আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিউবার খেলাধুলা ও আমাদের কোটি টাকার প্লেয়ার সাকিব-আশরাফুল গং

মেন্টাল উন্ডস নট হিলিং লাইফ'স আ বিটার শেইম আই এম গোইং অফ দ্যা রেইলস অন আ ক্রেজি ট্রেইন !! হাভানার বেশ নামী এক ক্রিকেট দলের কোচের সাথে আলাপচারিতার সৌভাগ্য হয়েছিল, জেনেছিলাম কিউবায় ক্রীড়াকে পেশা হিসেবে নিয়ে অর্থ উপার্জনের কোন সুযোগ নেই। যে যে ভাবেই নিন আমি এটা প্রচণ্ড ভাবে সমর্থন করি ( যদিও অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে, বহু দিনের সঞ্চয় উড়িয়ে দু-দুবার ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া আমার মুখ এই কথা হয়ত মানায় না, কিন্তু নিজে করলেই যে ঠিক এমন কথা কে বলেছে! ) একটু ভেবে দেখুন- সমাজের কি উপকারটা করে যে কোন ক্রীড়াবিদরা ! ক্রীড়াবিদ মানেই বিনোদনদানকারী, যার কসরত বা সামর্থ্য দেখে উল্লসিত হবে দর্শকরা। নোবেল বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার সাহিত্যিক নাদিন গার্ডিমার যেমন বলেছিলেন স্বদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপ নিয়ে- ফুটবল বিশ্বকাপ খুব ভাল সার্কাস, এর প্রয়োজন আছে কিন্তু সমাজের কি কাজে আসে এত ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান বা স্টেডিয়ামগুলো! বন্ধুরা, একটু চিন্তা করে দেখুন, ক্রীড়াবিদরা সমাজের অতি প্রয়োজনীয় না বলেই হয়ত ইতিহাস তাদের মনে রাখে না, যেমন প্রাচীন অলিম্পিকে নিশ্চয়ই অনেক নামকরা, চতুর্দিকে সন্মান ছড়ানো ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তাদের কারো নাম কি আমরা জানি! জানি না, কিন্তু আমরা মনে রেখেছি হোমার নামের এক অন্ধ ভিখারিকে, ইশপ নামের এক ক্রীতদাসকে। আজকের পৃথিবীতেই যারা ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, সাঁতার, টেনিস- অসংখ্য খেলা দিয়ে বিশ্ব মাতিয়ে রাখছেন, তারা কি মাত্র কয়েক বছরের মাঝে বিস্মৃতির দেয়ালে চাপা পড়ে যান না! তারা কি দিয়ে যান আমাদের সমাজকে, মানব সভ্যতাকে! একজনে লিওনেল মেসি বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো না থাকলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যেত আমজনতার নাকি ক্ষতি হত এই খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন বিলিয়ন ডলারের জুয়ার আয়োজন করা মাফিয়া চক্রের! বাংলাদেশের মত দেশে কোন হিসেবে একজন আশরাফুল বা সাকিব আল হাসান কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করে কেবল মানুষদের কয়েক মুহূর্তের বিনোদন দিয়ে, আমরা কি আসলেই বিনোদন পাচ্ছি, না এটি আমাদের উপরে একটি মহলের চাপিয়ে দেয়া ব্যবস্থা যারা ধোঁয়া তুলে Eat Criket, Drink Criket নামে! কিউবান সরকারের এই ব্যাপারে দর্শন অত্যন্ত স্বচ্ছ, ক্রীড়াকে ক্রীড়া হিসেবেই নাও। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যাও দেশের প্রতিনিধি হিসেবে, সন্মান কুড়িয়ে নেও পারলে জয়ী হিসেবে, কিন্তু তুমি সমাজের একটি অংশমাত্র, বিজয়ী হলেই ধরা কে সরা জ্ঞান কর না! কিন্তু তাদের উৎসাহতো ঠিকই আছে দক্ষ ক্রীড়াবিদ গড়ার ক্ষেত্রে- বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা মুস্টিযোদ্ধা, তিন তিন বার অলিম্পিকে সোনা জয়ী ফেলিক্স সাভোন এই দ্বীপদেশেরই নাগরিক, তাদের ভলিবল দলের লড়াকু মনোভাবের জন্য সমর্থনের অভাব হয় না কখনোই, সবচেয়ে বড় কথা কোন বহুজাতিক কোম্পানির অর্থায়ন ছাড়াই এক লক্ষের উপরে নিয়মিত ক্রীড়াবিদ রয়েছে কিউবার, কেবলমাত্র বিনোদনের টানে, খেলার আকর্ষণের টানে। তারেক অনুর ব্লগ থেকে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।