আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনুদুনের খবরঃ আর মন্ত্রী ‘হবেন না’ মুহিত। জাতি এক দূর্ধর্ষ কমেডিয়ানরে মিস করবে।

https://twitter.com/nanarkota এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না; তবে আগামীতে আর মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার সম্পাদকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় তিনি বলেন, “মন্ত্রী হিসাবে আমার যে দায়িত্ব তাতে দিনে কমপক্ষে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আগে আমি ১৬ ঘণ্টাই কাজ করতে পারতাম। এখন আমি ১২ ঘণ্টার বেশি পারি না। মূলত এ কারণেই আমি পরবর্তীতে মন্ত্রিত্ব থেকে বিরত থাকতে চাই।

” তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা আছে বলে জানান এই রাজনীতিবিদ। গত নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগ নেতা মুহিত। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, ওই আসনে যে দল জয় পায়, সেই দলই সরকার গঠন করে। গত ৬ অক্টোবর ৭৯ বছর পূর্ণ করা মুহিত ১৯৮২-৮৩ সালে এইচ এম এরশাদের সরকারের সময়েও প্রায় ২০ মাস অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে মুহিত বলেন, সে সময় তিনি এখনকার তুলনায় বেশি ‘শক্তিশালী’ ছিলেন।

“তখন কেবল জেনারেল এরশাদকে রাজি করালেই চলতো। আর এখন একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে আমাকে ১০-১২ জনের সমর্থন পেতে হয়। ” ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারির পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে সরকারের দায়িত্ব নেন তখনকার সেনাপ্রধান এরশাদ। সচিবের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া মুহিত সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তখন তার বয়স ৪০ এর কোঠায়।

একাত্তরে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টারের দায়িত্বে থাকা মুহিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সংগ্রহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৫ সালে স্নাতোকোত্তর শেষ করে পরের বছরই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চতর শিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৭২ সালে ৩৭ বছর বয়সে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন এবং পরিকল্পনা ও বহিঃসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদের সময়ে মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর ১৯৯৪-৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন মুহিত।

এ পর্যন্ত তার ২১টি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি চাকরি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখাও রয়েছে। Click This Link আপনারা কি কন??  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।