২৮ জানুয়ারি, ২০৭১
[গোড়ার কথা]
এভাবেই চলতো। যদি না আরেকবার ৭১ ফিরে আসতো। আরেকবার।
আরেকটা একাত্তর, আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ আর আরেকটা স্বৈরাচার-বিরোধী যুদ্ধ ফিরে এসেছিল বাংলায়। স্বাধীনতার ৫৬ বছর পর।
২০২৭ এ। দারুন সোনায় মোড়া আরেকটা সুসময় ফিরে এসেছিল। আসতে তাকে হতোই। কারণ বাঙালি আর পারছিলনা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলার 'প্রজা'রূপী রাজারা আর পারেনি।
পারেনি দুই পরিবার আর শুয়োররপী ধর্মব্যবসায়ীদের আর নোংরা রাজনীতির অপুরুষদের 'ভোগের' খোরাক হয়ে থাকতে। পায়ের জুতো হয়ে থাকতে। তাদের পিক ফেলার পাত্র হয়ে থাকতে।
বাঙালির রক্ত শরীরে নিয়ে পারা সম্ভব ছিলনা।
তাই পারেনি সহ্য করে পশুর মতো বেঁচে থাকতে।
পারেনি, তাই আড়মোড় ভেঙে জেগে ছিল।
জেগে উঠেছিল। ৭১'র মতো। '৮৯'র মতো। তীক্ষ্ণ আঁধারের দীর্ঘ রাতের শেষে জেগে ওঠ ভোরের মতো।
বাঙালি জেগে উঠেছিল। আরেকবার।
রক্ত তাদের কখনোই কম ছিলনা। কম ছিলনা মা'র প্রয়োজনে তা ঢেলে দেবার সাহসেও।
তাই, পাকিস্তানি শুয়োরদের রক্তের স্রোতে দেশছাড়া করা বাঙালি, ২০২৭ এ, আবার রক্ত ঢাললো।
অঝোর ধারায়। ঝর্ণা ধারায়। শ্রাবণের ঢলের ধারায়।
সেই ধারায়, আর স্রোতে, আর বন্যায় ভাসলো জঞ্জাল। দুই পরিবার, আর শুয়োরমুখী ধর্মব্যবসায়ীরা, আর তাদের প-চাটা কুকুরেরা।
আর নোংরা রাজনীতির আরো নোংরা অপুরুষেরা আর কা-নারীরা। ভাসলো দুর্নীতি আর বেহায়পনা। আর দুর্নীতিবাজ অশিক্ষিত নেতারা, আর আমলারা, আর মূর্খরা।
ডুবে মরলো সবাই, যারা বাঙালির চেহারায় বৈদেশি ছিল, আর পাকিস্তানি ছিল, আর ভারতীয় ছিল।
তার পর বাঙালি নিজের পথ আর অধিকার আর নিজের ধর্ম নিজে বুঝে নিল।
যা করলো, তারা অনেক বছর ধরেই করবে বলে ভেবে এসেছে। কিন্ত পারেনি। তাদেরকে পারতে দেয়া হয়নি।
যেটা ১৯৭১'র ডিসেম্বরের ১৬তেই হতে পারতো কেন তা হলোনা? কেন বাঙালি পারেনি তা করতে? পারেনি ৭১'র পর, পারেনি ৮৯-৯০'র
পর। কেন পারেনি?
কেন বাঙালির রক্ত কলুষিত হল?
কেন বাংলার আকাশ সমান বুকে লোভ, হিংসা আর নির্লজ্জতার নির্লজ্জ মেঘ জমলো?
ইতিহাস এসব প্রশ্ন রেখ যায়।
এ সদুত্তর কি তোমাদের কাছে আছে? থাকলে ইতিহাসকে ডেকে, পাশে বসিয়ে, শান্ত স্বরে বুঝিয়ে বলো। আমাদেরকেও বলো।
তোমার কাছে আর তোমাদের কাছে আর আমার কাছে আর আমাদের কাছে না থাকলে আবার ইতিহাসের পায়েই মাথা কুটতে হবে, তা জানার জন্য। তা কুটবো। সত্য জানতে হবে।
আমরা জানবো, আর জানাবো।
তা না পারলে সেই অসময়ের অমানুষ, আর পশু, আর..
[চলবে..] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।