখলাম। এমনকি স্যাররাও বেশ কয়েকবার পই পই করে বলে দিলেন যে,প্রশ্নটা পাদ হবেনা,হবে পদ। কিন্তু একজন এই ব্যাপারটা মানতে নারাজ। সেই ব্যক্তিটা হল আমাদের আলফী শাহরিন। পরীক্ষার হলেই আড়চোখে দেখতে পেলাম,আলফী ক্রমাগত কলমের মাথা কামড়াচ্ছে আর কি যেন ভাবছে।

আমরাও জমজমাট কিছু একটার আশায় থাকলাম। তারপর যখন পরীক্ষার খাতা পূর্নমুল্যায়ন করার জন্য সব ছাত্রকে স্যার ক্লাশে আবার খাতা জমা দিলেন,আলফীকে সবার সামনে ডেকে তার খাতায় কি লেখা আছে তা সবাইকে পড়ে শোনাতে বললেন। আর তখনই আমরা সবাই আলফীর আসাধারন প্রতিভার কথা জানতে পারলাম। আলফী আমাদের কি পড়ে শোনালো তা এখানে হুবুহু তুলে ধরা হল। পাদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? পাদ- আমাদের শরীর থেকে মৃদু বা উচ্চ স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে পায়ুপথ দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয়,তাহাকেই পাদ বলে।

পাদ প্রধানত চার প্রকার। যথাক্রমে- ১)ফুশ ২)ফাশ ৩)ডুশ ৪)ডাশ। ১) ফুশ পাদ- ফুশ করিয়া উচ্চ স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয় তাহাকেই ফুশ পাদ বলে। উদাহরন- সাধারনত প্রবীণ সম্প্রদায় এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে। ২) ফাশ পাদ- ফাশ করিয়া মৃদু স্বরে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয়,তাহাকেই ফুশ পাদ বলে।

উদাহরন- বাল্যকালে শিশুদের এই ধরনের পাদ দেবার প্রবণতা দেখা যায়। ৩) ডুশ পাদ- ডুশ করিয়া অতীব উচ্চ স্বরে যে সকল বায়ু আমাদের পায়ুপথ দিয়ে নির্গত হয় তাহাকেই ডুশ পাদ বলে। উদাহরন- মদ্যবয়সীরা ভরপেট খাওয়ার পর বায়ু সংবরন করিতে না পেরে এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে। ৪) ডাশ পাদ- ডাশ করিয়া ভয়ংকর উচ্চ স্বরে যে সকল বায়ু আমাদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে নির্গত হয় এবং পরিশেষে পরিবেশ দূষনের কারন হিসাবে প্রতিয়মান হয় তাহাকেই ডাশ পাদ বলে। উদাহরন- শেষ বয়সে মানে বুড়ো-বুড়ীরা প্রায়শ এই ধরনের পাদ দিয়ে থাকে কোন ধরনের সতর্ক সংকেত ছাড়াই।

কোথায় পদের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ,আর কোথায় পাদ নিয়ে মহাকাব্য লেখা। আমরা সবাই ত আলফীর প্রতিভা দেখে হাসতে হাসতে শেষ। বলাবাহুল্য পাদ নিয়ে এই ধরনের যুগান্তরকারী ও গবেষনাধর্মী রচনা পৃথিবীর আর কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। আজকে এখানেই শেষ করছি। অন্য কোনদিন আরও মজার কিছু একটা নিয়ে হাজির হব।

সবাই মন্তব্য করে উৎসাহিত করবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।