আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেরাণীগঞ্জে হানাফী ও আহলে হাদিসদের মাঝে বিতর্কঃ হানাফীগন জয়ী

কিচ্ছু বুঝিনা পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ ২৮.১.২০১২ তারিখ বেলা ১১ টায় কেরাণীগঞ্জ আইন্তা খেলার মাঠে নির্ধারিত কিছু বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আহলে হাদিস গ্রুপের কেউ বিতর্ক স্থলে না আসায় বেলা ১২টার দিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম হানাফীগন কে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তার সাক্ষরিত ঘোষণা পত্রে বলা হয় আহলে হাদিসদের আস্তানাসহ পুরা আইন্তা এলাকার কোথাও তাদের কাউকে না পেয়ে আমরা হানাফী তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতকে বিজয়ী ঘোষণা করছি। ঘটনার শুরু গত ৪ জানুয়ারি আইন্তা এলাকায় শাইখ জসিমুদ্দিন রাহমানীর এক মাহফিল থেকে। ঐ মাহফিলে হানাফী মাযহাব ও পীর মাশায়েখদের নিয়ে নানা ধরনের আপত্তিকর কথা বার্তা বলা হয়। যেমন সশব্দে আল্লাহু আল্লাহু যিকির করলে কুকুরের ঘেউ ঘেউ এর মত শনা যায়।

এতে এলাকায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের মধ্যস্ততায় বিতর্কের বিষয়টি স্থির হয় এবং উভয় পক্ষই বিতর্কে উপস্থিত থাকবে বলে ষ্ট্যাম্প লিখিতও দেয়। শনিবার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পুরা এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে লোকজন আসতে থাকে। একপর্যায়ে নির্ধারিত সময় আতিক্রম হয়ে গেলেও আহলে হাদিসগন না আসায় আগত লোকজন হৈ চৈ আরম্ভ করে দেয়। উপস্থিত লোকদেরকে শান্ত রাখার জন্য হানাফী আলেমগন সেখানে বক্তৃতা দিতে থাকেন।

হানাফী তার্কিক মুফতি দেলোয়ার হুসাইন বলেন আহলে হাদিসরা কথায় কথায় বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় কিন্তু কখনোই তারা মুখোমুখি হয় না। আমি এর আগেও ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও টাংগাইলের কালিহাতিতে আহলে হাদিসদের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে তাদের সাথে বিতর্ক করতে যাই কিন্তু গিয়ে তাদের কাউকে পাইনি। তিনি আরও বলেন এরা যদিও নিজেদেরকে আহলে হাদিস বলে আসলে তারা মুনকিরে হাদিস অর্থাৎ হাদিস অস্বীকারকারী কেননা তাদেরকে যদি সিহাহ সিত্তার বাইরের কোন হাদিস বলা হয় তাহলে তারা বলে এটাতো সিহাহ সিত্তায় নাই। যখন সিহাহ সিত্তার হাদিস বলা হয় তখন বলে এটাতো বুখারি, মুসলিমে নাই। আর যখন মুসলিমের হাদিস বলা হয় তখন বলে এটাতো বুখারিতে নাই।

যখন বুখারির হাদিস বলা হয় তখন বলে অমুক রাবি দুর্বল এভাবে তারা এড়িয়ে যেতে থাকবে যতক্ষণ না তাদের মন মত না হবে। মুলতঃ তারা শুধু সেসব হাদিস মানে যেগুলো তাদের মন মত হয়। যে হাদিস টা তাদের মন মত না সেটকে তারা ঐভাবে এড়িয়ে যায় বা অস্বীকার করে। মুফতি আব্দুল মালেক নামে এক বক্তা তার বক্তৃতায় ইমাম আবু হানিফা ও তার মাযহাব যে হাদিসের উপর প্রতিষ্ঠিত তা বিভিন্ন দলিল প্রমানের ভিত্তিতে তুলে ধরেন। এবং তিনি সবাইকে এসব বিষয়ে শান্ত থাকতে বলেন।

তিনি বলেন আহলে হাদিসরা আপনাদের কে কথায় কথায় মুশরেক, বিদয়াতী ইত্যাদি বলবে গালিগালাজ করবে সাবধান আপনারা কখনো এটা করতে যাবেন না বরং আপনারা পড়াশোনা করেন এবং জ্ঞান ও যুক্তির আলোকে তাদের ভ্রান্তিকে ধরিয়ে দিন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে আলেমদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। মুহাম্মাদপুরস্থ জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি মাহফুজুল হক শাইখ জসিমুদ্দিন রাহমানির সার্টিফিকেট তার ছাত্রত্ত বাতিল ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য শাইখ জসিমুদ্দিন রাহমানী ৯০দশকে জামিয়া রাহমানিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ চরমোনাই পীর মুফতি মুহাম্মাদ রেজাউল করিম দোয়া করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এখানে পুরা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।