আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাইছি তোরে

আমি একা তুমি একা অথচ দুজন পাশাপাশি মাঝখানে যা তা হলো দাবার দান...... চেক দিও না মন্ত্রি যাবে ভালোবেসো না খেলায় হারবে...... নিজেরে নিয়া টেনশন করতে মজাই লাগে। নিজের প্রতি মায়া বাড়ে। নিজের প্রতি মায়া মানেই দুনিয়ার তাবৎ জিনিষের প্রতি ইন্টারেষ্ট। গত কয়মাস ধইরা নিজের চাল চরিত্র বুঝতে কষ্ট হইতাছে । সুন্দর, মারাত্তক সুন্দর কোন কিছুই সহ্য হয় না, খায়া ফেলতে ইচ্ছা করে।

যেমন সমুদ্রের একটা ঢেউ, মনে ধরছে ; দারুন সৌন্দর্য, ওই ঢেউ আস্তো খায়া ফেলতে মন চায়, আবার পর্বতের চূড়া, দিনের অউলা সূর্যের আলো , ব্যাবাক!! ব্যপার এইটা না ব্যপার হইলো শুধু পদার্থ না অপদার্থও খাইতে ইচ্ছা করে, যেমন সুন্দর একটা কবিতার লাইন, মনে ধরছে এমন একটা জটিল উপন্যাস, ধবধবে হলুদ সাদা মাইয়া চোখে কাজল দিলে যে আগুন জ্বলে সেই আগুন ও খাইতে ইচ্ছা করে। সমস্যায় পড়ি যখন মসলার ব্যাপারটা আসে। বাঙ্গালীর ছাওয়াল একমাত্র ফল মুল ছাড়া দুনিয়ার তাবৎ জিনিস মশলা দিয়া খায়া অভ্যাস। কথা হইলো যখন খাইতে মন চায় একটা মেনু রেডী করতে হয়, মেনুর লগে আবার রন্ধন প্রণালী রাখা লাগে। যেমন ধরেন দিনের পয়লা সূর্যের আলো খাবো অসুবিধা নাই রন্ধন প্রণালী এই রকম।

. ভোর ৫টায় ঘুম ভাঙ্গার পরে হাত মুখ ধুইয়া বাইরে আসা। এর পরে হা কইরা আকাশের দিকে তাকায়া থাকা, পয়লা সূর্যের রঙ কি ডিমের কুসুমাবত!! মশলা যাবে লবন, হালকা কইরা কাটা পেয়াজ কুচি, কাচা মরিচ, থাকলে একটু ধইন্যা পাতা। মেনু শেষ, এইবার রন্ধন প্রণালী, কাম হইলো একটা বড়ো ছুলাই মাঠ বা আহার জোগাড় করা, এইটা হইলো কড়াই । সকালের হাল্কা কুয়াশা এইটা হইলো তেল। আশে আশে যা পাওয়া যায় তা দিয়া পেয়াজ মরিচ আর ধইন্যা পাতার কাম সারা লাগবে, চোখ বন্ধ কইরা কাম সারতে হয় টয়াট, কড়াই গরম হইতেই টু কইরা সূর্যরে আইনা হাল্কা ভাবে ভাজি।

এর পরে কাম কি কাটাচামচ আর ছুরি দিয়া কুচিকুচি কইরা টয়াট গিলা ফেলা, কাম শেষ শান্তির আবেশ। . ২. এইবার কই অশান্তির কথা। সক্কাল সক্কাল বাসে চইড়া পড়ালেখা করতে যাই পথে বাস থামে ফরাসী পোলাপান উঠে। ধবাধবা হলুদ সাদা মাইয়া কাছে আসে গালে গাল লাগায় আশেপাশে বসে আমি ভুইলা যাই সেও ভুইলা যায়, ঘটনা ঘটলো যেইদিন চোখে হাল্কা কইরা কাজল দিয়া আসলো। গালে গাল লাগায় পাশেই বসছে হঠাৎ কইরা খেয়ালে বা বেখেয়ালে তার চোখে চোখ পিড়ছে . চেয়ো না সুনয়না এই আখি পাতে ! নজরুল স্যার যে মাগনা গানটা বানাইয় নাই লগে লগে টের পাইছি।

একবার খালী দিল ভইরা চোখ দুইটা দেখছি লগে লগে কইলজা অর্ধেক উইড়া ছাই। পোড়া কইলজার গন্ধ আসা শুরু করছে ভিতর থাইকা। লগে লগে আরেক জ্বালা এই চোখের যে আগুন, সেইটা কেমনে খাই এই ব্যাপারটার কোন রুপ, রস, গন্ধ নাই । সূর্যের আলোর ব্যাপারটার সাথেও মিল নাই। কোন মশলা যায় না ! রেসিপিও ও হয় না , চুল ছিড়ার দশা, শব্দের লগে শব্দ জোড়া লাগা শুরু হইছে শেষ শব্দ আসছে অরে গর্ধভ এইটা প্রেম।

প্রেম হউক আর যাই হউক আমার হইলো খাওয়া দিয়া কথা, মশলা একটাও যায় না রেসিপিও একটার লগে মিলে না, কেমন জিনিস সামনে আসলো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।