আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ বার্সেলোনা ২ (৪) : ২ (৩) রিয়াল মাদ্রিদ ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ প্রথমার্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ২য় অর্ধে দু্দান্ত ভাবে ফিরে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে ৪৩ মিনিটে পেড্রো আর ৪৫ মিনিটে ড্যানিয়েল আল্ভেসের গোলে এগিয়ে থাকে বার্সা। ন্যু ক্যাম্পে প্রায় ৯৬ হাজার দর্শকের সামনে বুধবার উভয় দলই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। বার্সার গোলরক্ষক হোসে পিন্টো কলোরাডোকে তো রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে। তার নিচু করে মারা প্রচণ্ড ‘ড্রাইভ’ রুখে দিয়ে সেই পরীক্ষায় অবশ্য পাশ করেন পিন্টো।

এর কিছুক্ষণ পরই লিওনেল মেসির বাঁকানো শট বেরিয়ে যায় গোলপোস্ট ঘেঁষে। জমজমাট এই লড়াইয়ের প্রথম দিকে কিছুটা হলেও এগিয়েছিল রিয়ালই। তাই অস্বস্তিতে ছিলেন বার্সার সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের মুখেই প্রথম হাসি ফোটে। ৪৩ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বদলি খেলোয়াড় পেদ্রো।

এই গোলের পেছনে অবদান রয়েছে মেসিরও। বল বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ‘ফুলব্যাক’ দানিয়েল আলভেসের তীব্র ড্রাইভ যখন রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের পাশ দিয়ে জালের উপরের দিকে আঘাত হানে, তখন মনে হচ্ছিল খেলার মীমাংসা হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার নিয়ন্ত্রণও ছিল বার্সার হাতে। বলও ঘুরছিল তাদের পায়ে পায়ে।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পাল্টে যায় খেলার চিত্র। ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে বার্সার ওপর। এর পুরস্কারও পায় তারা হাতে-নাতে। দুই গোল শোধ করার পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এক গোল আদায় করে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই চাপ ঠিকই সামাল দেয় পেপ গার্দিওলার দল। খেলার ৬৮ মিনিটে মেসুত ওজিলের দেয়া বল তীব্র গতিতে দৌড়ে গিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন রোনালদো। এরপরই বল পাঠিয়ে দেন তিনি কাক্সিক্ষত ঠিকানায়। চার মিনিট পর রিয়ালকে খেলায় ফেরান বদলি খেলোয়াড় করিম বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য শক্তি প্রয়োগের প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায় উভয় দলের মধ্যে।

ফাউল করায় বেশ কয়েক জনকে দেখতে হয় হলুদ কার্ড। খেলায় মেসি সহ বার্সার ২ জন হলুদ কার্ড পান, পক্ষান্তরে রিয়াল ১ লাল কার্ড ও ৬ হলুদ কার্ড। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে রিয়ালের ‘সেন্টার ব্যাক’ সার্জিও রামোসকে বেরিয়ে যেতে হয় মাঠ থেকে। ২০০৮ সালে গার্দিওলার দায়িত্ব নেয়ার পর ১৪ খেলার মধ্যে নয়টিতে জিতেছে বার্সা। হার মেনেছে একটিতে, ২০১১ সালের কিংস কাপের ফাইনালে।

অন্য দিকে রিয়াল কোচ হোসে মরিনহো এখনো গার্দিওলাকে থামানোর ফর্মুলা খুঁজে বের করতে পারেননি। যদিও লা লিগায় তার দল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে এগিয়ে আছে পাঁচ পয়েন্ট। দিনের অন্য খেলায় কপাল জোরে মালোর্কাকে ১-০ গোলে হারায় অ্যাথলেটিক বিলবাও। মালোর্কার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রমিস নিজেই নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। আগের ম্যাচে ২-১ গোলে জয়ে ফলে বার্সা কোপা ডেল রে (কিংস কাপ) সেমিফাইনালে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।