আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলিটিকাল কোশ্চেন (জাতী জানতে চায়) মানে আর কি আমি

কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শহীদ জিয়াউর রহমান সাহেব কে রাজাকার বললেন যে কিনা বিশ্বের প্রথম প্রেসিডেন্ট যে ফ্রন্ট লাইনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এবং পরে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তার কিছুদিন পরে তিনি সাবেক প্রধান মন্ত্রিকে হিন্দি বা উর্দু (কিছু একটা হবে)ভাষায় পাকি প্রেমি পাকিস্তানে চলে যান বললেন। প্রশ্ন হচ্ছে সাবেক প্রধান মন্ত্রী কি কি সুবিধা পাকিস্তান কে দিয়েছেন যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একজন প্রধান মন্ত্রী হয়ে আর এক সম মর্যাদার একজনকে এই এই ভাবে বললেন প্রশ্নটি আসার কারনঃ আফটার লিবারেসন বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাহেব যিনি আমাদের জাতির জনক তিনি দেখলেন ভারত এখনো আমাদের দেশে লুট করে যাচ্ছে এবং তারা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না। তখন তিনি তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যাওয়ার সময় তারা পাকিস্তানের রেখে যাওয়া সমস্ত ইকুইপমেন্ট নিয়ে যায়। বঙ্গ বন্ধু কিন্তু তাদের কিছু বলেননি এই কারনে যে তবু তারা যাক।

তিনি চাননি তারা একতরফা আমাদের কাছ থেকে সুযোগ নিতে থাক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার উত্তরসুঁড়ি হিসাবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সবই বিকিয়ে দিচ্ছেন। যেখানে মমতা ম্যাডাম পানিচুক্তি বাতিল করে দিলেন, ফারাক্কা চুক্তি অনুযায়ী এখনও বাংলাদেশ পানি পাচ্ছেনা, আমাদের দেশে ঢুকে এমন সব নদিতে তারা বাধ দিচ্ছে, আমাদের কে তারা ভিকেরির দেশ বলে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন হিন্দু ঢুকলে কোন মর্যাদা দেয় না। আমাদের সুবিধার কোন চুক্তি তারা করেনা, তাদের সুবিধার চুক্তি করে এবং তা পাশ হয়। যেখানে ভারতীয়রা নিজেদের মধ্য যতই গণ্ডগোল করুকনা কেন তাদের নিজেদের বেলায় তারা তাদের সুবিধা ঠিকই আদায় করে নিচ্ছে।

রাশিয়ার কাছ থেকে বিমান কেনার ঘটনা তো সবাই জানেন, রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ গিয়েছিল লেটেস্ট সুখাই টি-৫০ (ফিফথ জেনারেশন) জঙ্গি বিমান কেনার জন্যে, কিন্তু শুধুমাত্র ভারত ভেটো দেয়ায় রাশিয়া তা বাংলাদেশ কে বিক্রয় করেনি। উল্টো ট্রেইনিং বিমান ধরিয়ে দিয়েছে ইয়াক-১৩০ নৌ ট্রানজিট পাচ্ছে ভারত ধরে নিন ফ্রি এতকাল পর্যন্ত নৌ-প্রটোকলের আওতায় নদীপথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে সর্বশেষ সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পেত বাংলাদেশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ স্ট্যান্ডিং কমিটির শেষ দিনের বৈঠকের ফলাফল হিসেবে খবর ছাপা হয়েছে যে ‘মাশুল নয়’, নদীপথের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ হিসেবে ভারত বছরে ১০ কোটি টাকা দেবে। স্পষ্টতই এই শর্তের ফলে বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় বাড়ার সুযোগ নেই। পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি বহন করতে ভারত তার খরচে বাংলাদেশের রাস্তা কেটে ও নদী-নালা ভরাট করে অস্থায়ী পথ সৃষ্টি করেছিল।

এরও ব্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ভারত জুগিয়েছিল। কিন্তু সেটা ছিল ভারতের, বিশেষ করে ত্রিপুরার বন্ধুপ্রতিম জনগণের প্রতি বাংলাদেশের শুভেচ্ছা। কিন্তু স্থায়ী বাণিজ্যের স্বার্থে নৌ-প্রটোকলের আওতায় পণ্য পরিবহনের বিষয়টি বিচ্ছিন্নভাবে বিবেচনায় নিয়ে কোনো শুল্ক আরোপ করার নীতিতে সরকারি কমিটির সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয় স্পষ্ট নয়। প্রয়োজনীয় লিঙ্ক সমুহ ইয়াক-১৩০ সুখাই টি-৫০ নৌ ট্রানজিট পাচ্ছে ভারত বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে ২৪টি ইয়াক-১৩০ সামরিক বিমান কিনবে বাংলাদেশকে স্বার্থ বুঝে নিতে হবেঃ নৌ-ট্রানজিট আমার জানার বা বোঝার ভুল থাকলে আপনারা দয়া করে ভুল ধরিয়ে দেবেন ধন্যবাদ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.