আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহ্ আরেফিন (রঃ) - ফটোব্লগ

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা । হযরত শাহজালাল (রঃ) এর ৩৬০ আউলিয়ার একজন শাহ আরফিন (রঃ) ।

জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার এবং তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ে অবস্থিত এই আউলিয়ার মাজার । শুনেছিলাম ওখানে নাকি যাওয়া যায়, কিন্তু ওখানে গিয়ে খুব হতাশার সাথে লক্ষ করলাম ভারতের কাটা তারের বেড়া । তবে শাহ্ আরেফিনের বাংলাদেশ অংশের আস্তানা যতটুকু দেখতে পেরেছি চলুন তাই দেখা যাক............ সুনামগঞ্জ শহরে গিয়ে সুরমা নদী পেরিয়ে ভাড়ার মোটর সাইকেলে চড়ে যেতে হয়, শাহ্ আরেফিন (রঃ) এর আস্তানায় । খুবই কষ্টকর এই পথ, কখনো বালি কখনো এবড়ো-থেবড়ো কখনো পাকা সড়ক । আস্তানার কাছের সড়কটা পাকাই ছিলো, আর সামনে দেখা যাচ্ছে মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড় ।

মূল আস্তানা ভারতের খাসিয়া পাহাড়ে হলেও সেই সিমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশ অংশে ও নাকি ওনার পদচারণা ছিল । আর সেখানেই এখন তার মাজার রয়েছে । হিন্দু সম্প্রদায়ের দোলপূর্ণিমার ১৩ দিন পর লাউড়ের গড়ের অদূরে পণতীর্থ ধামে হয় বারুণী স্নান ও মেলা। একই দিনে লাউড়ের গড়ে শুরু হয় শাহ আরেফিনের মেলা, চলে ৩ দিন। এই দুই মেলাকে ঘিরে এখানে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসে লক্ষ লক্ষ মানুষ।

ঠিক কত বছর আগে শাহ্ আরেফিনের মেলা শুরু হয়েছিল সঠিকভাবে বলা মুশকিল। এটুকু জানা যায় এই মেলার বয়স ১০০ বছরেরও বেশী। আগে এই মেলার দিনে বিডিআর বিএসএফের সমঝোতায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হত। দু’দেশের লোক জমায়েত হত তখন এই মেলায়। কিন্তু মেলায় গন্ডগোলের পর থেকে এখন আর সীমান্ত খোলা হয় না।

(লাউড়ের গড় নিয়া পরে আলাদা পোষ্ট দিব ) । আস্তানাটা একটা বিশাল এলাকা নিয়ে, আর মোটামুটি শুনশান । পিলার নং ১২০৩, এপার ওপার দুইপাশেই শাহ্ আরেফিন (রঃ) এর আস্তানা । শাহ্ আরেফিনের মূল আস্তানা (ভারতের খাসিয়া পাহাড়ে) এখানে বেশ কিছু স্মৃতি চিহ্ন‎ এখনো রয়েছে। ৭টি কূয়া, সুড়ুঙ্গ পথ, পাথরের উপর নামাজ পড়ার পদ চিহ্ন‎ ইত্যাদি ।

কিন্তু আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি । ক্যামেরায় জুম করে যেটুকু তুলতে পেরেছি । এই পাড়ে আমি আর ঐ পারে তুমি....... ১২০৩ নং সিমান্ত পিলারের ভারতীয় অংশে আমি আর বাংলাদেশ অংশে আমার বন্ধু ( পাসপোর্ট ছাড়া, কাউকে বলবেন না, যেন ) বিএসএফ সদস্যরা কাটা তারের বেড়া পাড় হয়ে এইপারে আসার জন্য রয়েছে কিছুক্ষণ পর পর এমন গেইট । শাহ্ আরেফিন মাজারের মসজিদ । শাহ্ আরেফিন মাজারের নরসুন্দরের ছবিটা না তুললে কি হয়  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।