আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার টিউশনি জীবনের এক স্মরনীয় কাহিনী......

চারপাশটাতে ছড়িয়ে আছে অসাধারন সব কিছু আর এই সব কিছুর মাঝে আমি খুবই সাধারন একজন... তখন ছিলাম চট্টগ্রামে। তো আমার এক বন্ধু আমাকে বললো দোস্ত একটা টিউশনি করতে পারবি? আমি তাকে বললাম হ্যাঁ তবে তিনমাসের জন্য। সে বলল ঠিক আছে। সুতরাং পরদিন থেকেই আমার টিউশনি শুরু করতে হল। আমার ছাত্র হল ক্লাস টু তে ইংলিশ মিডিয়ামের।

নাম সাদিক। দেখতে সুন্দর তবে দেখলে মনে হয় খুবই সাদাসিধা। যথারীতি তাকে পড়ানো শুরু করলাম। আমি পড়ানোর সময় আমার মোবাইলটা(সাজেমের স্টিল ডিসপ্লে) টেবিলের উপরে রাখতাম। একদিন হঠাত কি মনে করে সে আমার মোবাইলটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষন যাবত স্ক্রীনে তাকিয়ে বলে উঠল, স্যার এই ওয়ালপেপারে যে সমুদ্র পার আছে সেখানে একটি ছেলে আর একটি মেয়েকে জড়িয়ে বসে আছে।

ছেলেটি কে জানেন? আমি অনেকক্ষন দেখে বললাম আস্লেই আমি আগে কখনো খেয়াল করি নি। হটাত সে বলে উঠল ছেলেটি হল টিচার আপনি আর মেয়েটি আমার ছোট খালা। আমি তো আকাশ থেকে পরলাম। এই পিচ্চি বলে কি? ছোট একটা ধমক দিয়ে বসিয়ে রাখলাম। কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবার একদিন বলেউঠল টিচার আমার খালার বয়ফ্রেন্ডের নাম কিন্তু আপনার নাম।

আমি তো ভাই মহা মুশকিলে পরলাম...। পোলারে মনে করছিলাম অনেক সাদাসিধা হবে দেখি এখন বদের বদ। এরপর মাঝে মাঝেই আমার সাথে ফাইজলামি করত...। যেদিন আমি টিউশনি ছেড়ে চলে আসব সেদিন পোলা তো আমাকে একেবারে মফিজ বানিয়ে দিল...। ওর মা আর বাবার সাথে দেখা করতে গেলাম আর বলতে গেলাম আমি আর পড়াবো না কারন চট্টগ্রাম ছেড়ে আসব।

তো ওইদিন সে আমাকে সবার সামনে বলে উঠল...... টিচার মার সাথে দেখা করলেন, বাবার সাথে দেখা করলেন আমার ছোট খালার সাথে দেখা করবেন না? ছোট খালা কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর............... তারে কি বলব আমি তো লজ্জায় লাল...... তারপর অনেকদিন কেটে গেছে প্রায় ছয় বছর। সেদিন সেই ছাত্রের মা ফোন দিল, শুনলাম অনেক বড় হয়েছে...। কিন্তু জানতে পারলাম না...এখন তার কি অবস্থা? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।