আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজদের যে সমস্ত আগ্রাসনে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

সুদীর্ঘ সাতাইশ বছর উপমহাদেশ শ্বাসন করার পর মুসলিম নেতৃবৃন্দ যখন নিজেদের মধ্যে আত্বকলহ আর বিলাসিতায় লিপ্ত হয় তখন সুযোগ বুঝে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং মুসলমানদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়্। যেহেতু মুসলমানদেরকেই তারা প্রতিপক্ষ মনে করত তাই মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের এমন কোন হীন পন্থা বাকি রাখেনি যা তারা অবলম্বন করেনি । ইংরেজ কর্তৃক মুসলমানদের উপর আগ্রাসন এবং নির্জাতনের দিকগুল চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ> ১) রাজনৈতিক আগ্রাসন ও নিপিড়ন্। ২) অর্থনৈতিক আগ্রাসন্। ৩)ধর্মিয় ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন্।

৪)পারস্পারিক কলহ সৃষ্টি ও হক পন্থীদের অবদমিত করার বিভিন্ন কৌশল্। উপরিউক্ত কারণে মুসলমানগন অপূরনিয় ক্ষতির সম্মুখিন হয়্। ১৮৫৭ সালের স্বাধিনতা যুদ্ধে দুইলাখ মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন্। তার মধ্যে ওলামায়ে কেরামের সংখ্যা ছিল ৫১৫০০। ইংরেজরা ওলামাদের উপর এতই ক্ষেপা কুকুরের মত ছিল যে কোন দাড়িওয়ালা টুপিওলা, লম্বা জামাওয়ালা দেখলেই তার পেছনে লেগে যেত তার পর জেল যুলুম এবং পরবর্তিতে ফাঁসী।

এডয়ার্ড টমাস বলে শুধু দিল্লীতেই ৫০০ আলিম কে ফাঁশি দেয়া হয়েছিল । রেশমী রুমাল আন্দোলন্, বৃটিশ খেদা আন্দোলন্, খিলাফত আন্দোলন্, অসহযোগ আন্দোলনে ইংরেজরা আতঙ্কিত ছিল। যারা এই সমস্ত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের কে হেউ করার যন্য ইংরেজদের এক দালাল বাহিনি ছিল যারা আন্দোললনকারীদের কখনো ওহাবী কখনো কাফের বলে ফতোয়াবাজিতে লিপ্তছিল্। হযরত শাইখুল হিন্দ , হোসাইন আহমদ মদানী, মাঃ ওজাএয়ের গুল্, মাঃ হাকিম নুসরাত হুসাইন্, মাঃ ওয়াহিদ প্রমুখ কে সাড়ে তিন বছর মাল্টায় বন্দী রাখা হয়্। এছাড়া ওনেক ওলামাকে আন্দামানে, সাইপ্রাসে নির্বাসন দেয়া হয়্।

সেই নির্বাসিত জীবনের হৃদয় বিদারক করুন কাহিনী সে তো এক দীর্ঘ ইতিহাস্। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে উপমহাদেশ স্বাধিন হল > ইন্ডিয়া থেকে পাকিস্তান >পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ । আজ যদি ওলামাদের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করি তাহলে তাদের উপর ইংরেজদের সেই আগ্রাসনই পরিলক্ষিত হয়্। কেউ তাদের টুপি দাড়ি নিয়ে উপহাস করতে ব্যাস্ত, কেউ মামলা ঠুকে দিতে ব্যাস্ত, কেউ জংগী বানানোর চেষ্টায় ব্যাস্ত, কেউ (চট্টগ্রামে) ওহাবী ওহাবী কাফের জিকির করতে ব্যাস্ত। তবে বিজয় সন্নিকটে।

শুধু চাই ঐক্য। | ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.