আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কতদিন মার খাবেন!?

আমার চাতক চোখে তুমি হবে দূরের আকাশ... কাজে ব্যস্ত থাকার সুবাদে অনেকদিন অনলাইন হওয়ার ফুরসত জোটেনি। আজ সকালে স্যামু খুলেই স্টিকি করা পোষ্টের উপর চোখ আটকে গেল। লেখক এমনভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন যে, মনে হচ্ছে ঘটনাটি লাইভ ঘটছে। বাকরুদ্ধ হয়ে গেলা ছাত্রলীগের পোষা কুকুরগুরোর নৃশংসতার বিবরণ পড়ে। আর তাই দু’টো কথা না লিখে পারলাম না।

আপনি মুক্তিযুদ্ধের উদাহরণ টেনেছেন যথাযথই। কিন্তু একটা কথা বলতে ভুলে গেছেন যে, এই অত্যাচারিত মুক্তিযোদ্ধারাই একদিন কিন্তু রুখে দাড়িয়েছিলেন। তারা খালী হাতে হানাদার বাহিনী'র বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। আপনারা ছাত্র, আপনারা দেশের সর্বোচ্চ শক্তি। আপনারাই যদি দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেন এবং নিজেদেরকে শুধুমাত্র সমালোচনার মাঝে লুকিয়ে রাখেন তবে দেশের অন্যান্য মানুষের নিকট পরিবর্তনের লক্ষ্যে পদক্ষেপের আশা করা বৃথা।

আপনার জাগলে দেশ জাগবে। আর আপনারা সমালোচনা করলে দেশও সমালোচনা করবে। আর আপনারা যদি মার খেয়ে বসে থাকেন তবে দেশও তাই হবে। তাই যদি দেশের কোন উপকার করতে চান তবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। এদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হোন এবং অসহায় ও নির্যাতিতের পাশে দাড়ান।

ছাত্র সংঘ গঠন করার আহবান জানান প্রতিটি ভার্সিটিতে। যাতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও শিবিরের কুকুরেরা নিজেদের ক্ষমতার সময় আপনাদের মত নিরীহ ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে আপনাদের দেশসেবার ব্রত হতে দূরে সরিয়ে না দিতে পারে। আর কতদিন মার খাবেন? প্রত্যেক সরকারের আমলেই তো আপনারা নিস্পেষিত। একটা কিছু করুন, যেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। যার বদৌলতে আগামী প্রজন্ম কোন রকম হুমকি-ধামকি, ভয়-ত্রাস ছাড়াই শিক্ষাঙ্গনে উপস্থিত হবে এবং দেশ সেবার মহান লক্ষ্যে পড়াশুনা করবে।

জোট বাধুন, যদি বাইরের কেউ এসে আপনাদের উপর আক্রমন করতে চায় তবে সাধারণ ছাত্ররা একজোটে তাদেরকে এমনভাবে পেটাবেন যাতে অন্যান্য শিক্ষাঙ্গনে আগ্রাসী ছাত্রদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ হয়তবা বলবেন, মারের শোধ মারে! আমি বলবো অত্যাচারীকে কখনই ভাল মুখে তার অত্যাচার হতে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। তাই তারা একটা ইট মারলে আপনারা দু’টো মারুন। আপনাদের পড়াশুনার ক্ষতি করতে চাইলে তাদেরকে বয়কট করুন। আল্লাহ সকল অত্যাচারীকে ধ্বংস করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।