আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এভাবেই এদেশে সংখ্যালঘুর সহায়-সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। নীরবে নিভৃতে কাঁদা ও পালিয়ে যাওয়া ছাড়া এদের কি কিছুই করার নেই ?

Prothom Alo ঢাকা, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১২, ১৯ পৌষ ১৪১৮, ৭ সফর ১৪৩৩ কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধের জের বিরামপুরে আদিবাসী ২০ পরিবারের পুরুষ গ্রামছাড়া দিনাজপুর অফিস | তারিখ: ০২-০১-২০১২ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হামলা এবং হুমকির কারণে দিনাজপুরের বিরামাপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ২০টি আদিবাসী পরিবারের পুরুষেরা গ্রাম ছেড়েছে। তারা বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছে বিরামপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মিশনে। গ্রামবাসী জানান, ২০টি আদিবাসী পরিবার ছাড়াও গঙ্গাদাসপুর গ্রামে অনেক হিন্দু ও মুসলমান পরিবারের বাস। গ্রামের ইদ্রিস আলী ও তাঁর ভাই আবদুর রশিদ বলেন, ‘জমিদার কৃষ্ণলাল ঘোষের প্রদত্ত পত্তনমূলে গঙ্গাদাসপুর মৌজার ২০১ নম্বর দাগের ৩২ শতক জমির মালিক আমরা। এই জমি আদিবাসীরা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করছে।

’ গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ হাসদা বলেন, গ্রামের দসির উদ্দিন এবং তাঁর ছেলে রশিদ ও ইদ্রিস আলী সম্প্রতি ভুয়া কাগজ তৈরি করে আদিবাসীদের কবরস্থানের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে দসির উদ্দিন কোদাল দিয়ে কবরস্থানের মাটি কেটে সমান করতে থাকেন। খবর পেয়ে গ্রামের আদিবাসীরা দসির উদ্দিনকে বাধা দেয়। বিকেল পাঁচটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা ও বল্লম নিয়ে আদিবাসীদের ওপরে হামলা চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় রানীনগর ক্যাম্পের বিডিআর সদস্যরা এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

গ্রামের হাকিম মুর্মু বলেন, পরদিন বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আদিবাসীদের ধরে নিতে গ্রামে চৌকিদার পাঠান। এর পর থেকে আদিবাসী পুরুষেরা গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলার পারুল মিশনে আশ্রয় নেওয়া রবি হাসদা (৪৮) বলেন, তিনি ছাড়াও বিশ্বনাথ হাসদা, রাজেন হাসদা, গোপাল হাসদাসহ আটজন গ্রাম ছেড়ে এ মিশনে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া বিরামপুর উপজেলার ধানজুড়ি মিশন এবং দূরে স্বজনদের বাড়িতে ওই গ্রামের ২০ থেকে ২২ জন পুরুষ আশ্রয় নিয়েছে। গত শুক্রবার ওই গ্রামে গেলে আসন্তি হাসদা (৪০) বলেন, ‘জানের ভয়ত পুরুষেরা সাত দিন ধরে পালাই গিইছে।

পরিষদের চৌকিদার মকবুল আসি কহিছে, বাড়িত আসিলে পুলিশ ধরি নিয়া যাবি। তার আগে চেয়ারম্যান সবাকে সুইয়ের ওপর দিয়া হাঁটাবি। ’ ইউপি চেয়ারম্যান হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া এবং আদিবাসীদের ধরে আনতে লোক পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমির মালিক আদিবাসীরা নয়। জমিতে কাজ করতে গেলে ইদ্রিস আলীর বাবা দসির উদ্দিনকে আদিবাসীরা মারধর করায় মুসলমানেরা একজোট হয়ে আদিবাসীদের ওপর চড়াও হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আদিবাসীরা একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিল।

কিন্তু সেখানে কারও স্বাক্ষর না থাকায় তিনি স্বাক্ষর করে আনতে বলেন। পরে আদিবাসীরা আর আসেনি। Nanak Kanti Sen ২০১২.০১.০২ ১২:৫৮ [ আপনার মন্তব্য বিবেচনার জন্য অপেক্ষমান এবং সকলের নিকট প্রদর্শিত নয় ] এভাবেই এদেশে সংখ্যালঘুর সম্পত্তি জবর দখল করা হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।