আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বিজয়দিবস সংকলন

ইতিহাস, নেই অমরত্বের লোভ/ আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ... ফেসবুকে তরুণদের একটি বিরাট অংশ বিচরণ করে, যাদের অনেকেই হয়ত ব্লগে ঢুঁ মারার অবকাশ পায়না; কিম্বা সে তাগিদও অনুভব করেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি ব্লগের সুবাদে। ভেবেছিলাম ফেসবুককেন্দ্রীক বন্ধুতালিকার তরুণদেরকে কিছু বার্তা পৌঁছে দেয়া যাক- দেশের ইতিহাস, বিশেষত: আমাদের জাতিগত সংগ্রামের ইতিহাস সংক্রান্ত কিছু লেখা। স্বভাবতই এ শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের জন্য সহজবোধ্য (ওদের জন্য সহজপাচ্য বলাই শ্রেয়) লেখাগুলো খুঁজে খুঁজে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে সিরিজ আকারে আমার ওয়ালে পোস্ট করে আসছি; সাথে সামান্য উপক্রমণিকা। মনে হল- এটা অন্যদেরও কাজে লাগতে পারে; তাই শেয়ার করা: ডিসেম্বর ০১, ২০১১ বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন আমার প্রোফাইলে বাংলাদেশের ইতিহাস, ও গৌরবের অধ্যায়গুলো সম্পর্কে তরুণদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে তথ্যসমৃদ্ধ লিঙ্ক শেয়ার করা হবে।

সাবাইকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদেরকে স্বাগতম। আজকে প্রথম পোস্ট বিধায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সাধারণ স্কেচস্বরূপ লিঙ্ক পোস্ট করা হল। বাংলার ইতিহাস - উইকিপিডিয়া ডিসেম্বর ০২, ২০১১ বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক পোস্ট দেব বলেছিলাম; আজ তার দ্বিতীয় পর্ব। চেষ্টা করছি সহজ সরল, ছোট, নির্ভরযোগ্য টেক্সট খুঁজে খুঁজে পোস্ট করতে যেন সব বয়সের, সব মননের ও রুচির তরুণ পাঠকরা অনায়াসে আগ্রহ নিয়ে পড়ে নিজেদের শেকড়ের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। আমরা যদি নিজেদেরকেই না জানি নিজের গর্বের ধনগুলোকে own করব কি করে? তাই এ প্রয়াস (আমার ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে)।

ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আজকে দিলাম প্রগৈতিহাসিক (Pre-historic) বাংলা নিয়ে একটি পোস্ট। এ থেকে জানা যাবে আমাদের জাতিগত উৎস সম্পর্কে। এরপর শেয়ার করা হবে প্রাচীন ইহিহাস, আমাদের গৌরবজনক ইতিহাস ও ব্যক্তিবর্গ, এবং সব শেষে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু পোস্ট। ধৈর্য ধরে সাথে থাকলে এক প্যাকেজে Essential বিষয়গুলো cover হয়ে যাবে। Stay tuned :-) ইতিহাসের পাঠ: প্রাচীন বাংলা - ইমন জুবায়ের এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ০৩, ২০১১ ছোটবেলা থেকে বড়দের মুখে শুনে এসেছি আমাদের নাকি গর্ব করার মত ইতিহাস নেই, সভ্যতার উত্তরাধিকার নেই ইত্যাদি।

এসব হীনমণ্যতাজাত আত্মঅবমাননার মূলে কতগুলো সম্ভাব্য বিষয় ক্রিয়াশীল: হয় এরা নিজেদের ইতিহাসকে কোনদিন জানার চেষ্টা করেননি বা জানার প্রয়োজন মনে করেননি; অথবা জেনেও না জানার ভান করেছেন; অথবা নিজেদের গৌরবকে অন্যকোন কল্পিত প্রভূ জাতির চরণকমলে নৈবেদ্য দিতে নিজেদের অবনমিত করেছেন বা করছেন। কারণ যা-ই হোক না কেন, এসব ....... দের (শূণ্যস্থান ইচ্ছামত যে কোন নিকৃষ্টতম গালি দিয়ে পূরণ করে নিন) উদ্দেশ্য সফল হবার নয়। তার জন্য আমাদেরকেই উদ্যোগ নিয়ে জানতে হবে নিজের পাঁজড়ের ইতিহাস। নিচের লিঙ্কটি সেই প্রয়েজন পূরণ করবে কিছুটা হলেও। স্বাগতম... বঙ্গভূমি এবং তার ইতিহাস : নতুন কিন্তু কতো নতুন? / যূথচারী ডিসেম্বর ০৪, ২০১১ অনেক সময়ই ভারতীয় বা অন্য অনেক দেশের মানুষকে বলতে শুনি, বাংলা তো এক কালে ভারতের অংশ ছিল।

আমরাও অনেক সময় চুপচাপ মেনে নিই। কি নিদারুণ লজ্জা যে আমরা বিস্মৃত হয়েছি আমাদের পূর্বপুরুষের আত্ম অধিকারের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলা চিরকালই ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী। চিরকালই সে নিজের অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়ে এসেছে বহিরাগত রাজশক্তিগুলো বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, শশাঙ্কই বাংলার প্রথম রাজা যিনি বাংলার ভৌগলিক সীমানা অতিক্রম করে বাংলার বাইরেও বহূদূর অবধি আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।

পাল রাজাদের সময়ে উত্তর ভারতের বিরাট অংশও বাংলার পদানত হয়েছিল। আর গোটা ভারতবর্ষকে পদানতকারী Mighty Mughal দেরকে এ দেশ দখলে আনতে অতিক্রম করতে হয়েছিল দীর্ঘ ৩০ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ (আফসোস, যে মুঘলদের বিরুদ্ধে আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত ঝরিয়েছিলেন, সেই মুঘলদের কীর্তি নিয়ে আমরা কতনা গর্ব অনুভব করি!!)। এর পরও মুঘলরা শান্তিতে কথনোই বাংলা শাসন করতে পারেননি; বাংলার বারভূঁইয়া সহ অনেক সামন্তরাজা বারবার স্বাধীনতা ঘোষণা করে তাদেরকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল। ভারতের মৌর্য এবং গুপ্ত যুগের পর শশাঙ্ক, যিনি বাঙ্গালি ছিলেন, বাংলায় নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর আসে পালরা- ১৯৭১ সালের আগে বাংলার শেষ বাঙ্গালি শাসক।

আজ শশাঙ্ককে নিয়ে একটা লিঙ্ক শেয়ার করলাম; কাল দেব পাল রাজাদের নিয়ে। সমকাল :: শশাঙ্ক : রাজ্যপাট খুলে বসা বাংলার প্রথম শক্তিমান রাজা :: ডিসেম্বর ০৫, ২০১১ গতকাল বলছিলাম গৌড়রাজ্যের রাজা শশাঙ্কের কথা, যিনি তাঁর রাজ্যকে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তার করতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য উত্তরাধিকারী না থাকায় এক শ' বছরের অরাজকতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলা। এসময়টিকে বলা হয়: মাৎস্যান্যায়। কিন্তু হতাশা বিপন্ন করে তুলতে পারেনি বাঙ্গালিকে।

দীর্ঘদিনের সংগ্রামী অভিজ্ঞতা তাদের মধ্যে নতুন প্রত্যয়ের জন্ম দিয়েছিল। অন্ধকার থেকে জাতিকে আলোতে ফিরিয়ে আনার জন্য চাই সঠিক নেতৃত্ব। এই উপলব্ধিতে সচেতন ছিল বাংলার সাধারণ মানুষ আর অভিজাতবৃন্দ। আমাদের বর্তমান নেতানেতৃরা নির্বাচনের নামে অনেক সময় প্রহসনের আশ্রয় নিলেও আজ থেকে ১২০০ বছর আগের বাঙ্গালি কিন্তু এই নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের শাসক মনোনিত করে। ভাবতেও অবাক লাগে; তাই না? সেই দ্বন্দ্ব বিক্ষুব্ধ সময়ে জনগণ গোপাল নামের একজনকে সিংহাসনে বসায়।

মানুষের নির্বাচন যে ভুল হয় না গোপাল তার প্রমাণ। অচিরেই গোপাল অরাজকতার অবসান ঘটালেন। প্রতিষ্ঠিত হলো পাল সাম্রাজ্য। আট শতকে গড়া এই সাম্রাজ্য প্রায় চার শ' বছর টিকেছিল। পাল সাম্রাজ্যের ওপর বাংলায় ভাল লেখা পেলামনা বলে ইংরেজি উইকিপিডিয়ার লিঙ্কটি শেয়ার করলাম; বেশ informative. পোস্টে দেয়া মানচিত্র থেকে সহজেই বোঝা যায় বাংলার এ শাসকরা প্রায় গোটা ভারতবর্ষকেই নিজেদের সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন।

Pala Empire - Wikipedia, the free encyclopedia ডিসেম্বর ০৬, ২০১১ গতকাল পাল সাম্রাজ্য সম্পর্কে লিঙ্ক দিয়েছি। পালদের পর কর্ণাটক থেকে সেনরা এসে বাংলায় শাসন প্রতিষ্ঠা করে। আবার তাদেরকে হঠিয়ে দেয় মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলমান শাসকরা। এরপর কিছু আফগান শাসক, অল্প সময়ের জন্য ইথিওপিয়া থেকে আগত কয়েকজন শাসক, মুঘল, ব্রিটিশ, এবং সর্বশেষে পাকিস্তানিরা এদেশ শাসন করে। এ ইতিহাসের খুব চমৎকার একটি ধারাবর্ণনা পেয়েছি জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজের জনকণ্ঠে লেখা একটি নিবন্ধে।

কিন্তু জনকণ্ঠের লিঙ্ক থেকে সম্ভবত ফন্টের কারণে মূল লেখাটি ঠিক মত পড়া যাচ্ছেনা। তাই লেখাটিকে সামান্য এডিট করে নিজের ব্লগে পোস্ট করে আপনাদের জন্য লিঙ্ক পোস্ট করলাম। খুব সহজ সুন্দর ভাষায় সংক্ষেপে বাঙ্গালির সংগ্রামের গোটা ইতিহাস এখানে উঠে এসেছে। ইতিহাসে ফিরে দেখা বাঙালীর স্বাধীনতা------ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ এর লেখা থেকে সঙ্কলিত ডিসেম্বর ০৭ ২০১১ প্রাচীন বাংলার ইতিহাস যেমন গৌরবজনক, তেমনি অনেক ব্যক্তিও রয়েছেন যাঁরা আমাদের গৌরবান্বিত অতীতের প্রতিনিধি। দু:খের বিষয় আমরা আজ তাঁদের নামটি জানারও প্রয়োজন বোধ করিনা।

সস্তা জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করা ভিনদেশী জোকারও প্রাচীন বাংলার জগদ্বিখ্যাত দার্শনিকের চেয়ে আমাদের কাছে আজ বেশি পরিচিত। প্রাচীন ভারতের 'ষড় দর্শনে'র সবচেয়ে প্রাচীনটি হল সাংখ্য দর্শন। জানলে অবাক লাগে এ দর্শনটির উৎপত্তি এই বাংলায়; দার্শনিকটিও বাঙ্গালি; নাম তার 'কপিল'। আজ আমরা জানব তাঁর সম্পর্কে। কপিল: প্রাচীন বাংলার দার্শনিক/ ইমন যুবায়ের ডিসেম্বর ০৮, ২০১১ বর্তমান যুগে উচ্চশিক্ষার জন্য আমরা হার্ভার্ড, কেমব্রিজে যাই।

এ সহস্রাব্দের প্রথম শতাব্দীতেও এধরণের জগদ্বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ছিল নালন্দা এবং এর কিছু পরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিক্রমশীলা। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলার পাল সম্রাটগণ। বিশ্বখ্যাত বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের Vice-Chancellor ছিলেন আমাদের বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর। আজ আমরা নিজেরাই জ্ঞানের কদর করিনা; আর তিনি জ্ঞান দান করতে হিমালয় পেরিয়ে তিব্বতে গিয়েছিলেন। বলা হয়, তিব্বতে সভ্যতার আলো জ্বলেছিল একজন বাঙ্গালির হাত দিয়ে- আর তিনিই অতীশ দীপঙ্কর।

তাঁর কথাই শেয়ার করলাম। প্রাচীন বাঙলার শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর - ভাবসাধক এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ০৯, ২০১১ গতকাল বলছিলাম অতীশ দীপঙ্করের কথা; যিনি তিব্বতে গিয়েছিলেন জ্ঞানের আলো বিতরণ করতে। আর আজ বলব তিব্বতিদের কথা; যাঁরা আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন। জীবন দিয়ে কি তাঁরা তাঁদের নবজন্মের ঋণ শোধ করলেন? ঋণ কি কথনো শোধ হয়? আমাদের কাছে তিব্বতীদের? কিম্বা তিব্বতীদের কাছে আমাদের? আমাদের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিলো তিব্বতীরাও!/ অমি রহমান পিয়াল ডিসেম্বর ১০, ২০১১ আজকে একটি interesting তথ্য share করব। সেদিন বলছিলাম তিব্বতে সভ্যতার জন্ম দিয়েছিল বাঙ্গালিরা।

আরো মজার তথ্য হল- একটি জাতি আছে, যে জাতিটিকেই জন্ম দিয়েছিল বাঙ্গালিরা। দু:খের বিষয় খুব কম বাঙ্গালিই এ তথ্যটি জানেন; অথচ তারা কিন্তু বেশ ভাল করেই এটি জানে এবং হাস্যমুখে মানেও। জানতে হলে পড়ুন নিচের পোস্টটি.... Happy reading :-) মহাবংশ থেকে পাঠ - ইমন জুবায়ের এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ১১, ২০১১ আজকের পোস্টটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস পর্বের ইতি টানা হবে। এটি উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া সংক্ষিপ্ত summary. কালকে পাবেন একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখা, এর পরদিন মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতিকে মূর্ত করে তোলা পছন্দের একটি লেখা, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে সে বিষয়ক লেখা, এর পর বাংলাদেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে একটি পোস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাস - উইকিপিডিয়া ডিসেম্বর ১২, ২০১১ লেখাটি গভীর বিশ্লেষণ দাবি করে।

পরিক্ষার ডামাডোলে সে সুযোগ নেই। বিশ্লেষণের দায় তাই পাঠকের ওপরই চাপালাম। তবে মূল বক্তব্যের সাথে আমি একমত- স্বাধীকারের চেতনা বাঙ্গালির আবহমান লালিত অদম্য মনোভাবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ : অনিবার্য ছিলো, আকস্মিক নয় - আহমাদ মোস্তফা কামাল এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ১৩, ২০১১ লেখাটি অবশ্যপাঠ্য। কতটা আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা এ স্বাধীন ভুখন্ড পেয়েছি তা সবসময় চৈতন্যে জাগরুক রাখতে হবে।

এক মহান আত্মত্যাগের গল্প..... শিরোনামহীন এক মানুষের শিরোনামহীন কোন গল্প - শামীম শরীফ সুষম এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ১৪, ২০১১ আজ আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাময় দিনগুলোর একটি- শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে; কিছু রহস্য উদঘাটন হয়েছে; হয়নি অনেক। শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবিদের সঠিক সংখ্যা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কারা এর পেছনে ছিল তা নিয়েও বিভিন্ন সহয়ে controversial লেখা লেখি চলেছে। এ সিরিজ লিঙ্কটি দিচ্ছি মূলত: একদম নবীন পাঠকদেরকে উদ্দেশ্য করে; যাতে তারা একটা স্কেচ দাঁড় করাতে পারে; অল্প অল্প করে বুঝতে চেষ্টা করে আমাদের আনন্দ-বেদনা-গৌরবের ইতিহাস।

তাই অনেক ভেবে উইকিপিডিয়ার লিঙ্কটি শেয়ার করাই মনস্থ করলাম। যারা আরেকটু গভীরভাবে জানতে চান তাদের জন্য suggest করব Omi Rahman Pial এর 'বুদ্ধিজীবি হত্যার রূপকার আল-বদর' সিরিজের লেখাগুলো (গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন আশা করি)। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - উইকিপিডিয়া ডিসেম্বর ১৫, ২০১১ আমরা তোমাদের ভুলবনা... বাংলার বীরশ্রেষ্ঠ সন্তানেরা - সাত বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার জীবনী - রাগিব এর বাংলা ব্লগ ডিসেম্বর ১৬, ২০১১ জয় বাংলা বাংলার জয়/ জয় বাংলা বাংলার জয়/ হবে হবে হবে/ হবে নিশ্চয়/ কোটি প্রাণ একসাথে/ জেগেছে অন্ধরাতে/নতুন সূর্য ওঠার/ এই তো সময়/ জয় বাংলা বাংলার জয়...... এ মাসের শুরু থেকেই সাধারণ পাঠকের (I mean, খুব serious ধর্মী reader নয় এমন) উপযোগী বাংলার ইতিহাসভিত্তিক পোস্ট দিয়ে আসছি। দেশের কাছে অনেক ঋণ; যাকে বলে জন্মঋণ। সেটা শোধ করব এমন দাবি করার ধৃষ্টতা নেই; কেবল নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু করলে নিজেকে সামান্য হলেও নির্ভার মনে হয়- আন্তত সেটুকু করার চেষ্টা করেছি।

এতদিন কথা বলেছি অতীতের সংগ্রামের। কিন্তু সংগ্রাম থেমে যায়নি; বরং সামনে রয়েছে বড় সংগ্রাম, দেশ গড়ার সংগ্রাম। তাই আজ এই বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের প্রতি হৃদয়নিংড়ানো ভালোবাসার নৈবেদ্যস্বরূপ আমার একটি লেখা শেয়ার করলাম--- এদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই দাঁড়াবে - তৌফিক জোয়ার্দার এর বাংলা ব্লগ লিঙ্কগুলো শেয়ার করার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য আছে। সময়স্বল্পতা, পড়াশুনার চাপ, এবং সর্বোপরি অভিজ্ঞতার অভাবে লিঙ্কগুলো চয়ন করার ক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতিসাধনের অবকাশ রয়ে গিয়েছে। আর এক্ষেত্রে এ ব্লগের অভিজ্ঞ পাঠকবর্গই সর্বাগ্রনমস্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।