আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবি লইয়া ছোটাছুটি

www.facebook.com/hamzathefighter ফুটু দেখিয়া প্রায়শ আমরা অগ্র পশ্চাদ বিবেচেনায় না করিয়া যাবৎতাবৎ ঘটনাবলির রায় দিয়া আপনার হুজুগে বাঙালিপনার পরিচয় জাহির করি। '৯৬ এ শেখ হাসিনার সহিত মতিউর রহমান নিজামীর আলোকচিত্র দিয়া যেমন হাসিনা বুবুকে জামায়াতের সদস্য প্রমাণ করি, তেমনি অতি সম্প্রতি প্রকাশিত আমার দেশ আপিসে সানডে মিরর রিপোর্টার সাইমন রাইটের ফটুক দিয়া রাইট সাহেবকে শিবির সদস্য সাব্যস্ত করি। কত সুন্দর মোদের মগজের কারুকাজ! আপনার সহিত আমার ফটুক দেখিলেই কি প্রমাণ হয় যে, আমি আপনার দোস্ত? রেশমা সম্পর্কিত সানডে মিররের রিপোর্টের পূর্বেই আমার দেশ পত্রিকা রিপোর্ট করে। আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্টটি ছিল অনেক বেশি বিস্তারিত ও চাছাঁছোলা। সেখানে সাক্ষ্যদানকারীদের নাম ও উল্লিখিত ঘটনাবলীর দিন তারিখ স্পষ্টাক্ষরে উল্লেখ করা হয়।

এই রিপোর্টকে যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ বলা চলে। কিন্তু সেখানে উল্লিখিত নামগুলোর ব্যক্তিদের নিরাপত্তার আশঙ্কা বহাল ছিল, বিধায় সাংবাদিকতার নীতি মোতাবেক এগুলোকে এড়াইবার সুযোগ ছিল বটে। এই সুযোগটি লুফিয়া লয় সানডে মিরর। সেথায় নামগুলো উহ্য রাখা হয়। এখানেই পেশাদারিত্বের পরিচয় মেলে।

রেশমা নাটকের আদি হইতেই অনেক প্রশ্ন হাজির হয়। সেই প্রশ্নের সূত্রপাত হয় মিস. অনুভূতি খ্যাত বিখ্যাত সাংবাদিক মুন্নী সাহার রিপোর্টের সূত্র ধরিয়া। তৎক্ষণাৎ অনেকেই ঈশ্বরপ্রেমের আতিশয্যে উনার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করিতে বাদ যায় নাই। তথাপি সময়ের সাথে ডেলিভারিকৃত কথামালার অসঙ্গতির সাথে প্রশ্নমালাও জট আরো পাকাইতে থাকে। স্যোসাল মিডিয়ায় সেই সকল প্রশ্ন হাওয়ায় ভাসিতে থাকে।

পরিশেষে, সেই প্রশ্নাবলী জাতীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উপস্থিত হয়, যখন দেশি পত্রিকা আমার দেশের হাত ঘুরিয়া বিলাতি পত্রিকায় ঠাঁই পায়। পরিশিষ্ট, আমার দেশ পত্রিকা আপিসে রাইট সাহেবের গমন কোনভাবেই প্রমাণ করে না যে, এই রিপোর্ট মনগড়া এবং ষড়যন্ত্রের ফসল। কারণ তথ্যসূত্র খুঁজিতে ওঁর আমার দেশ গমন যথোচিত যৌক্তিক বোধ করাই স্বাভাবিক। বরং রেশমাকে মিডিয়ার আড়ালে রাখিবার সরকারি বাড়াবাড়ি এবং শুরু হইতে শুরু হওয়া অসংলগ্ন কথামালা ঘাঁটিলে স্পষ্টতই স্পষ্ট হয়, ডাল মে কুচ কালা হায়। ইহাকে লইয়া সরকারি মগজধারীরা যতই চুদুর বুদুর করিবে, কালি ততই লেপ্টাইয়া যাইবে।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।