আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সিরিজ বাই সিরিজ ক্যাপ্টেন্সি খুবই চ্যালেঞ্জিং’

নতুন করে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মাস ছয়েকের জন্য। তবে মুশফিকুর রহিম মনে করেন, দায়িত্ব দিলে দীর্ঘ মেয়াদেই দেওয়া উচিত। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের নির্বাচিত অংশ

 নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পেলেন। ভালো লাগছে নিশ্চয়ই?
মুশফিকুর রহিম: বোর্ডকে ধন্যবাদ, আমার ওপর আস্থা রেখেছে। আমার অধিনায়কত্বের মেয়াদে শেষ যে কয়টা সিরিজ ছিল, চেষ্টা করেছি কমিটমেন্ট অনুযায়ী কাজ করতে।

ভবিষ্যতেও একই চেষ্টা করব।
 প্রথমবার পাওয়া দায়িত্বের চেয়ে কি এখন চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকবে?
মুশফিক: শুধু তো একটা সিরিজ, খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না। চেষ্টা করব, দলের ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। জিম্বাবুয়েতে আমরা যে রকম চেয়েছি, ফলাফল সে রকম হয়নি। তবে খেলোয়াড়েরা অনেক কষ্ট করছে এক মাস ধরে।

যেহেতু এটা হোম সিরিজ, আর হোমে গত এক বছর আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ভালো কিছুর প্রত্যাশা তো আছেই।
একটা সিরিজের জন্য দায়িত্ব পেলেও অধিনায়কের চিন্তাভাবনা তো অনেক বড় পরিসরে থাকতে হয়...
মুশফিক: বড় পরিসরে তো বোর্ডই ভাবছে না। অতএব আমি ভাবি আর না-ভাবি তেমন কিছু যায় আসে না। এই পাঁচ মাসে তো একটা সিরিজই আছে।
 বোর্ড বলছে, আপনার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির কথা হয়েছে।

আপনি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে রাজি আছেন। সে আলোচনায় সময়ের ব্যাপারটা আসেনি?
মুশফিক: সময়ের ব্যাপারটা কখনোই আসেনি। ও রকম করেও বলা হয়নি। সভাপতি এলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।
 নিজে ভালো ক্রিকেট খেলছেন, নেতৃত্বও দিচ্ছেন ভালো।

লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্ব পাওয়ার আশা করেছিলেন?
মুশফিক: এখন আমার চিন্তা শুধু নিউজিল্যান্ড সিরিজ নিয়ে। এতটুকু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।
 কোচের মেয়াদ বাড়ছে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, অধিনায়কত্বের দায়িত্বটাও দীর্ঘ মেয়াদে হলেই কি ভালো হতো না?
মুশফিক: আমার মনে হয়, বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সিরিজ ধরে ধরে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়। আপনি যদি নিজেই না জানেন, কয়টা সিরিজ অধিনায়কত্ব করবেন বা কয়টা সিরিজে দায়িত্বে থাকবেন, তাহলে ওভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা কঠিন। সিরিজ বাই সিরিজ ক্যাপ্টেন্সি খুবই চ্যালেঞ্জিং।

এটা শুধু আমার জন্য নয়, আমার পর যে অধিনায়ক হবে তার জন্যও। আর কোচের মেয়াদ ২০১৫ পর্যন্ত করা হয়েছে। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এটা দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কোচ এখন একটি লক্ষ্য ঠিক করে কাজ করতে পারবেন।

আর অধিনায়কের ক্ষেত্রে আশা করব, সামনে যাকেই অধিনায়ক করা হোক না কেন তাকে যেন দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অধিনায়ক যেন লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে পারে।
 সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে পর্যন্ত দায়িত্ব পেতে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন?
মুশফিক: আমি তো কখনো এ ধরনের প্রস্তাব দিতে পারি না। ওনারা যদি ভাবেন, আমি যোগ্য, তাহলে হয়তো প্রস্তাব দেবেন।

তারপর আমি তা করব কিনা সেটা পরের কথা। কিন্তু আমি চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালোর জন্যই অধিনায়কত্বটা যেন দীর্ঘ পরিসরে দেওয়া হয়। অদূর ভবিষ্যতে সেটা হবে আশা করি।
 জিম্বাবুয়েতে হঠা ৎ করেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে বলেছেন সিদ্ধান্তটা ছিল আবেগতাড়িত।

জাতীয় দলের অধিনায়কের কি আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক?
মুশফিক: আমরা পুরো জাতিই আবেগপ্রবণ। আবেগ দিয়েই আমরা সবকিছু অর্জন করতে পারি। তবে এটাও ঠিক, কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। সেটা আমিও করেছিলাম। ওই সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল এবং সেটা পরে বুঝতে পেরেছি।


 ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলুন, মাঠের বাইরে একজন অধিনায়কের ভূমিকাটা আসলে কেমন হওয়া উচিত?
মুশফিক: আমার মনে হয়, ক্রিকেটই একমাত্র খেলা যেখানে মাঠের বাইরেও সবার একটা ভূমিকা থাকে। অফ দ্য ফিল্ড আচরণগুলো মাঠের খেলায় প্রতিফলন ঘটায়। সেভাবেই আমরা উজ্জীবিত থাকি। অনেক মানুষ আমাদের জন্য দোয়া করে। তাই সবারই (খেলোয়াড়দের) উচিত দেশের প্রতি কমিটেড থাকা।


 সর্বশেষ হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই করেছিলেন। একটু বাড়তি সুবিধা কি থাকবে এবার?
মুশফিক: আমার মনে হয়, নিউজিল্যান্ড দল অনেকটা আমাদের মতোই উত্থান-পতনের মধ্যে থাকে। তবে তারা দল হিসেবে ভয়ংকর। শেষবার আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম বলেই ওরা হেরেছিল। এবারও ভালো ক্রিকেট খেলার কোনো বিকল্প নেই।


 প্রিমিয়ার লিগের দলবদল তো শেষ পর্যন্ত আপনাদের ইচ্ছা অনুযায়ী হচ্ছে না। গ্রেডিং, রোটেশনের ব্যাপার থাকছেই...
মুশফিক: বোর্ড আমাদের নিশ্চিত করেছে, এটা শুধু এই বছরের জন্যই হবে। আমরা খেলোয়াড়েরাও এই বছরের জন্য এটা মেনে নিয়েছি। অন্তত খেলাটা যেন হয় এবং সব খেলোয়াড় যাতে খেলতে পারে। পরের বছর থেকে আগে যেভাবে হয়েছে, সবকিছু যেন সেভাবে হয়।


 ফিক্সিং নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে। ড্রেসিংরুমে সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক রাখাটাও কি এখন অধিনায়কের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে?
মুশফিক: জাতীয় দলে কেউ অনূর্ধ্ব-১৩ বা অনূর্ধ্ব-১৪ নয় যে, তাদের এতবার করে সতর্ক করতে হবে। যখন চিন্তা করবেন আপনি দেশের হয়ে খেলছেন, আপনার সঙ্গে আপনার মা-বাবার দোয়া আছে...যদি পরিবারের কথা মনে রাখেন, আমার মনে হয় কখনোই এ রকম চিন্তা মাথায় আসার কথা না। আলাদা করে সবাইকে সচেতন করার কিছু নেই। তবে দল হিসেবে আমরা সবাইকে সব সময়ই এটা মনে করিয়ে দিই...বলি, এগুলো থেকে যেন আমরা দূরে থাকি।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.