আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনা-অভ্যুত্থানের পথে মিসর

মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, দেশটিতে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের কোনো রাজনৈতিক সমাধান না হওয়ায় সরকার এখন সেনা-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি।
রয়টার্স বলছে, অনেকগুলো সাঁজোয়া যান ও কয়েক শ সেনা মুরসির প্রাসাদের বাইরের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মুরসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসাম আল-হাদ্দা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আসুন, মিসরজুড়ে যা হচ্ছে সেটিকে দেশের স্বার্থে ও ইতিহাসের ভুল শোধরাতে সঠিক নামে অভিহিত করি: সেনা-অভ্যুত্থান। ’ ওই বিবৃতিতে তিনি ‘ব্যাপক রক্তপাতের’ বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছেন।


মুরসির আরেক সহকারী বলেছেন, তিনি কায়রোর কাছাকাছি রিপাবলিকান গার্ডের একটি ব্যারাকে আছেন এবং সেখানেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি উপদেষ্টারা রাত নয়টার পর প্রাসাদ ছেড়ে চলে গেছেন।
রয়টার্স আজ বুধবার রাতে জানিয়েছে, সেনারা কায়রোর রাস্তায় কুচকাওয়াজ করা শুরু করেছে, মুরসি ঐকমত্যের সরকার গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং অসংখ্য প্রতিবাদী কায়রোসহ বড় বড় শহরগুলোর পথে পথে বিক্ষোভ করছে।
এর আগে মুরসিকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। এ সীমা আজ অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু মুরসি আগের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।

মুরসির সরকারের ইসলামি কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।
দেশে শান্তি ফেরানোর ঘোষণা দিয়ে সেনা কর্মকর্তারা আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা ‘সন্ত্রাসী ও বোকাদের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রক্ত ঝরাতে ভীত নন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের দপ্তরের বাইরে সেনাবাহিনীর অনেকগুলো সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে। সেনারা রাস্তায় টহল দিচ্ছেন এবং অনেক সরকারি কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসিকে হটাতে সেনাবাহিনী এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।


মুরসিকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সময় রাত নয়টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। এ সময় পেরোনোর কয়েক মিনিট আগে মুরসির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সরকার রাজনৈতিক সমাধান হিসেবে ঐকমত্যের সরকার গড়ে সম্মত। তবে দেশটির বিরোধী দলগুলো তাঁর এ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কায়রোর তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার মুরসিবিরোধী মানুষ আতশবাজি ফোটাচ্ছে, চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছে এবং পতাকা ওড়াচ্ছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।