আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামের কিছু তরুণের অনলাইন বাংলা রেডিও "রেডিও অথৈ"

মানুষ মাত্র ভুল "২৪ ঘণ্টার বাংলা অনলাইন রেডিও" স্বপ্নটা হাঁটছিল সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া পিপুন বড়ুয়ার হাত ধরে। কাছের কয়েকজন বন্ধুকে জানান তাঁর ইচ্ছের কথা। তাঁরাও এককথায় সায় দেন। মনের জোর বেড়ে যায় পিপুনের। অবশেষে এক হন স্বপ্নবান এ তরুণেরা।

২০১১ সালের ৭ জুন শুরু হয় ‘রেডিও অথৈ’ নামের বাংলা অনলাইন রেডিওর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার। এর এক মাস পর ৭ জুলাই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। এ স্বপ্নের বীজ অঙ্কুরিত হলো কীভাবে? শুনুন পিপুনের মুখে, ‘২০১১ সালের শুরুর দিকের কথা। তখন চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উত্তেজনা। সে সময় বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের এলাকায় একটি অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নিই।

‘অনলাইন রেডিও পার্টনার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই ঢাকার একটি অনলাইন রেডিও চ্যানেলকে। কিন্তু তাঁরা রাজি হয়নি। পরে কোনো রেডিও পার্টনার ছাড়াই আয়োজন করি অনুষ্ঠান। এর পর থেকেই মাথায় আসে একটি অনলাইন রেডিওর পরিকল্পনা। যে রেডিও কথা বলবে তারুণ্যের এবং দেশের।

’ পিপুনের বন্ধু মামুনুর রহমান। বন্ধুর উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে হাত বাড়ান সহযোগিতার। আরেক বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান প্রথম বর্ষের ছাত্র সৈকত সুশীল—বন্ধুর আমন্ত্রণে শুরু থেকেই যুক্ত। আর ইস্পাহানী পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া মইনুল হাসানের আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল রেডিওতে কাজ করার। সে ইচ্ছে বাস্তবে রূপ নিয়েছে এখন।

তবে এখনো নিজেদের জমানো টাকায় কার্যক্রম চলছে তাঁদের। দৃঢ় বিশ্বাস, দ্রুত লাভের মুখ দেখবেন। শুরুটা পিপুন, মামুন, সৈকত ও মইনুলের হাত ধরে। তাঁরাই শুরু করেন রেডিও অথৈয়ের কার্যক্রম। শুরুতেই এক হাজার টাকায় সার্ভার কেনা হয়।

এরপর রেডিও সম্প্রচারের জন্য নেওয়া হয় সাউটকাস্ট সার্ভার, হেডফোন, সুইচবোর্ড অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ওয়েব ডিজাইনের কাজ জানা পিপুন নিজেই ডিজাইন করেন ওয়েবসাইটের। স্লোগানে লেখেন, ‘কথায় গানে, প্রাণের টানে...’। রেডিও অথৈয়ের দলে এখন যোগ দিয়েছেন আরও কয়েকজন বন্ধু। পরিবারের নতুন সদস্যরা হলেন আরিফ খন্দকার, ওয়াহিদ তাহসিন, রফিক হোসাইন, আকরাম উদ্দিন, নিশাত সুলতানা, রাজিয়া সুলতানা ও নুসরাত শারমিন।

পাশ্চাত্যের আগ্রাসনে দেশীয় সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। কমে গেছে বাংলা গানের প্রচলন। বিশেষ করে তরুণদের বাংলা গানে আগ্রহ নেই। তাই তাঁরা শুধু বাংলা গান নিয়েই কাজ করতে চান। বলছিলেন রেডিও অথৈয়ের প্রধান নির্বাহী পরিচালক পিপুন বড়ুয়া।

অনলাইন রেডিওর কাজ পড়ালেখায় কোনো ব্যাঘাত করছে না তো? সবাই এক সুরে বলেন, ‘আমরা পড়ার ফাঁকে এসব করছি। এতে পড়ার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। ’ রেডিও অথৈ বর্তমানে রয়েছে ২৪ ঘণ্টার সম্প্রচারে। উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সকাল ছয়টা থেকে ১০টা ঊষার রবি, প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুইটা পর্যন্ত বন্ধু আড্ডা ও মাস্তি, বেলা তিনটা থেকে সাতটা আড়াই অক্ষর, সন্ধ্যা সাতটা থেকে ১০টা অনির্ধারিত অনুষ্ঠান। রেডিওটি মোবাইলে সম্প্রচারের জন্য বানানো হচ্ছে জাভা সফটওয়্যার।

তবে বর্তমানে নকিয়া ইন্টারনেট রেডিওতে শোনা যায় রেডিও অথৈ, রেডিওটিতে টিউন করতে চাইলে ক্লিক করতে হবে http://www.radioathoi.com ওয়েবসাইট। কার্যালয়: ব্লক-এল, প্লট-৩২, কৈবল্যধাম আবাসিক এলাকা, বিশ্বকলোনি, খুলশী, চট্টগ্রাম। লিখেছেন: শিহাব জিশান ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.