আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ

পোকামাকড় বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ মানে এই সৌরজগতের বাইরের গ্রহ । এ পর্যন্ত মোট ৭১৬ টি বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ আবিষ্কার করা হয়েছে । আমাদের গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০ বিলিওন গ্রহ রয়েছে । এর মধ্যে অর্ধেক গ্রহেরই সূর্যের ভরই আমাদের সুর্যের ভর অপেক্ষা কম । প্রথম বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ আবিষ্কার হয় ১৯৯২ সালে ।

সেটার তারা একটি পালসার এবং সে পালসারের নাম PSR B1257+12 । এই পালসারের চারদিকে কিছু পৃথিবীর ভরের কাছাকাছি গ্রহ প্রদক্ষিণ করে । বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ সরাসরি সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করা খুব কষ্টের । কারণ সে তারার অনেক আলোর মধ্যে ছোট গ্রহ প্রায় পাওয়াই যায় না । তারপরেও ছোট অনুজ্জল তারার সাথে যদি ভারী গ্রহ থাকে তাহলে সে গ্রহ ধরা পড়ে ।

মাঝারি তারার সাথে কোন গ্রহ থাকলে সে তারার আলো বন্ধ করে তারপর গ্রহ পাওয়া যায় । এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ অনুসন্ধান করে থাকে । এরমধ্যে সরাসরি সাধারণ আলোর টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহ ধরা পড়ে খুব কম । এ পর্যন্ত পাওয়া বেশীরভাগ বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহের ভরই বৃহস্পতির ভরের ওপরে । এর জন্য এসব গ্রহে প্রাণের অস্তিত্যের সম্ভবনা নাই ।

কিন্তু Gliese 581 d, HD 85512 b এবং ৬০০ আলোকবর্ষ দুরের Kepler-22b গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী । ২০ ডিসেম্বর ২০১১ কেপ্লার টেলিস্কোপের সাহায্যে কেপ্লার ২২বি নামের গ্রহটির ভর সর্বচ্চো হতে পারে ৩টি পৃথিবীর ভরের সমান এবং তাদের সূর্যের জাত আমাদের সূর্যের জাতের খুব কাছাকাছি । এই গ্রহটি তাদের হেবিট্যাবল জোনে মধ্যস্থানে আছে । খুব বেশী গ্রীনহাউজ ইফেক্ট না থাকলে তাপমাত্রা পৃথিবীর তাপমাত্রার কাছাকাছি হবে । সাধারণত খুব ভারী তারার সাথে গ্রহ থাকে না ।

তারমধ্যে M জাতের ছোট তারায় গ্রহ সবচেয়ে বেশী থাকে । পালসারের চারদিকে যদি পৃথিবীর সমান ভরের গ্রহ ঘুরে এবং সে গ্রহের তাপমাত্রাও যদি পৃথিবীর পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার সমান হয় তাহলেও সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না । পালসারের আশেপাশে যদি কোন তারা থাকে এবং সেই তারারও যদি গ্রহ থাকে তাহলেও সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না । কারণ পালসার হলো অনেক ভারী তারার খুব ঘনীভুত কেন্দ্র । এর চম্বকক্ষেত্র খুব শক্তিশালী এবং এই পালসার অনেক পরিমাণ গামা-রে এবং এক্স-রে ছড়ায় ।

গামা-রে এবং এক্স-রে অতি বেগুনী রশ্মির চেয়েও অনেক শক্তিশালী । এর জন্য পালসারের আশেপাশের গ্রহে প্রাণ থাকার কোন সম্ভবনাই নাই । গ্রহও বিভিন্ন রকম আছে । এর মধ্যে : পালসার প্ল্যানেট,সুপার আর্থ,হট নেপচুন,হট জুপিটার,ইসেন্ট্রিক জুপিটার,গ্যাস জ্যায়ন্ট,গোল্ডিলক প্ল্যানেট, টেরেস্ট্রিয়াল প্ল্যানেট,থোউনিয়ান প্ল্যানেট,ওশান প্ল্যানেট,কারবন প্ল্যানেট,আয়রন প্ল্যানেট,হিলিয়াম প্ল্যানেট,কোরলেস প্ল্যানেট,ইন্টারস্টেলার প্ল্যানেট,এক্সট্রাগ্যালাক্টিক প্ল্যানেট । এর মধ্যে সুপার আর্থ,কম ভরের টেরেস্ট্রিয়াল প্ল্যানেট যদি তাদের সূর্যের হেবিট্যাবল জনের মধ্যে থাকে তহলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা থাকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.