আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে নাটকের নায়ক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে । এবার প্রশিক্ষনের পালা । রেকডিং কবে হবে কে জানে?????

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় জামিন আবেদন খারিজ করে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার সকালে শুনানির পর নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। সাবেক এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর জন্য ১৫ ফেব্র“য়ারি দিন রেখেছে আদালত। আদেশের পর দুপুর ১২টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে গোলাম আযমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বুধবার সকাল ১০টার পর কয়েকজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন গোলাম আযম।

তাকে ভেতরে নেওয়া হয় হুইল চেয়ারে বসিয়ে। সাড়ে ১০টায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পরপরই তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। বার্ধক্য ও স্বাস্থ্যগত জটিলতার কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার এই আবেদন জমা দেন গোলাম আযম। তার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক শুনানির শুরুতেই বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযামের বয়স প্রায় ৯০। তার স্বাস্থ্যের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়।

এর আগে একই অভিযোগের মামলায় ট্রাইব্যুনাল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীমকেও জামিন দিয়েছে। সুতরাং গোলাম আযমও তা পেতে পারেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করে গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠাতে বলেন। আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে তার মক্কেলের জন্য ডিভিশন চাইলে তাও খারিজ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, ১৫ ফেব্র“য়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য প্রসিকিউশনকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব নথিপত্র ও সাক্ষীদের নামের তালিকা জমা দিতে হবে। আর আসামিপক্ষ আগামী রোববারের মধ্যে এসব নথি সংগ্রহ করবে। এদিকে গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন সকাল থেকেই প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে সমবেত হয় ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণের বাইরে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি হাইকোর্টের সামনে থেকে ট্রাইব্যুনালের ফটক পর্যন্ত রাস্তায় সকাল ১০টা থেকে মানববন্ধন করে। এছাড়া সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদও আলাদাভাবে মানববন্ধন করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি জানায়।

গোলাম আজমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল চলতে থাকে ট্রাইব্যুনালের বাইরে। ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকালেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হাইকোর্টের ১ নম্বর ফটক ও মাজার গেটে দিয়ে বন্ধ রাখা হয় সাধারণের চলাচল। আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “তার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। তবে গ্রেপ্তারই যথেষ্ট নয়।

বিচার যতো দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে। ” গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ৫২ দফা অভিযোগ উত্থাপন করে গোলাম আযমকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তা পুনর্বিন্যস্ত করে ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার তীব্র বিরোধিতাকারী গোলাম আযম ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠনে নেতৃত্ব দেন, যাদের সহযোগিতা নিয়ে পাকিস্তানি সেনারা বাংলাদেশে ব্যাপক হত্যা ও নির্যাতন চালায়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আযম সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও প্রকাশ্যে তদবির চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

১৯৭১ থেকে ৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করার পর ১৯৭৮ এ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে আবার বাংলাদেশে আসেন এই জামায়াত নেতা। ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। গোলাম আযম ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।