আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাঙনের পথে তিন্নি-হিল্লোলের সংসার!

মেহরিন সাদিয়া সুমি তিন্নি-হিল্লোলের বিয়েটা ছিল প্রেমের। ২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন তাঁরা। সে সময় এঁদের দুজনের বিয়ের বিষয়টা মিডিয়াতে বেশ আলোচিতও ছিল। বিয়ের পর অবশ্য সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল। দুজনের সংসার জীবনের শুরুতে প্রত্যাশা পূরণও হয়।

বছর ঘুরতেই তিন্নি-হিল্লোলের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান ওয়ারিশা। কিন্তু ২০০৯ সালে শেষ দিকে এসে এই তারকা দম্পতির সংসারে অশান্তি ভর করে। তখন থেকে প্রায়ই তিন্নি-হিল্লোলের সম্পর্কের ওপর বইতে থাকে ছোটখাটো ঝড়। এই ঝড় এখন বড় আকার ধারণ করেছে বলেই জানিয়েছেন তিন্নির স্বামী অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল। এখন থেকে তাঁরা দুজন পুরোপুরি আলাদা থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজ ১৬ জানুয়াির সোমবার সকালে হিল্লোলের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে প্রথম আলো অনলাইনকে দুজনের আলাদা থাকার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করেছেন তিনি। হিল্লোল বলেন, ‘আমি ও তিন্নি কয়েক বছর ধরেই আলাদা থাকছি। এটা সবাই কমবেশি জানেন। তবে এবার আমাদের দুজনের সম্পর্কের পুরো ইতি টানার পরিকল্পনাও করেছি। গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে তিন্নি বরাবর তালাকনামাও পাঠিয়ে দিয়েছি আমি।

তবে এখন পর্যন্ত তিন্নির কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাইনি। ’ হিল্লোল এও বলেন, ‘আমি এখন পুরোপুরি অভিনয় ও ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। তিন্নিকে নিয়ে অতীতের কোনো কিছু ভাবতে রাজি নই। কারণ, এখন থেকে তিন্নির সাথে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে মেয়ে ওয়ারিশাকে নিয়ে এখনো কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত আসেনি।

সে চাইলে দু-জায়গাই থাকতে পারবে। ’ ইদানীং আপনার (হিল্লোল) সঙ্গে ছোটপর্দার আরেক মডেল ও অভিনেত্রী নওশীনের প্রেমের সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছে। তাহলে কি নওশীনের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্য কি তিন্নিকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হিল্লোল বলেন, ‘আসলে সে রকম কিছু না। তা ছাড়া নওশীনকে নিয়ে আপাতত কোনো কিছুই বলতে চাচ্ছি না। তবে এটা ঠিক যে আমরা দুজনেই খুব ভালো বন্ধু।

’ তালাকনামার ব্যাপারটি নিয়ে তিন্নির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনোভাবেই তাঁর মুঠোফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে দুজনেই সংসারের নানা চড়াই-উতরাই নিয়ে একাধিক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ‘প্রতিটি সংসারেই সমস্যা থাকে। কিন্তু যেখানেই সমস্যা সেখানেই থাকে সমাধান। আমরা আমাদের মধ্যকার সমস্যা সমাধান করেছি। ’  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।