আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মব্যাবসায়ীদের প্রশ্নে সাবার আগে পরিস্কার সিদ্ধান্তে আসতে হবে

vagabond only এই দেশের মানুষ ধর্মপ্রান, কিন্তু ধর্মান্ধ না। পুঁজিবাদের স্বভাব অনুযায়ী আর অন্য সব কিছুর মতই ধর্ম একটা আকর্ষনীয় প্রোডাক্টে পরিনত হইছে ব্যাবসায়ীদের কাছে। মুনাফার আকাঙ্খায় নৈতিকতার লেনদেন ঘটছে একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রোডাক্ট ভ্যালু সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। ব্যাংকিং মূলত একটা ইহিদী কনসেপ্ট, লাভজনক ব্যাবসা; সেইটারে মুসলমানী করাইতে পারলে এই দেশে তার বিক্রি বাড়ে- এমন সম্ভাবনা থেকাই ইসলামী ব্যাংকের সৃষ্টি। এখন তো প্রায় সবগুলা ব্যাংকেরই ইসলামী ব্রাঞ্চ চালু হইছে।

যেমন, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড মুদরাবা শাখা। আমি এই নৈতিকতার লেনদেন সমর্থন করি। তেমন, এই দেশে জামাতীরাই একমাত্র পাওয়ারফুল লিবারেল ধর্মভিত্তিক দল। তাদের কর্মকান্ডে নৈতিকতার লেনদেন হাজির আছে। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আইন কানুন মাইনা তারা নিজেদের গঠন্তন্ত্র থেকা আল্লার নাম মুইছা ফেলতেও রাজী হইছে।

মহিলা নেত্রীর সাথে জোট করতেও তারা আপত্তি করে নাই। দেশে লিবারেল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি জারি থাকলে চরমপন্থী ধর্মভিত্তিক দল তেমন পাত্তা পায় না। কারন, মানুষ ধর্মপ্রান, ধর্মান্ধ না। ফলে, হিজবুত তাহরির বা বাংলা ভাইদের যত সহজে নিষিদ্ধ করা গেছে, জামাতরে নিষিদ্ধ করা তত সহজ কাম না। চরমপন্থী জঙ্গি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঠেকাইতে চাইলে এইসব লিবারেল দলগুলারে এনকারেজ করা কর্তব্য।

জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পাওয়ার স্ট্রাকচারও এই নীতিতে চলে। আর, জামাতরে নিষিদ্ধ করা গেলেই তো তারা বিলুপ্ত হবে না, জঙ্গি সংগঠন হিসাবে কর্মকান্ড চালাইতে থাকবে। ফলে, জামাত নিষিদ্ধের লাভ ক্ষতির হিসাব মিলাইতে সরকার বেকায়দায় আছে অনুমান করি। গনজাগরন মঞ্চের বিরোধিতা করতে গিয়া ধর্মরে ব্যাবহার কইরা সফলতা পাইছে বিপক্ষ শক্তি। হেফাজতে ইসলাম তাদেরই তৈরী করা জমায়েত।

এই বিপক্ষ শক্তি জামাতীদের সাপোর্টে চলে টের পাই। তবে, গনজাগরন মঞ্চের বিরুদ্ধে সৃষ্ট কনফিউজ মুসলমানদের সমর্থন আছে এই জমায়েতে। তো, সরকার চাইলে সহজেই এই জমায়েতরে পলিটিক্যাল পাওয়ার হিসাবে এনকারেজ করতে পারে। তাতে জামাতরে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে ক্ষতির পরিমান কমে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া গেলে বাকী জামাতীরা এই জমায়েতে যোগ দিয়া তাদের ধর্মব্যাবসা নিশ্চিন্তে চালাইতে পারে।

এই দেশে রাজনীতি করতে গেলে ধর্মব্যাবসায়ীদের প্রশ্নে সাবার আগে পরিস্কার সিদ্ধান্তে আসতে হবে, তাদেরকে স্পেস দিতে হবে- এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। বুলেটে গরু আর শুকরের চর্বি লাগানোর থিওরীতে বিশ্বাস রাইখা যেই সিপাহী বিপ্লবের সূত্রপাত, বাঙ্গালীর সেই ইতিহাস মাথায় রাইখাই যে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।