আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক পালিয়ে গেছেন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে

ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রেহানা পারভীন। চারদিকে গুম, গুপ্ত হত্যার মধ্যে গত ২৯শে ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ অবস্থায় তার স্বামী গোলাম কিবরিয়া দুলাল শাহবাগ থানায় ডায়েরি করেন। এ অবস্থায় গতকাল দুলালকে ডিভোর্স দেন রেহানা। এর পরই নিখোঁজ রহস্যের অবসান ঘটে।

এরপর রেহানার বিরুদ্ধে প্রেম, পরকীয়ার অভিযোগ আনেন দুলাল। বলেন, ৩ সন্তানের জননী রেহানা পালিয়ে গেছেন এক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে। নতুন সঙ্গীর বাহুবন্দি হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলেও জানান দুলাল। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় আমাদের। কিন্তু বিয়ের এক বছর না যেতেই রেহানা তার পুরনো বন্ধু আহমদ আলীর সঙ্গে পালিয়ে যায়।

কিছুদিন পর সে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসে। কিন্তু তার চরিত্র ভাল করা যায়নি। দুলাল বলেন, আমার অজ্ঞাতে সে একাধিক পুরুষকে বাসায় নিয়ে আসতো। এ কথা অনেকেই আমাকে বলেছে। কিন্তু অন্যের কথায় কান দিইনি।

ভেবেছি সব গুজব। দল করতো বলে বেশি কিছু বলতাম না। দুলাল বলেন, ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে সে একদিনের জন্যও রান্নাঘরে যায়নি। অথচ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর পুরুষের সঙ্গে ফোন করেছে। আড়ি পেতে অনেকবারই শুনেছি।

কিন্তু সংসার, সন্তানদের কথা ভেবে সব সহ্য করেছি। দুলালের বড় বোন সরকারি কর্মচারী। তিনি বলেন, রেহানার চরিত্র ভাল ছিল না। কিন্তু দুলাল তাকে যারপরনাই ভালবাসতো। এ দুর্বলতার সুযোগে দুলালকে সে আঙুলের ডগায় রাখতো।

বিভিন্ন সময় ছেলেদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা লক্ষ্য করা যেতো। তিনি বলেন- আর যাই হোক, ৩টা সন্তান জন্ম দেয়ার পর সংসার ভাঙাটা তার ঠিক হয়নি। দুলাল অভিযোগ করেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে রেহানা কয়েক লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও জমির মূল্যবান কিছু কাগজপত্র নিয়ে গেছে। ২৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ থাকার পর গতকাল আমার ফুফাতো ভাই মিন্টু তাকে বনানীতে দেখেছে। সে প্রাইভেটকারে পুরনো প্রেমিক এক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে কোথাও যাচ্ছিল।

তবে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম বলতে চাননি দুলাল। বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট খুব প্রভাবশালী। আমার মেয়েদের ক্ষতি করতে পারে। গতকাল দুলালের বাসায় গেলে দেখা যায়, তাদের ছোট মেয়ে অর্পিতা কেবলই কাঁদছে। ছেলে অম্লান বারবারই মায়ের কথা বলে কাঁদছে।

দুলালের গাড়িচালক শাহীন বলেন, ২৯শে ডিসেম্বর সকালে সড়ক ভবন স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে ম্যাডামকে (রেহানা) নিয়ে নিউ মার্কেটে যাই। কিছু কেনাকাটা করে কাওরানবাজারে যেতে বলেন ম্যাডাম। পরে কাওরানবাজারের সামনে তিনি নেমে গিয়ে আমাকে চলে যেতে বলেন। এরপর তিনি কোথায় গেছেন আমার জানা নেই। Daily Manab Zamin ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।