আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই পড়ার চেয়ে প্রার্থনা সহজ।

শেষ বারের মতো সতর্ক করছি... স্বরস্বতী প্রার্থনাতেই যদি বিদ্যা পাওয়া যায় তবে কষ্টকরে বই পড়তে যাবে কেন?স্কুলের মাঠে স্বরস্বতী পূজা হচ্ছে। রঙ্গিন আলোয় আলোকিত চার দিক। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিটা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের আলোর সাথে লাইব্রেরির নিজস্ব আলো দিনের মতো করে দিচ্ছে। আজ পূজা থাকায় কেউ বই লেনদেন করতে আসছেনা।

লাইব্রেরির পাশ দিয়েই পূজার পূণ্যার্থিরা দেবী দর্শনে যাওয়া আশা করছে। ছুটির দিন থাকায় বেশির ভাগ মানুষই পরিবার নিয়ে বেরিয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবা মায়ের হাত ধরে পূজা দেখছে। কিশোর কিশোরি, যুবক যুবতীরাও সুন্দর করে সেজে দলবল নিয়ে ঘুড়ছে। কেউ কেউ লাইব্রেরিটার দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ দাঁড়াচ্ছেনা।

স্বরস্বতীকে দেখার চেয়ে লাইব্রেরি দেখা বেশি গুরুত্বপূর্ন হতে পারে না। প্রার্থনা করেই সহজে যা পাওয়া যায় তার জন্য কষ্ট কেন করতে যাবে? বিদ্যার জন্য দেবি দর্শন তাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি অন্তত এক হাজার মানুষকে লাইব্রেরির পাশ দিয়ে যেতে আসতে দেখলাম। হাটা চলা , আনন্দ উল্লাস সবই দেখলাম। বিদ্যার জন্য মানুষ এত আগ্রহী আগে জানতাম না।

যে দেশের মানুষ বিদ্যার জন্য রাত জেগে লাইন দিয়ে মন্দির থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুড়ে বেড়ায় সে দেশের মানুষ কি করে অশিক্ষিত থাকে? এই বিদ্যার দেশের মানুষ কেন এত দুর্নিতি পরায়ন হয়? কোথায় পড়েছিলাম। বিদ্যার্জনের কোন সহজ পথ নেই। কথাটা বাস্তব সম্মত হলেও ধর্ম সম্মত নয়। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের। বিদ্যার দেবী যদি কাউকে বর দেয়।

সে বিদ্যা পাবে। না দিলে পাবে না? বিজ্ঞানের উন্নতি করার সাথে সাথে আর ঈশ্বরের আশায় বসে থাকেনা। ঈশ্বর বৃষ্টি না দিলে সেচের ব্যবস্থা করে। বিজ্ঞান মানুষকে ক্রমশ ঈশ্বের উপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। বজ্রপাথ থেকে বাঁচতে প্রার্থনার চেয়ে বজ্রনিরুদক দন্ড বেশি কার্যকর।

বিজ্ঞানের উপর আস্থা অনেক বেড়েছে। মানুষ ভাল করেই জানে বিদ্যার জন্য বই পড়াই সবচেয়ে কার্যকরি পথ। সাধারণত কোন বিষয় জানতে চাইলে বই এর আশ্রয় নেই। বই-ই আমাদের একমাত্র বন্ধু যার কাছ থেকে অকৃপণ ভাবে বিদ্যা পেতে পারি। এটা ধার্মিকরাও জানে।

তারা বিদ্যাদেবির পায়ের কাছে বই রেখে আসে বইকে সহজ করে দেবার জন্য। আমি আজ এক পিচ্চির কাছে জানতে চাইলাম সে কি বর চেয়েছে। পিচ্চি অনেক ক্ষন মনে করার চেষ্ট করে ব্যর্থ হলো। তার মা তাকে কি বলতে বলেছিলেন কোন ভাবেই মনে করতে পারেনি। আমি অনেককেই দেখেছি দেবীর পায়ের কাছে বই দিয়ে আসতে।

যাতে বই গুলো সহজ হয়ে যায়। আমাদের কিছু অনার্স পড়ুয়া বন্ধরাও এই কাজ করে। আমি একজনের কাছে জানতে চইলাম। এতে কি কাজ হয়? সে বল্ল সবাই করে। তাহলে এক কাজ কর।

বিজ্ঞানের (ইংরেজী ভাষার) বই গুলো দিয়ে আয় আর দেবীকে বাংলা করে দিতে বল। বাংলা করলে অনেক সহজে বুঝা যাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।