আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০০ বছরে বাংলাদেশ: ফিরে দেখা

০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০৭১ [সে লেখার পর..] তা না পারলে সে অসময়ের অমানুষ আর আমাদের আর পশুদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? সেইসব অমানুষ ইতিহাস বুঝতনা, 'তালগাছ আমার' ভাবনায় ডুবে থাকতো সারাক্ষণ, সত্য কখনোই তাদের চোখে ঢুকতো না, তাদের নেতা-নেত্রী যা-ই করুক তা-ই ঠিক! একবার রাজধানি ঢাকাকে দু'ভাগ করা হলো সরকারের একগুয়ে সিদ্ধান্তে, সারাদেশ ছ্যাঁ ছ্যাঁ করে উঠলো, বিশেষজ্ঞরা না না করে উঠলেন, সাধারণ মানুষ সরকারের কথা ভেবে দু'বার বেশি থুথু ফেললো (বিরোধি দল-ও না না করেছিল, তবে তা বিরোধিতার খাতিরে, দেশের ভালোর কখা ভেবে না !)। একবার দেশের একটা নদীর উপর দিয়ে বাঁধ তৈরি করে ভারতের সুবিধা করা হলো, দেশের মানুষ হায় হায় করলো, ছি ছি করলো । কিন্তু,সেই সময়ের অমানুষেরা ধিন ধিন তা না করে নাচ জুড়ে দিল, ব্যানার টানালো নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে, আহ. দেশটার গুষ্টি মেরে তারা কী ভালো কাজই না করেছেন! আমরা ভাবতাম ওই সব অমানুষ নেতারা যদি ওইসব অমানুষদের বউ বা মেয়েদের সাথে.... করতে চাইতো ওরা বোধহয় হাসতে হাসতে এগিয়ে দিত মেয়েকে বা বউকে বা বোনকে! বাংলার চিরকালীন দুরবস্থার জন্য মূলত এরা-ই দায়ী..। ইতিহাসের সাথে আমার বহুবার কথা হয়েছে। বহু কথা হয়েছে।

সে-ও আমাকে বলেছে, ''বাঙালির মধ্যে এরকম নির্লজ্জ বেহায়া 'অমানুষের' সংখ্যা বেশি সবসময়েই ছিল। আর এরা-ই তোমাদের দুর্ভাগ্যের কারণ। এদের কারণেই '৭১' তোমাদের কাছে পুরোপুরি 'আপন' হয়ে ওঠেনি, এদের কারণেই ওসব 'ডাকাত' 'চোর' 'ছ্যাঁচড়া' '.........' নেতারা বারবার ক্ষমতায় আসতে পারতো, ওদের কারণেই নেতারা তোমাদেরকে, তোমাদের 'মা' বাংলাকে 'পালা করে' 'ধর্ষণ' করতে পারতো। যে জাতি যেমন, সে জাতি তেমন নেতা পায়- কথাটা কত সত্য তা তোমাদের দেশ দেখেই বেশি বোঝা যায়। ওসব 'অমানুষ'দের সংখ্যাধিক্যের জন্যই ওরকম নেতা-নেত্রী তোমরা পেতে, বা ওসব অমানুষেরা-ই নির্লজ্জতার আর স্বার্থপরতার আর অমানবিকতার চরম শিখরে পৌঁছে তবে 'যোগ্য নেতা' হতো।

তোমাদের সমস্যা ছিল মূলত: মানসিকতায়। তোমরা কখনোই ভালো মানসিকতার মানুষ ছিলে না। কখনোই তোমরা রাজার জাত ছিলে না। তোমরা ছিলে সমাজের 'আস্তাকুঁড়ের অমানুষ'। প্রগৈতিহাসিক কাল থেকেই তোমাদের বাস নিম্নস্তরে, নিম্নতর অবস্থানে, নিম্নতম রুচি নিয়ে।

প্রতিটা যুগসন্ধিকাল-ই তোমাদের এরকম আত্মসম্মানহীনতা আর রুচিহীনতার; আর পা-চাটা মানসিকতা আর ছ্যাঁচড়ামির কথা বলবে। ব্রিটিশ শাসনের আগে-পরে তোমরা বাঙালিরা ছিলে অচ্ছুত, সমাজের গণ্যমান্যদের এঁটোকাটা খেয়ে বেঁচে থাকা অপুরুষ, আর তারও নিচুস্তরের মানসিকতা নিয়ে ম'রে থাকা কা-নারী। [বিশ্বাস হচ্ছেনা? বিখ্যাত বাঙালি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা 'বাঙালীর জাতীয়তাবাদ' বইটা এর কিছু আভাস তোমাদের দিতে পারবে, পড়ে দেখো] তোমাদের শ্রেষ্ঠতম মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে রায় দিয়েছিলেন তোমরা 'বাঙালি', 'মানুষ' না, সে তো এমনি এমনি না, বড় কষ্টে তিনি বড় সত্য সে কথাটা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাঙালির ঘরে মাঝে মাঝে মানুষ জন্মায়। অবরে সবরে জন্মানো সেরকম এক বাঙালি হুমায়ুন আজাদ (আমি যাকে তোমাদের সেরা মেধাবীদের একজন বলে মনে করি) বই লিখেছিলেন 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম' তা-ও তো বড় কষ্টে লখা।

তোমরা যাঁকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে মেনেছ, সেই মহান বাঙালি, মহান মানুষ বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারটাও ভেবে দেখো। তাঁর মুখের কথায় যারা জীবন দিয়ে দিল, স্বাধীন করলো দেশটাকে, তোমাদের প্রিয় মা'কে, সেই সাধারণ জনগণকে কি তিনি নিজেও কিছু দিতে পেরেছিলেন তাঁর সময়ে? মুক্তিযুদ্ধ অবধি বঙ্গবন্ধু আর পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর পার্থক্যটা কখনো দেখেছো মন দিয়ে? [বঙ্গবন্ধুর বন্ধুস্থানীয় এ্যান্থনি মাসকারেনহাস এর 'বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ' বইটা পড়ে দেখো] দেবতা তুল্য এই অসাধারণ মানুষটাও কেন পারলেন না, তোমাদের চির আরাধ্য বাংলার ছবি আঁকতে? কেন আর কেউ-ও পারলো না, তাঁর আগে বা পরে? কেন? তাঁর ডাকে যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল একাত্তরে, তাদেরই কয়েকজন তাঁর জীবন নিল কেন? কেন বঙ্গবন্ধুকে, বাঙালিকে চরম মূল্য দিতে হলো ৭৫-এ? কেন পরবর্তী নেতা-নেত্রীরা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিলনা? আমার থেকে শিক্ষা নিলনা? তা হলে তারা শুধরাতো। তাহলে ২০২৭ লাগতো না। তাহলে শুরুতেই স্বাধীন হতে তোমরা, শুরুতেই.. হয়নি ওসব বাঙালিরূপী অবাঙালিদের জন্য। সে সময়ের অমানুষদের জন্য।

তাদের স্বভাব ছিল পা-চাটা, তা সে পায়ে 'মধু' থাক বা 'গু' থাক। মধু থাকলে তো বলতো-ই, গু থাকলেও তা চেটে বলতো, বাহ কী স্বাদ! কখনো বলতো না স্যার, বা ম্যাডাম, আপনার পায়ে গু, আপনার মনে গু, আপনার কথায় গু, আপনার চলনে-বলনে গু.. তা হলে নেতারা নেত্রীরা শুধরোবার চেষ্টা নিশ্চয় করতেন.. ওদের কারণেই, তোমাদের এ দুর্দশা হয়েছিল, না হলে ২০০৭-৮-৯-এ তো.. [চলবে..] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।