আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবরত্ন মন্দির,সাতক্ষীরা (ছবি ব্লগ)

'সবুজ অন্ধকার' মন্দিরটা দেখার আগে কিছু পেচ্যাল... প্রাচীন জনপদ সাতক্ষীরা একসময় রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল,এ জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকায়। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের প্রবাজপুর মসজিদের ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে ড্যামরাইল গ্রামে আছে মোগল আমলে নির্মিত ‘ড্যামরাইল নবরত্ন মন্দির’। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে এ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। মাটি থেকে ৪৭ ফুট উঁচু মন্দিরের চূড়া বহুদুর থেকে নজরে পড়ে।

সাতক্ষীরা জেলায় আর কি কি আছে? জাহাজঘাটা নৌদূর্গ: উপজেলা সদরের ৪ কিলোমিটার উত্তরের গ্রামে জাহাজঘাটা। এখানে আছে প্রতাপ আমলের ‘জাহাজঘাটা নৌদূর্গ’। রাজা প্রতাপাদিত্যের ব্যবহৃত নৌকাগুলো তৈরী ও মেরামত করা হতো এ স্থানে । যে স্থান দিয়ে বর্তমানে শ্যামনগর-কালিগঞ্জ পাকা সড়ক, সেখানে ছিল যমুনা নদী। আর এই যমুনা নদীর তীরেই প্রতাপাদিত্য তৈরী করেছিলেন ‘জাহাজঘাটা নৌদুর্গ’।

টেঙ্গা মসজিদ: উপজেলার দক্ষিণের পাশাপাশি গ্রাম বংশীপুর ও ঈশ্বরীপুর। বংশীপুরে আছে ‘টেঙ্গা মসজিদ’। প্রতাপাদিত্যের একজন বিশ্বস্ত সেনাপতি খাজা কামালের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল বিশাল আয়তনের এই মসজিদ। বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ ছাড়া সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে এত বিশাল আয়তনের মসজিদ আর নেই। ৫ গম্বুজের মসজিদটির দেওয়াল পুরু ৭ ফুট করে।

মসজিদের পূর্বপাশে লম্বা আকারের কয়েকটি কবর আছে। কবরগুলো পরিচিত ‘বারো ওমরাহ’ নামে। হাম্মামখানা: ‘টেঙ্গা মসজিদ’ এর ৫০ গজ পুর্বে আছে রাজা প্রতাপাদিত্যের হাম্মামখানা। দালানের মধ্যে কয়েকটি কুঠরি ও পানি চলাচলের জন্যে পাকা নালা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মিত। এর ওপরে দুটো বড় গম্বুজ ও চারপাশে চারটে ছোট গম্বুজ ছিল।

গম্বুজের ওপরে ছিল স্বচ্ছ কাঁচ, যার সাহায্যে ঘরের মধ্যে আলোর ব্যবস্থা করা হতো। যশোরেশ্বরী মন্দির: হাম্মামখানার ৩০ গজ পুর্বে ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত প্রতাপাদিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘যশোরেশ্বরী মন্দির’। নাটমন্দির ও নহবতখানা ভাঙাচোরা অবস্থায় এখনও টিকে আছে। হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি : ঈশ্বরীপুরের ৪ কিলোমিটার উত্তরে আছে জমিদার হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি। বিশাল এ রাজবাড়ি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায়।

জমিদারবাড়ির উত্তরপাশের আছে স্থায়ী পুজো প্যান্ডেল, নহবতখানা, দক্ষিণপাশের জোড়া শিবমন্দির। মায়ের মন্দির : উপজেলা সদরের ১ কিলোমিটার পূর্বদিকে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি। এ স্থানে আছে পাঁচটি ভিন্ন নামের মন্দির। এগুলোর নাম-‘কালী মাতা মন্দির’ ‘শিবমন্দির’,‘কালভৈরব মন্দির’,‘অন্নপূর্ণা মন্দির’,‘রাধাগোবিন্দ মন্দির’। একই স্থানে পাঁচটি মন্দির বলে এগুলো একত্রে পরিচিত ‘সাতক্ষীরা পঞ্চমন্দির’ নামে।

এগুলোর নির্মাতা জমিদার বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী। বিশেষ করে মন্দির চত্ত্বরে যে অন্নপূর্ণা মন্দিরটি আছে তা এককথায় অপূর্ব। ৪৫ ফুট উঁচু আর ২৪ফুট O২২ফুট ৩ ইঞ্চি মাপের এ মন্দিরটি নিচ থেকে আস্তে আস্তে সরু গম্বুজ হয়ে চূড়োর রুপ ধারণ করেছে। এর গায়ে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাতে নানা রকমের টেরাকোটা চিত্র আছে। মায়ি চম্পার দরগা : উপজেলার ৩ কিলোমিটার উত্তরের গ্রাম লাবসা।

এখানে আছে ‘মায়ি চম্পার দরগা’। গাজী-কালু-চম্পাবতীর পুঁথী বাংলা লোক সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় ও পরিচিত উপাখ্যান। এতে অতিরঞ্জিত তথ্য আছে ঠিকই। কিন্তু তারপরও গাজী-কালু -চম্পাবতী ঐতিহাসিকতা অস্বীকার করেননি কোন ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গাজী, কালু চম্পার স্থান, সমাধি দরগা আছে।

তবুও অধিকাংশ ঐতিহাসিক একমত যে, চম্পাবতীর আসল সমাধিটি অবস্থিত সাতক্ষীরা লাবসা গ্রামে। শেষ জীবনে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞা ও পরোপকারের জন্য চম্পাবতী সাধারণের কাছে পরিচিত হয়েছিলেন মা চম্পা নামে। লোকে তাকে মায়ের মতো ভক্তি শ্রদ্ধা করতো। মাজারের পশ্চিমপাশে আছে বিশাল এক চম্পাফুলের গাছ। সচরাচর অত বড় চম্পাফুলের গাছ চোখে পড়ে না।

জোড়া শিবমন্দির: এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরেআছে ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির, নানা বৈচিত্র্যের টেরাকোটা ইটে নির্মিত ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির,। ১২২০ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ মন্দিরদুটো নির্মাণ করেছিলেন ফরিকচাঁদ ঘোষ। মন্দির দুটোর বিশেষত্ব হলো এর গায়ের টেরাকোটার কাজ। সাতক্ষীরা জেলায় যতগুলো টেরাকোটা শিল্প আছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ টেরাকোটার কাজ এই ‘ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির’-এ । শ্যামসুন্দর মন্দির : উপজেলা সদরের আট কিলোমিটার পশ্চিমে সোনাবাড়িয়া গ্রামে অপুর্ব শিল্প সৌন্দর্য অঙ্গে ধারণ করে একটি তিনতলার মন্দির আজো টিকে আছে।

এর নাম ‘শ্যামসুন্দর মন্দির’। মন্দিরের গায়ে যে ইটের ফলক আছে তা থেকে জানা যায়, এটি নির্মিত হয়েছিল ১৭৬৭ সালে। আর এটির নির্মাতা হরিরাম দাস। প্রাচীন এ মন্দিরটি ‘সোনাবাড়িয়া মঠ’ নামেও পরিচিত। বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির : উপজেলা সদরের ৯ কিলোমিটার উত্তরে বুধহাটায় রয়েছে ১১৪৬ বঙ্গাব্দে নির্মিত একই স্থানে বারোটি মন্দির।

নাম ‘বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির’। জমিদার রাজবংশী এ মন্দিরের নির্মাতা পুরুষ। বর্তমানে ১২টি মন্দিরের মধ্যে ৬টি টিকে আছে। অন্য ৬টির ভিথ ভাঙা। নবরত্ন মন্দির,সাতক্ষীরা right side: from medium temple ruined nabaratna temple of satkhira, may b built around 8th-10th century a.d.3 temples are almost detroyed.biggest one is 3 tier- nawratan(noboratno) temple, 2nd one is 2 storied, bt almost ruined.in front of it a structure hs been built to carry on the rituals of local hindu s, as the xisting structure is no more secured for viistors. the smallest one is a single tall shikhara. illusive ground floor(1st tier) wth 4 parallel rows. a corridoor at left corner leads to undergroun, bt the stair is collapsed front facade: 2nd tier he ruined 1st floor of medium size temple: column is bout 10' tall. the ruined 1st floor of medium size temple one shikhara at 2nd tier ground floor top: concealed dome মন্দিরের একটা পাশ the mighty nawratan temple! local people built 2colums to stop it to collapse..! front side arch terracotta of sanskrit writings top middle of d nawratan (at 3rd tier) নবরত্ন মন্দিরের,ছবি ও তথ্য - স্বাগতা রওনাক সাতক্ষীরা জেলার তথ্য - সাকিল আহমদ  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।