আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিস্তায় এগার ঘন্টা

আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি তখন যে কি আনন্দ লাগছিল, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আনন্দের মধ্যে থেকেই কেটে গেল সময়টুকু। সত্যিই আনন্দময় সময় বেশিক্ষণ থাকে না, কিন্তু দুঃখের সময়-তা তো.....। তেমনি আমার সুখের সময়টুকু দেখতে দেখতেই কেটে গেল! কেন আমার আনন্দ লাগবে না, আনন্দতো লাগবেই! কারন এই প্রথম আমি ট্রেনে চড়ে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। ট্রেনে কোন দিনই ঢাকা যাইনি।

ছোট ছেলে শহর থেকে গ্রামের দাদা বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রতিটি মুহুর্তকে যেমন এক একটি বছর মনে করে, রাতে যেমন ঘুম আসে না, ঘুম আসলেও যেমন কিছুক্ষন পরে পরেই ঘুম থেকে জেগে মা-বাবাকে বলে রাত পোহাবার কত দেরী- তার নিকট থেকে যেমন সময় যেতেই চায় না- আমারও তেমনি কোন মতে সেদিনের রাতটা কেটে গেল আরকি! সেদিন ছিল শুক্রবার। সকালে উঠে দাঁত ব্রাশ করে দ্রুত তৈরী হয়ে নিলাম। কারন ট্রেন ছাড়ার সময় (টিকেট অনুযায়ী) ৮টা ২২মিনিট। কোনমতে নাস্তা সেরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা একসাথে তিনজন (ফরহাদ, হাফিজুর ও আমি) ছিলাম।

ট্রেনের দু’টো টিকেট আগেই নেয়া ছিল, এখন আরও একটা টিকেট নেয়া প্রয়োজন। টিকেট কাউন্টারে যাওয়া মাত্রই একজন লোক এসে বললেন –ভাই কোনখানে যাবেন- ঢাকা যাবেন নাকি, আসুন আমি টিকেট করে দিচ্ছি! ভাবলাম এই ভদ্রলোক আমাদের জন্য এত ব্যাস্ত কেন! পরে জানতে পারলাম ঐ ভদ্রলোক আর কেউ নয়- একজন দালাল। তিনি টিকেট করে দিতে পারলেই আমাদের নিকট থেকে দশটা টাকা আদায় করে নিতেন। জানি না ঐ ভদ্রলোক কতজনকে এভাবে সেবা করে (ধোকা দিয়ে) টাকা নিয়েছে! যাত্রী সকলকে বলে রাখছি, এভাবে টাকা দিয়ে নয় বরং একাই গিয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করবেন। দেখতে দেখতে কিছুক্ষনের মধ্যেই সিংহের মত গর্জন করে বিশাল দেহের অধিকারী তিস্তা এক্সপ্রেসটি বীর-বিক্রমে রংপুর প্লাটফরমে ঢুকে পড়লো।

যেন লাল পতাকা ছাড়া তাকে বাধা দেওয়ার মত কেউ নাই। এতবড় ট্রেন অথচ একটা ছোট লাল পতাকা দেখলেই যেন তার সমস্ত রাগ থেমে গিয়ে নিশ্চল হয়ে পড়ে! এক কদমও চলার ক্ষমতা তার আর থাকে না। অপরদিকে আস্ত একটা মানুষও যদি সেই লাইনের উপর শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে থাকে তবুও সে থামে না। নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে সেই ব্যক্তিকে দলিত-মথিত করে তার গন্তব্যের দিকে ছুটে চলে। প্লটফরমে ট্রেন থামার সাথে সাথেই মানুষের পদচারনায় (সম্ভবত) অতিষ্ট হয়ে গেল সেই প্লটফরমটি।

এ নিয়ে মাঝে মাঝে আমার মনে হয় এত মানুষ প্রতিদিন কোথা থেকে যে কোথায় যায়! মানুষের প্রয়োজনের কি শেষ নাই! সত্যিই প্রয়োজনের শেষ নাই, আজ চাল নাই তো কাল ডাল, আজ প্রয়োজন লেখা-পড়া করার তো কাল প্রয়োজন চাকুরীর........। প্রয়োজন আছে বলেই তো মানুষ এত ব্যাস্ত থাকে-এত দৌড়া-দৌড়ি করে। যদি প্রয়োজন না থাকতো তাহলে মানুষ তো শুধু কলাগাছের মত দাঁড়িয়ে বা ঢেকির মত শুয়ে থেকেই জীবন কাটিয়ে দিত। থাক এসব কথা, এখন কাজের কথায় আসি। আমরা ট্রেনে উঠলাম।

এই প্রথম আমি কোন Intercity তে উঠলাম। একটা জিনিস প্রথমে করতে গিয়ে অন্যান্যদের যেমন লাগে আমারও তার ব্যাতিক্রম হল না। আনন্দে ভরে গেল আপন মন। কিন্তু কিছুক্ষণ খোঁজার পরও আমার সেই কাঙ্খিত সিটটি খুঁজে পেলাম না। এরপর অন্যকে জিজ্ঞেস করেই সিটটি সনাক্ত করতে সক্ষম হলাম।

এরই মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল। আমি সহ আমার সেই প্রিয় ভাই দুইজনও বসে পড়লো নির্ধারিত সিটে। ট্রেন রংপুর থেকে যখন ছাড়লো তখন আমার ঘড়ির সময় সকাল ৮টা ২৫মিনিট। ট্রেন চলছে তার পূর্ণ গতিতে। দারুন লাগছে।

ব্যাগ থেকে একটা বই বের করে পড়া শুরু করলাম, কিন্তু সেই বইতে মন বসাতে পারলাম না। কারন এমনিইতো এই প্রথম এক্সপ্রেসে ভ্রমণ, তার উপর আবার প্রাকৃতিক দৃশ্য। সেই দৃশ্য কি কেউ না দেখে থাকতে পারে। আমার বাংলার দৃশ্য! কত সুন্দর কত মনরোম সেই দৃশ্য। এটা কি শুধু আমার বাংলা! নাহ্, শুধু বাংলা নয় বরং স্বাধীন বাংলাদেশ।

কি অপরূপ দৃশ্য এই বাংলার, সাজানো গোছানো আমার এই বাংলাদেশ। এই সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে যে কত ভাইয়ের রক্ত ঝড়েছে, কত বোন যে লাঞ্ছিত হয়েছে কত বাবা যে তাঁর কলিজার টুকরা সন্তানকে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য কুরবান করে দিয়েছেন, কত মাযে তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্রের জন্য ঘড়ের দরজায় দাঁড়িয়ে পথপানে চেয়ে আছে কে তার হিসাব রেখেছে! আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়েই পাল্টে গেছে এই দেশের চেহারা। তাঁদের রক্তের বিনিময়েই আমরা আজ স্বাধীন একটি দেশে বাস করতে পারছি। স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি। এই স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে চায় না, এখনও যারা এর বিরোধী যারা এই দেশকে ভালবাসে না, এই দেশের ভালোর জন্য কাজ করে না, বরং এ দেশ সম্পর্কে কু-মন্তব্য করে, দেশের বদনাম ছড়িয়ে বেড়ায় দেশ থেকে দেশান্তরে, কোন অবস্থাতেই তাদের জায়গা এদেশে হতে পারে না।

মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখাতে দেখাতে ট্রেন তার গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে। কত স্টেশন যে পাড়ি দিয়ে গেল তার কোন ইয়ত্যা নাই। কখনও পুলের উপর ঝন-ঝনা-ঝন শব্দ তুলছে, ইচ্ছেমত বাঁশি বাজিয়ে উড়ন্ত বিমানের মত ছুটে চললো। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম হকার পেপার নিয়ে এসেছেন। হাফিজ ভাই একটি পেপার কিনলেন।

পেপারটি হাতে নিয়েই আমি আঁতকে উঠলাম। পেপারে বিশাল হেডলাইন- একুশে টিভি বন্ধ- না পড়ে পারলাম না। কারন যেই টিভি চ্যানেলটি এত মানুষের মন জয় করে নিয়েছে , কি করে সেই টিভি চ্যানেল বন্ধ হতে পারে! পড়লাম- পড়ে জানতে পারলাম এই টিভি চ্যানেলের লাইসেন্সই নাকি অবৈধ। মাথায় যেন বাজ পড়লো। লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে চলতে পারে একটি টিভি চ্যানেল! কারা অনুমতি দিয়েছিল তা চালু করার জন্য- প্রথমে তাদেরই শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বোধ করি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১সালে কত রক্তের বিনিময়ে, কিন্তু কই দেশেতো শান্তি, নিয়ম, শৃঙ্খলা ফিরে এল না! না জানি কত অবৈধ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান এভাবে চলছে! আমার মনে হয় সরকারকে এখনই এর প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। , নচেৎ স্বাধীনতা শুধু মুখে আর খাতা-কলমেই থাকবে, বাস্তবে মাইক্রোসকোপ লাইগিয়েও তা খঁজে পাওয়া যাবে না। পেপার পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল এত অবৈধ কাজের মধ্যে একটি হলেওতো বন্ধ হলো। একুশে টিভির কিছু অনুষ্ঠান ভাল ছিল ঠিকই কিন্তু আমরা দেশের মানুষ অন্যায়ের মধ্য দিয়ে সেই ভাল দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়ের মধ্যে থেকেই ভাল দেখতে চাই।

ন্যায়ের মধ্যে থেকে একটু দুঃখ সহ্য করা লাগলেও তাতে কোন ক্ষতি নাই। পেপার ও কল্পনার জগৎ থেকে মুক্ত হতেই দেখি ট্রেন অনেকদূর চলে এসেছে। পেপারের ঘিচি-মিচি শব্দ পড়তে আর ভাল লাঘছে না। তখন চোখ বুলাতে লাগলাম অন্য একটি বইয়ের উপর। চলতে চলতে এক সময় দেখি স্টেশন ছাড়াই ট্রেনটি থেমে যাচ্ছে।

ব্যাপার কি, ট্রেন থামছে কেন! জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ওখানকার লাইনটা বেশি ভাল নয়। চিন্তা করলাম, যে লাইন দিয়ে প্রতিদিন ন্যুনতম ৬টি ট্রেন যাতায়াত করে সে লাইনের যদি হয় এই অবস্থা তাহলে জনগন কি করে পথ চলবে। আমার মনে হয় সরকার যদি রেল লাইনগুলোর দিকে একটু নজর দিতেন তাহলে রেল এক্সিডেন্ট থেকে আমরা অনেকাংশে বেঁচে যেতাম। ঝিকি ঝিকি করে ট্রেন আবার পূর্ণ প্রাণ লাভ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। আর পিছনে ফেলে যেত লাগলো যত গাছ-গাছালি, বাড়ি-ঘর, স্কুল-কলেজ সহ নানা জিনিস।

ট্রেনের সাথে কোন জিনিসই যেন পাল্লা দিয়ে পেরে উঠতে পারছে না। সবাই হেরে গিয়ে বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকে আর ট্রেন তার পূর্ণ যৌবনপ্রাপ্ত গতি নিয়ে বীর-বিক্রমে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। চলতে চলতে একসময়ে দেখি ট্রেনের গতি স্লো হয়ে আসলো। আমার মনে হলো আবার বুঝি খারাপ লাইনে আসলাম। কিন্তু না, ট্রেন যে এখন বালাসী ঘাটের পাশেই দাঁড়িয়ে।

মনটা ভরে উঠলো এই ভেবে যে স্টিমারে করে নদী পার হতে পারবো। চিন্তার মাঝে ছেদ পড়লো অন্যদের কথায়। ট্রেন থেকে এখনই নেমে স্টিমারে গিয়ে সীট নিতে হবে। পরে গেলে নাকি সীট পাওয়া যাবে না। আমরা দ্রুত নেমে সেদিকে ছুটে গেলাম।

সীট পেতে তেমন কোন অসুবিধা হলো না। কিন্তু সীটে বসে থাকেতে মন চাচ্ছিল না। এত সুন্দর নদীকে না দেখে চুপটি মেরে বসে থাকবো তা কি করে হয়। ব্যাগগুলো সীটের উপর রেখে পাশের ভদ্রলোকদেরকে দেখতে বলে আমি সমগ্র স্টিমার ঘুরে দেখা শুরু করলাম। এমন সময় গর্জে উঠলো -সোহরাওয়ার্দী- নামের বিশাল দেহের অধিকারী শুধূ নয় বরং বিশাল শক্তিরও অধিকারী স্টিমারটি।

মনে মনে চিন্তা করলাম এই -সোহরাওয়ার্দী- যদি হয় এত সুন্দর, এত শক্তিশালী, তাহলে আমাদের সেই -হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী- কতই না সুন্দর আর কতই না শক্তিশালী ছিলেন! আমরা যদি তাঁর পাশে থাকতে পারতাম তাহলে নিজেদেরকে কতই না সৌভাগ্যবান মনে করতাম। দুপুর ১২টা ৯মিনিটে বালাসী ঘাট থেকে যখন স্টিমারটি ছাড়লো তখন পাশের দোকান, বাজারগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও কিছুদূর চলে গেলে সেগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পিপিলিকার বাড়িই বলে মনে হচ্ছিল। এমন একসময় আসলো যে সেগুলো আর দেখাই যাচ্ছিল না। এরি মধ্যে আমরা নামাজের স্থানে গিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করে আসলাম। ফুরফুরে মন নিয়ে আবার চতুর্দিকে ঘুরতে লাগলাম।

মনে হলো ট্রেন ভ্রমনই যদি এত মজাদার হয়ে থাকে তাহলে না জানি নৌকা ভ্রমন আরও কত মজাদার হয়ে থাকবে। জীবনে কি পারবো নৌকা ভ্রমনে বেরুতে! এসব চিন্তা করতে করতেই একসময়ে ওপারে পৌঁছে গেলাম। যখন ওপারে পৌঁছলাম তখন সময় দুপুর ১টা ৫২মিনিট। ওপারে গিয়ে আবার অন্য একটা ট্রেনে উঠতে হবে আর নির্দিষ্ট সীটে বসতে হবে। তাই দ্রুত আমরা তিন জনেই ছয়টি পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে চললাম।

সীট খুঁজে পেতে তেমন একটা বেগ পেতে হলো না। যথাসময়ে সীটে গিয়ে বসতে পারলাম বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম। বেলা ২টা ১৪মিনিটে এই ট্রেনটি আমাদেরকে তার পেটের মধ্যে পুরে নিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল। চলছে তো চলছেই, থামার যেন কোন লক্ষণ তার মধ্যে নাই। চলতে চলতে একসময়ে আমরা ময়মনসিংহে চলে আসলাম।

সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিকে নজর দিলাম। সত্যিই আল্লাহর এই পৃথিবী অনিন্দ্য সুন্দর। মনে পড়ে যায় সেই গানটির কথা- তোমার সৃষ্টি যদি হয়ে এতসুন্দর না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর...। কিছুক্ষন পরেই মুয়াযযিনের সু-মধুর কন্ঠে আযানের শব্দ ভেসে আসলো। ট্রেনের মধ্যেই ওযু সেরে নামাজের জায়গায় গিয়ে আসরের নামাজ আদায় করে আসলাম।

ট্রেন কর্তৃপক্ষকে এই জন্য ধন্যবাদ জানাই যে তাঁরা ট্রেনের মধ্যেই নামাজের একটা সুন্দর জায়গা করে দিয়েছেন। ট্রেন তার আবারও সামনের দিকে ছুটে চলছে। কিছুক্ষন যেতেই বিশাল বন দেখতে পেলাম। জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এই সেই গাজিপুর জেলার ভাওয়াল অঞ্চল। যেই ভাওয়ালের কথা ছোটবেলায় অনেক বইয়ে পড়েছি।

কিন্তু আজ আর পড়া নয় বরং স্ব-চক্ষে এগুলো অবলোকন করছি। কি যে ভাল লাগছিল! কত যে রং বে রঙয়ের গাছ এই বনে আছে তার কোন ঠিক নাই। সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই ভাওয়াল অঞ্চল। এরকম বনকে দেখে, মানুষের জীবনকে নিয়েই হয়তো মরহুম কবি গোলাম মোহাম্মদ খুব সুন্দর করে গেয়ে উঠতেন- হিযল বনে পারিয়ে গেছে পাখি যতই তারে করুন কেঁদে ডাকি, দেয়না সাড়া নীরব গহীন বন বাতাসে তার ব্যাথার গুঞ্জরন...। এরই মধ্যে সালাতুল মাগরীবের আযান ধ্বনী থেকে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো।

আবারও নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যথাস্থানে নামাজ সেরে আসলাম। শুনলাম ঢাকায় পৌঁছার আর বেশি বাকী নাই। মনে খু-উ-ব আনন্দ দোলা দিচ্ছিল এই জন্য যে একটু পরেই সেই রেল স্টেশনে নামবো, যেই স্টেশনের কথা কত ইংলিশ, বাংলা বইয়ে পড়েছি। ভাবতে ভাবতে কাংখীত রেল স্টেশনে ট্রেন চলে আসলো। ৭টা ৩৯মিনিটে আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে পড়লাম।

ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম সুন্দর এই স্টেশনটিকে। এরপরে গন্তব্যে যাওয়ার পালা। ৭টা ৪৯মিনিটে আমরা টেক্সিতে উঠে ৮টা ৫মিনিটে আমাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছলাম। ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীরে এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে সমগ্র দিনের ভ্রমণ চিন্তা আওড়াতে আওড়াতে কোন এক সময় ঘুমের গহীন গহ্বরে তলিয়ে গেলাম। আমি এই ভ্রমণকাহিনীটি ২৪মার্চ'২০০৩সালে লিখেছিলাম  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।