আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অল্প স্বল্প গল্প

ইতপউস ..... ১৩-১২-২০১১ সন্ধ্যা ৭টা সন্ধ্যা বেলা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভাপা পিঠা খাচ্ছি। চোখে পানি চলে আসছে! এখন আর সেই দিন নেই যে চুলার পাশে বসে দাদীর হাতের বানানো গরম ভাপা পিঠা খেতে পারব! হুঁশ করে ধুলা উড়িয়ে একটা গাড়ি চলে গেল পাশ দিয়ে। বাকি পিঠার সাথে কিছু ধুলাও খেতে হলো। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো একেই বলে হয়ত। —- কত মানুষের কত শখ না থাকে! তেমনই শুনলাম, একজন তার বাড়িতে অনেক গাছের সাথে তাল গাছ লাগিয়েছে।

তার শেষ ইচ্ছে কোন একদিন এক বাবুই পাখি এসে ঐ তাল গাছে বাসা বাঁধবে। এখন তো গ্রামেও বাবুই পাখি দেখা যায় না। হারিয়ে যেতে যেতে একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার যে মিষ্টি একটা ইচ্ছে , আমার মন ভালো করে দিয়েছে অনেক। আমি না দেখতে পেলেও আশা করে থাকব একদিন বাবুই পাখি সত্যি বাসা বানাবে।

—- বাসার সবাই চিটাগাং যাবে বিয়ে খেতে আর আমি যেতে পারছি না কারন আমার পরীক্ষা আছে । চোখের পানি ছাড়া কান্না, রাগ আর সাথে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে যার নাম আমার জানা নেই! দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে আমার এত ভালো লাগে! সামনে দিয়ে সেই সুযোগ চলে যাচ্ছে কিন্তু আমি যেতে পারছি না! কেমন লাগে!!!!!! --------- ১৫/১১/২০১১ সকাল ১০:৪৭ নতুন একটা ডিজিটাল(!) ঘড়ি লাগিয়েছি রুমের দেয়ালে। যেখানে টেম্পারেচার দেখা যায়। আমি একটু পর পর সেটা দেখছি আর শীত বেশী কম তুলনা করার চেষ্টা করছি। সেখানে এখন দেখাচ্ছে ১৪° সেলসিয়াস! হায় আল্লাহ! এত শীত! অবশ্য আমার শীত খুব ভালো লাগে।

------ ২৮/১২/২০১১ বিকেল ৪:৩০ সকালে ভোরে হাঁটার খুব ইচ্ছে থাকলেও পারি না আমার কুম্ভকর্ণের মত ঘুমের জন্য। তাই বিকেলে হাঁটতে বের হই। একাই আশে পাশে হাঁটি। নতুন নতুন রাস্তা চেনা হচ্ছে। কোথায় কি আছে জেনে রাখছি।

মজাই লাগে। আজতো সেই পুরনো দিনের মত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভেল পুরি খেয়েছি! কে জানে! কে দেখে কি আবার ভাবলা! মজার ব্যাপার হচ্ছে, শীতকালে যেটা সবসময় দেখা যায়। রাস্তা বা বড় মাঠ, বা খালি জায়গা পেলেই বাচ্চারা দাগ কেটে, নেট লাগিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা চলে। এত দিন কলোনিতে ছিলাম বলে আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ পেয়েছি ছোট বেলায়। হাঁটতে গিয়ে সেটাই দেখলাম যত ফাকা জায়গা আছে সব পিচ্চিদের দখলে।

তখনি চট করে একটা ইচ্ছে হল, যেয়ে কোন এক পিচ্চিকে বলি, "ভাইয়া, আমাকেও দলে নাও। আমিও তোমাদের সাথে একটু খেলব" ! কিন্তু অন্য সব এমনি পাগলাটে ইচ্ছের মত এটাও ভুলে গিয়ে কিছু না বলেই হাঁটা চালিয়ে গেলাম। বাচ্চাগুলো বিরক্ত হয় কিনা! আবার আপদ না ভেবে বসে! কিন্তু খেলতে খুব ইচ্ছে করছিল। -------- ঠিক এক বছর আগে আমি একটা ছোট চাকরী পেয়েছিলাম টাঙ্গাইলে। সেখানে থেকেছি ৪ মাস প্রায়।

জীবনে এক বার হলেও ট্রেনে চড়ার শখ, বাসে করে দূরের পথে যাওয়া, কচি ধান গাছ থেকে সোনালী হয়ে বেড়ে উঠা, রাস্তার দুপাশের মাঠের পর মাঠ হলুদ সর্ষে ক্ষেত-এর মত অনেক কিছু দেখার ইচ্ছে আমার পূর্ণ হয়েছিল এ সময়। শীতের ঠান্ডা বাতাসের সাথে দমকা হাওয়ায় গাছের পাতা ঝরে পরার দৃশ্য তো ভুলে যাবার মত না। আমি শুধু থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিলাম কয়েক সেকেন্ডের জন্য। নিজেই অবাক যে, কি দেখলাম এটা! এত সুন্দর দৃশ্য দেখার ভাগ্য আমার ছিল! ——– ৭১ এর কথা এত শুনেছি এত পড়েছি, আমার খুব খুব ইচ্ছে ছিল খুব কাছ থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখব, তার কথা শুনব, তার সেই যুদ্ধের দিন গুলোর ঘটনা শুনব। টাঙ্গাইলে আমার সেই সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে যা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।

একজন মুক্তিযোদ্ধাকে খুব কাছ থেকে দেখছি। শুধু দুর্ভাগ্য যে তার বর্ণনায় সেই দিন গুলোর কথা শুনতে পারিনি। ইনি ছিলেন আমার স্যার, ইনস্টিটিউট এর এ.ডি., নাম "বিমল চন্দ্র সাহা"। এমন সাদা মনের মানুষ আমি কখন দেখিনি। উনার সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।

কি না করেছেন তিনি সবার জন্য! এখনো সেই একই রকম ভাবে কাজ করছেন অবিরাম। শুধু এত টুকুই কষ্ট থাকবে আমি সেই কথা গুলো শুনতে পারলাম না। স্যার আমি মন থেকে আপনার জন্য সব সময় দোয়া করি, আপনি ভালো থাকুন, সুন্থ থাকুন, সৃষ্টিকর্তা আপনার সাথে যেন সবসময় থাকেন। ------- উপরের ছোট লেখাগুলো আমার নানা সময়ের নানা রকম চিন্তা ভাবনা যা আমাকে নাড়া দেয় খুব এবং তার যেগুলো মনে থাকে সেগুলো ধরে রাখার চেষ্টা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।