আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুটপাট ও আগুন লাগায় সাঈদী এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী-১৪তম সাক্ষী

৯৭১ সালে সাঈদীকে নিজ বাড়ীতে লুটপাট ও আগুন লাগাতে দেখেন আবদুল হালিম বাবুল। তিনি সাঈদীর মানবতা বিরোধী মামলার রাষ্ট্র পক্ষের ১৪ তম সাক্ষী। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০ টা বেজে ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষী আবদুল হালিম বাবুল, বয়স ৫৫। পেশা গ্রাম্য চিকিৎসক।

১৯৭১ সালে তিনি পিরোজপুর জেলার পাড়ের হাট ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে ছিলেন। নিজের বাড়ী লুটতে ও আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনা তিনি সংক্ষিপ্ত আকারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। বাড়ির বাইরে রাস্তার ওপর দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় তিনি কিছু মানুষের হইচই শুনতে পান। পরে তিনি জানেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও কিছু রাজাকার তার বাড়ির দিকে আসছে।

রাজাকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নাম শুনলেই তখন লোকজন আতংকিত হতো। আমরাও আতংকিত হই। আমি বাড়ির সকল লোকজনকে পালিয়ে যেতে বলি । বাড়ির লোকজনের সাথে আমি নিজেও আত্মগোপন করি। দূরে থেকে দাড়িয়ে আমি দেখতে পাই দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, দানেশ মোল্লা, মোসলেম মওলানা সহ কয়েকজন রাজাকার ও তাদের সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আমার বাড়ির দিকে আসছে।

তারা আমার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। আমার ঘরের মালামাল লুট করে ও আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা শংকর পাশা ইউনিয়নের খসরু মিয়া ও আমির খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে হিন্দু পাড়ায়( উমেদপুর গ্রামে) যায়। সেখানে গিয়ে তারা হিন্দুদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো বলে লোকমুখে শুনি। জেরায় তিনি নিজেকে কোনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেননি।

শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী কবে কোন সময় গঠিত হয়েছিলো প্রশ্ন করলে তিনি জানেন না বলে উত্তর দেন। এর আগে কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছিলেন কিনা প্রশ্ন করলে উত্তরে তিনি বলেন, আমি পূর্বে এ ধরনের কোনো জবানবন্দি দেয়নি। খবরে সূত্র এই লিংকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.